নিজস্ব প্রতিবেদক ● রাজধানীর অভিজাত এলাকা বনানীর হোটেল রেইন ট্রিতে দুই বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রী ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামী সাফাত আহমেদের গাড়িচালক বেল্লাল ও দেহরক্ষী রহমত আলীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
সোমবার সন্ধ্যায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুরান ঢাকার নবাবপুর এলাকা থেকে র্যাব-১০ বেল্লালকে এবং গুলশান এলাকা থেকে গোয়েন্দা পুলিশ রহমত আলীকে পৃথক অভিযানে গ্রেফতার করে। এ নিয়ে এ মামলার ৫ আসামীর মধ্যে ৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
র্যাবের মিডিয়া উইংয়ের সহকারী পরিচালক মিজানুর রহমান বাসসকে জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে নবাবপুরে ইব্রাহীম নামক এক আবাসিক হোটেল থেকে বেল্লালকে গ্রেফতার করা হয়।
তিনি বলেন, ধর্ষণে সহযোগিতার অপরাধে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তিনি মামলার ৪ নম্বর আসামী। তাকে মূল আসামীর মুখোমুখি করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মঙ্গলবার রিমান্ডের আবেদন জানানো হবে।
গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (মিডিয়া) মোহাম্মদ ইউসুফ আলী জানান, সোমবার সন্ধ্যার পরে গুলশান এলাকা থেকে রহমত আলীকে গেফতার করা হয়। সে এখন গোয়েন্দা পুলিশের উত্তর বিভাগের হেফাজতে রয়েছে।
প্রায় দেড় মাস আগে ধর্ষণের শিকার বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই ছাত্রীর একজন গত ৬ মে বনানী থানায় আপন জুয়েলার্সের মালিক দিলদার আহমেদের ছেলে শাফাত আহমেদ এবং সাফাতের বন্ধু নাঈম আশরাফসহ আরো ৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।
এজাহারের বর্ণনা অনুযায়ী, গত ২৮ মার্চ বনানীর রেইনট্রি হোটেলে সাফাত ও নাঈম দুই বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রীকে ধর্ষণ করেছিলেন। অন্য তিনজন ছিলেন সহায়তাকারী।
গত ৬ মে মামলা রুজুর পর সাফাত ও সাদমানকে ১১ মে সিলেট থেকে গ্রেফতার করা হয়। নাঈম আশরাফ এখনও পলাতক আছেন।