বন্যায় ক্ষতির বিষয়টা ভারতের কাছে তুলে ধরবো: পানিসম্পদ উপদেষ্টা

বন্যায় ক্ষতির বিষয়টা ভারতের কাছে তুলে ধরবো: পানিসম্পদ উপদেষ্টা

পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম : পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, ‘ “এখানে বৃষ্টিপাত বাড়ছে, কিছুক্ষণের মধ্যে বাঁধগুলো খুলে দেবো। তোমরা প্রস্তুতি নাও।” এইটুকু জানাতে তো আপত্তি থাকার কোনও কারণ নেই। আমরা বন্যার ক্ষতিগুলোর হিসাবের জন্য অপেক্ষা করছিলাম। ক্ষতিগুলোর এখন একটা হিসাব হয়ে গেছে। এখন আমরা ভারতের কাছে এই বিষয়টা তুলে ধরবো।’

রবিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) কুমিল্লার বুড়িচংয়ের ভেঙে যাওয়া বুরবুড়িয়া বাঁধ পরিদর্শনে এসে এসব কথা বলেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের এই উপদেষ্টা।

ভারতের অভ্যন্তরে বাঁধ দেওয়া নদীগুলোতে আমাদের দেশের অভ্যন্তরেও বাঁধ দেওয়ার একটি দাবি উঠেছে। সেটি কীভাবে দেখছে সরকার? এমন প্রশ্নে উপদেষ্টা রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘বাঁধের পালটা বাঁধ। এগুলো হচ্ছে মানুষের মনের ক্ষোভের কথা। বাঁধের পাল্টা বাধ তো প্রযুক্তিগতভাবেও ঠিক হবে না। আমার দেশের তিস্তা পাড়ের মানুষ কতদিন আর বসে থাকবে? আমরা তো অনেকদিন হয়ে গেলো পেলাম না কোনও চুক্তি। এ বিষয়ে আমরা গোমতী, তিস্তা, মুহুরী ও ফেনী নদীর পাড়ের মানুষের কথা শুনে আলোচনা করবো।’

নদী দখলের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা ভ্রান্ত ধারণার মধ্যে থাকি– মনে করি, বিল্ডিং হলেও উন্নয়ন হয়েছে। ঢাকার বুড়িগঙ্গায় ২০০০-এর বেশি স্থাপনা ভাঙা হয়েছে। ভাঙতে চাইলে ভাঙা যায়। নদীর উপরে স্থাপনা করার কারও কোনও আইনগত অধিকার নেই। নদীর ওপর স্থাপনা করার অনুমতি দেওয়ার রাইট সরকারের নেই। প্রভাবশালী ব্যক্তিদের যেমন স্থাপনা করার অধিকার নেই, সরকারেরও তাদের স্থাপনা করার অনুমতি দেওয়ার নিয়ম নেই।’

এ বিষয়ে উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘নদীরক্ষা কমিশনের কাছে ৬৬ হাজার দখলদারের তালিকা আছে। আমি বিভাগীয় কমিশনারদের সঙ্গে মিটিং করেছি। তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, দুই মাসের মধ্যে দেশের সব নদ-নদী ওই ৬৬ হাজার দখলদারের হাত থেকে কেমন করে নদীকে বাঁচাবেন? কেমন করে দখলের স্থানের স্থাপনাগুলো ভাঙবেন? দুই মাসের মধ্যে কর্মপরিকল্পনা দিন। বিভাগীয় কমিশনাররা জেলা প্রশাসককে বলবেন এবং সেগুলো ভাঙার কাজ শুরু হবে।’

এ সময় উপস্থিত ছিলেন– পানি উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালক আমিরুল হক ভূঁইয়া, প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব আবুল হাসান, পানি উন্নয়ন বোর্ড পূর্বাঞ্চলের উপপ্রধান প্রকৌশলী আবু তাহের, কুমিল্লা সার্কেলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আব্দুল লতিফ, নির্বাহী প্রকৌশলী খান মোহাম্মদ ওয়ালিউজ্জামান প্রমুখ।

সূত্র: বাংলা ট্রিবিউন

Related Articles