বরিশালের নিম্নাচঞ্চল জোয়ারে ডুবছে, দুই শিশুর মৃত্যু
পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম : জোয়ারের পানিতে ডুবে দুই শিশু মারা গিয়েছে বরিশালে।
জোয়ারের পানির কারণে এমনিতেই কয়েক দিন ধরে দুর্ভোগের মধ্যে ছিল বরিশালের চর ও নিম্নাঞ্চলের বাসিন্দারা। এর মধ্যে দুর্ভোগ আরও বাড়িয়েছে বৃষ্টি। বুধবার (১৯ আগস্ট) দিনভর মাঝারি থেকে ভারী বর্ষণ হয়েছে। বৃষ্টির সঙ্গে জোয়ারের পানির কারণে জেলার চর ও নিম্নাঞ্চল তলিয়ে দুর্ভোগে পড়ে মানুষ।
এদিকে মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলায় জোয়ারের পানিতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া কীর্তনখোলা নদীর পানি বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় নগরীর বিভিন্ন সড়ক ও নিচু এলাকা তলিয়ে গেছে।
মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) পিজুস চন্দ্র দে জানান, স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে নদ-নদীর পানির উচ্চতা বৃদ্ধি পেয়ে উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম পানিতে তলিয়ে গেছে। বিকেলে জোয়ারের পানিতে ডুবে উপজেলার কাজীরচরের মনির মাতুব্বরের মেয়ে সাফিয়া ও দড়িরচর খাজুরিয়া এলাকার মাইদুল মুন্সির ছেলে ফারহানের মৃত্যু হয়।
হিজলা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) বকুল চন্দ্র কবিরাজ জানান, অস্বাভাবিক জোয়ারের পানিতে পুরাতন হিজলা, বাউসিয়া দুর্গাপুর, মৌলভিরহাট, হরিনাথপুরসহ বিভিন্ন এলাকার রাস্তা ঘাট পানিতে তলিয়ে গেছে। উপজেলার কয়েক হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।
ইউএনও বকুল চন্দ্র কবিরাজ জানান, উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ওই সব এলাকার মানুষের সার্বক্ষণিক খোঁজ নেয়া হচ্ছে। উপজেলার ৬৯টি সাইক্লোন শেল্টার প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড বরিশাল কার্যালয়ের উপসহকারী প্রকৌশলী মো. মাসুম বলেন, উজানের পানির চাপের কারণে নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। কীর্তনখোলা নদীর পানি বিকেল ৫টার দিকে বিপৎসীমার ০.৪৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। যা বিগত ১০ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। বর্ষায় জোয়ারের সময় আগেও পানি উঠেছে, তবে এবার উজান থেকে নেমে আসা পানির পরিমাণ বেশি। এ কারণে নগরীর মধ্যে জোয়ারের পানির বিস্তৃতিও বাড়ছে।
জোয়ারের পানি প্রাকৃতিক নিয়মে পাঁচ থেকে ছয় ঘণ্টায় নগরীতে ওঠে আর বাকি পাঁচ থেকে ছয় ঘণ্টায় ভাটা বা পানি নেমে যায়। ওই সময়ে বৃষ্টিপাত না হলে জলাবদ্ধতা স্থায়ী হওয়ার কথা নয় বলেও জানান তিনি।