পাথেয় রিপোর্ট : বরিশাল নগরীতে ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচলের অনুমতি দেয়ার দাবিতে আমরণ অনশন শুরু করেছেন মালিক-চালকরা। বুধবার (২ অক্টোবর) সকাল ১০টার দিকে নগরীর সদর রোডের অশ্বিনী কুমার হলের সামনে ব্যাটারিচালিত রিকশা মালিক-শ্রমিক সংগ্রাম কমিটির ব্যানারে এই অনশন কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে। এতে নেতৃত্ব দিচ্ছেন সংগঠনের উপদেষ্টা ও জেলা বাসদের সদস্য সচিব ডা. মনীষা চক্রবর্তী।
অনশন কর্মসূচিতে অংশ নেয়া ব্যাটারিচালিত রিকশা শ্রমিকরা বলেন, চালকদের শ্রম কমাতে ও প্রযুক্তির সহায়তা নিতে ৪০-৫০ হাজার টাকা ঋণ করে রিকশায় ব্যাটারি লাগানো হয়েছে। সরকারের অনুমতি সাপেক্ষেই এ ব্যাটারি আমদানি হয়েছে। ময়মনসিংহ, গাজীপুর, রংপুর, রাজশাহীসহ দেশের বিভিন্ন সিটি কর্পোরেশন ও বিভিন্নস্থানে ব্যাটারিচালিত রিকশাকে বৈধ লাইসেন্স দেয়া হয়েছে। বরিশাল তো বাংলাদেশের বাইরে নয়। তবে কেন রিকশা আটক করা হচ্ছে।
তারা বলেন, গত ১৯ আগস্ট থেকে পরিচালিত মাসব্যাপী অভিযান রিকশা শ্রমিকদের পথে বসিয়ে দিয়েছে। রিকশা চালকরা কি সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করছে? সৎ উপার্জন কি সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড? পুলিশ যেভাবে প্রতিটি প্রান্তিক এলাকায় গিয়ে চালকদের মারধর করে রিকশা আটক করছে, তাতে মনে হচ্ছে রিকশাচালকরা সমাজের বড় সন্ত্রাসী।
তারা আরও বলেন, ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচলের অনুমতি দেয়ার দাবিতে এক মাসেরও বেশি সময় ধরে আন্দোলন করে আসছেন শ্রমিকরা। মানববন্ধন, বিক্ষোভ, সংহতি সমাবেশ ও গণস্বাক্ষর সংগ্রহসহ বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে আন্দোলনের পাশাপাশি প্রশাসনের সর্বস্তরে ধর্ণা দিয়েছেন। বিষয়টির শান্তিপূর্ণ সমাধানের সব চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে অবশেষে আমরণ অনশন পালন শুরু করেছেন তারা।
ডা. মনিষা চক্রবর্তী বলেন, রিকশা শ্রমিকদের বিষয়টি মানবিক বিবেচনায় নগরীর কয়েকটি নির্দিষ্ট সড়কে চলাচলের অনুমতি দেয়ার দাবি জানিয়ে আসছেন তারা। মেয়র সাদিক আবদুল্লাহ এ দাবি মেনে নেয়ার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছিলেন। ১৯ আগস্ট রিকশা আটক অভিযান শুরুর পর একাধিকবার গিয়েও তার দেখা পাওয়া যায়নি। এমনকি তিনি ফোনও ধরছেন না। বিষয়টি শান্তিপূর্ণ সমাধানের সব চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে অবশেষে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে আমরন কর্মসূচি পালন করছেন। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এ কর্মসূচি চলবে।