বাংলাদেশ ব্রিকসকে অনেক কিছুই দিতে পারে : দীপু মনি

বাংলাদেশ ব্রিকসকে অনেক কিছুই দিতে পারে : দীপু মনি

পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম : ক্রমবর্ধমান মধ্যবিত্ত শ্রেণী ও টেকসই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি নিয়ে বাংলাদেশ ব্রিকসকে অনেক কিছুই দিতে পারে। সামনের দিনগুলোতে ব্রিকসভুক্ত দেশগুলোর সাথে বাংলাদেশের সম্পর্ক গভীরতর হবে। ব্রিকসে বাংলাদেশের যোগদান সহযোগিতার একটি নতুন যুগের সূচনা করবে।

উদীয়মান অর্থনীতির দেশগুলোর জোট ব্রিকসের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠকের পাশাপাশি অনুষ্ঠিত উন্নয়নশীল দেশগুলোর সাথে সংলাপে সমাজকল্যাণ মন্ত্রী ডা: দীপু মনি এসব কথা বলেন। রাশিয়ায় গত সোমবার ও মঙ্গলবার এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ‘উন্নয়নশীল দেশগুলোর সাথে ব্রিকসের সংলাপ’ অনুষ্ঠিত হয় মঙ্গলবার। এতে সভাপতিত্ব করেন রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী স্যার্গেই লেভরভ।

ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত, চীন ও দক্ষিণ আফ্রিকাকে নিয়ে ব্রিকস গঠিত হয়েছিল। গত জানুয়ারিতে সৌদি আরব, মিসর, ইথিউপিয়া, ইরান ও সংযুক্ত আরব আমিরাত এ জোটের পূর্ণ সদস্য পদ পায়। বাংলাদেশও ব্রিকসে যোগ দিতে আগ্রহী।

দীপু মনি গত দেড় দশকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্ব বাংলাদেশের অভূতপূর্ব উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরেন। তিনি বলেন, কৃষিনির্ভর দেশ থেকে বাংলাদেশ দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতির দেশে পরিণত হয়েছে। তবে জলবায়ুর পরিবর্তন বিশ্বে বাংলাদেশকে অন্যতম নাজুক দেশে পরিণত করেছে। এটি প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধির ওপর প্রভাব ফেলছে।

ব্রিকসের ১০টি সদস্য রাষ্ট্র এবং বাংলাদেশ ছাড়াও কয়েকটি আমন্ত্রিত দেশ সংলাপে অংশ নেয়।
ঢাকায় মিশন খুলতে উজবেকিস্তানকে অনুরোধ : ঢাকায় কূটনৈতিক মিশন খোলা এবং দুই দেশের রাজধানীতে সরাসরি ফ্লাইট চালুর জন্য উজবেকিস্তান অনুরোধ জানিয়েছে বাংলাদেশ। তাসখন্দে গত মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের বৈঠকে (এফওসি) বাংলাদেশ এ অনুরোধ জানায়। এতে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন। আর উজবেক প্রতিনিধিদলের নেতৃত্বে ছিলেন দেশটির পররাষ্ট্রবিষয়ক প্রথম উপমন্ত্রী বাখরোমজন আলয়েভ।

বৈঠকে দু’দেশের দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতার সার্বিক দিক নিয়ে আলোচনা হয়েছে। উভয়পক্ষ সম্পর্ক আরো জোরদার করার জন্য উচ্চ পর্যায়ের রাজনৈতিক সফর বিনিময়ের ওপর বিশেষভাবে জোর দিয়েছে। এ ছাড়া টেক্সটাইল, ফার্মাসিউটিক্যাল ও কৃষিপণ্যের ক্ষেত্রে আরো ব্যবসায়িক সংযোগ স্থাপন এবং যৌথ উদ্যোগ গ্রহণের আহ্বান জানানো হয়েছে। উভয় পক্ষ পর্যটন ও সাংস্কৃতিক সহযোগিতার মাধ্যমে দুই দেশের জনগণের মধ্যে সম্পৃক্ততা বাড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ করেছে।

বৈঠকের পর বাংলাদেশের ফরেন সার্ভিস একাডেমি এবং ইউনিভার্সিটি অব ওয়ার্ল্ড ইকোনমি অ্যান্ড ডিপ্লোম্যাসি অব উজবেকিস্তানের মধ্যে একটি সমঝোতাস্মারক স্বাক্ষরিত হয়। উভয় পক্ষ পারস্পরিক সুবিধাজনক সময়ে ঢাকায় পরবর্তী দফা এফওসি আয়োজনে সম্মত হয়েছে।

Related Articles