পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম : অযোধ্যা প্রস্তাবিত মসজিদ বাবরি মসজিদের চেয়েও অনেক বড় হবে বলে জানিয়েছেন মসজিদ নির্মাণ প্রকল্পের ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য মুহাম্মাদ আফজাল আহমদ খান। সম্প্রতি অযোধ্যা মসজিদ নির্মাণ প্রকল্পের ট্রাস্টি বোর্ডের দশম সদস্য হিসেবে মুহাম্মদ আফজাল আহমদ খানকে নিয়োগ দেওয়া হয়।
গত ২৬ জানুয়ারি ভারতের প্রজাতন্ত্র দিবসে অযোধ্যার ধন্নিপুরের মসজিদ প্রকল্পের আনুষ্ঠানিক নির্মাণকাজ শুরু হয়েছে। এর আগে ভারতের সুন্নি ওয়াকফ বোর্ড মসজিদ নির্মাণ প্রকল্প পরিচালনা করতে ৯ সদস্যের ইন্দো ইসলামিক কালচারাল ফাউন্ডেশন (আইআইসিএফ) প্রতিষ্ঠা করা হয়। এবার তাতে দশম সদস্য নিয়োগ দেওয়া হয়।
মুহাম্মদ আফজাল আহমদ খান ১৯৬৫ ও ১৯৭১ সালে সংঘটিত যুদ্ধের একজন প্রবীণ যোদ্ধা। তিনি ভারতীয় সেনাবাহিনীর অন্যতম সম্মাননা সেনা পদক লাভ করেন। এছাড়াও রাষ্ট্রপতি পুরস্কার সমাজ রত্ন প্রাপ্ত ব্যক্তিদের অন্যতম।
এক বিবৃতিতে আফজাল আহমদ খান বলেন, ‘আইআইসিএফের মসজিদ প্রকল্প মানবতার সেবার জন্য প্রতিষ্ঠিত। এই প্রকল্পের মধ্যভাগে হাসপাতাল থাকবে। আমরা হাসপাতালে দরিদ্রদের বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা প্রদান করব। কমিউনিটি কিচেনে প্রতিদিন এক হজাারের বেশি লোককে খাবার দেওয়া হবে। এছাড়াও স্বাধীনতা যুদ্ধের বীর যোদ্ধা মৌলবি আহমাদুল্লাহ শাহ নিবেদিত একটি গবেষণা কেন্দ্রও তাতে থাকবে।’
গত বছরের ১৯ ডিসেম্বর ধন্নিপুরের প্রস্তাবিত মসজিদের নকশা ও নির্মাণ পরিকল্পনা চূড়ান্ত করা হয়। এর আগে ভারতের সুন্নি ওয়াকফ বোর্ড অযোধ্যার পরিকল্পনাধীন মসজিদ নির্মাণ করতে আইআইসিএফ প্রতিষ্ঠা করে।
মসজিদ প্রকল্পের আওতায় থাকবে হাসপাতাল, জাদুঘর, গ্রন্থাগার, কমিউনিটি কিচেন, দি ইন্দো ইসলামিক কালচারাল রিসার্চ সেন্টার, প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান ও মসজিদ।
২০১৯ সালের ৯ নভেম্বর ভারতের সুপ্রিম কোর্ট বাবরি মসজিদ মামলার রায়ে অযোধ্যার বিতর্কিত স্থানে রামমন্দির নির্মাণের আদেশ দেন। একই সঙ্গে অযোধ্যায়ই বিকল্প কোনো স্থানে মুসলমানদের জন্য মসজিদ নির্মাণে ট্রাস্ট গঠনের নির্দেশ দেওয়া হয়।
১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বর অযোধ্যার ঐতিহাসিক বাবরি মসজিদ ভেঙে ফেলার প্রায় ২৭ বছর পরে ওই মামলার রায় ঘোষণা করা হয়।
সূত্র : দ্য হিন্দু