বিক্ষোভে পদ ছাড়তে নারাজ থাই প্রধানমন্ত্রী, জরুরি বৈঠক
পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম : জরুরি অবস্থা জারি করা আছে থাইল্যান্ডে। তার পরেও রাস্তায় বিক্ষোভ অব্যাহত রয়েছে। সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে হাজার হাজার মানুষ রাস্তায় নেমেছে।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার রাতেও দেশটির রাজধানী ব্যাংককে সরকারবিরোধী বিক্ষোভে অংশ নিয়েছে হাজার হাজার মানুষ।
বিক্ষোভকারীদের প্রধান দাবি হলো- থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ। সেই সঙ্গে অন্য বেশ কিছু দাবি রয়েছে বিক্ষোভকারীদের। দেশটির প্রধানমন্ত্রী প্রায়ুথ চান-ওছা আজ শুক্রবার বলেছেন, তিনি পদত্যাগ করবেন না। গত রাতের বিক্ষোভের জেরে আজ তিনি মন্ত্রীদের নিয়ে জরুরি বৈঠক ডেকেছেন।
প্রায়ুথ বলেন, আমি সরে যাচ্ছি না। সরকারকে জরুরি অবস্থা ব্যবহার করতে হবে। আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। কারণ পরিস্থিতি হিংস্র হয়ে উঠছে এটি (জরুরি অবস্থা) ৩০ দিনের জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে। পরিস্থিতি যদি সহজ হয় তবে এর চেয়ে কম সময় ব্যবহার করা হবে।
অন্যদিকে বিক্ষোভকারীদের রাত ১০টার দিকে ছত্রভঙ্গ করে দেয় আইন শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর সদস্যরা। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত প্রতিদিন একই জায়গায় জমায়েত হওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন সংস্কারপন্থীরা।
জরুরি অবস্থা জারির পর সরকারি ভবন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের বাইরে জমায়েত বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দেয় পুলিশ। সে সময় অন্তত ২০ জনকে আটক করে পুলিশ।
গত রাতে বিক্ষোভকারীরা আটক ব্যক্তিদের দ্রুত মুক্তির দাবি জানান। সরকার ভেঙে দিয়ে নতুন নির্বাচন, সামরিক সরকারের লেখা সংবিধান সংশোধন, ভিন্নমতের ওপর দমন-পীড়ন বন্ধ এবং রাজশাসন সংস্কারের মতো দাবিতে তারা বিক্ষোভ করছেন।
সূত্র: আল-জাজিরা