বিমানবন্দরে ৭ কেজি স্বর্ণসহ মালয়েশিয়ার নাগরিক আটক

বিমানবন্দরে ৭ কেজি স্বর্ণসহ মালয়েশিয়ার নাগরিক আটক

পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম : রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সাত কেজি স্বর্ণসহ মালয়েশিয়ার এক নাগরিক নাগরিক চ্যান গি কিয়ংকে আটক করেছে কাস্টমস গোয়েন্দা ও শুল্ক বিভাগের সদস্যরা। কাস্টম হাউস বলছে, প্রতিটি সোনার বারের ওজন এক কেজি। আটক মোট সোনার আনুমানিক দাম প্রায় ৩ কোটি ৫০ লাখ টাকা। চ্যান গি কিয়ং মালিন্দো এয়ারের ওডি ১৬৬ নম্বর ফ্লাইটে আসছিলেন।

১৪ অক্টোবর রবিবার রাত ১০টার দিকে তাকে আটক করে ঢাকা কাস্টমস হাউজের প্রিভেন্টিভ টিমের সদস্যরা।

ঢাকা কাস্টম হাউসের উপকমিশনার অথেলো চৌধুরী জানিয়েছেন, রবিবার রাত ১০টার দিকে মালিন্দো এয়ারের একটি ফ্লাইটে চীনা বংশোদ্ভূত মালয়েশিয়ার নাগরিক চ্যান গি কিয়ং ঢাকা আসেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কাস্টম হাউসের প্রিভেন্টিভ টিম রাত ১০টার দিকে বিমানবন্দরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে অবস্থান নেয়। এ সময় বিমানবন্দরের ১১ নম্বর বোর্ডিং ব্রিজে থাকা মালিন্ডো এয়ারে আসা ওই যাত্রীর চলাফেরা সন্দেহজনক মনে করার কারণে তাকে অনুসরণ করা হয়। গ্রিন চ্যানেল অতিক্রমের পরে তার কাছে শুল্ককর আরোপযোগ্য পণ্য আছে কিনা জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তিনি অস্বীকার করেন। তার নিকট কোনও ব্যাগেজ ঘোষণাপত্রও পাওয়া যায়নি। পরে বিমানবন্দরে কর্মরত বিভিন্ন সংস্থার উপস্থিতিতে তার দেহ তল্লাশি করা হলে শার্টের নিচে থাকা স্যান্ডো গেঞ্জির ভিতরে একটি ভিন্নধর্মী জ্যাকেট পাওয়া যায়। জ্যাকেটের মধ্যে সাতটি ছোট ছোট পকেট থেকে কার্বন পেপারে মোড়ানো হলুদ স্কচটেপে প্যাঁচানো সাতটি সোনার বার উদ্ধার করা হয়। সোনার বারগুলোর প্রতিটি এক কেজি হিসাবে মোট ওজন সাত কেজি।

অথেলো চৌধুরী জানান, বিমানবন্দরে কর্মরত বিভিন্ন সংস্থার উপস্থিতিতে চ্যান গি কিয়ংয়ের দেহতল্লাশি করা হয়। শার্টের নিচে থাকা স্যান্ডো গেঞ্জির ভিতরে ভিন্ন ধাঁচের একটি জ্যাকেট পাওয়া যায়। জ্যাকেটের মধ্যে সাতটি ছোট ছোট পকেট থেকে কার্বন পেপারে মোড়ানো হলুদ স্কচটেপে প্যাঁচানো সাতটি সোনার বার উদ্ধার করা হয়। যাত্রীকে বিমানবন্দর থানায় সোপর্দ করার প্রক্রিয়া চলছে।

উল্লেখ্য, কিছুদিন আগেও রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অভিযান চালিয়ে ছয় কেজি সোনাসহ এক ভারতীয় নাগরিককে আটক করেছিল বিমানবন্দর কাস্টমস। তার নাম সৌমিক দত্ত। বিমানবন্দরে গভীর রাতে এই ভারতীয় নাগরিককে গ্রেফতার করা হয়। একটি পানির ডিসপেনসারের ভেতরে করে তিনি সিঙ্গাপুর থেকে স্বর্ণগুলো নিয়ে আসেন বলে জানান বিমানবন্দর কাস্টমসের উপকমিশনার অথেলো চৌধুরী

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *