বিশ্বজুড়ে করোনায় আরও বেড়েছে মৃত্যু ও শনাক্ত

বিশ্বজুড়ে করোনায় আরও বেড়েছে মৃত্যু ও শনাক্ত

পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম : বিশ্বজুড়ে আরও বেড়েছে করোনায় দৈনিক মৃত্যু ও শনাক্ত রোগীর সংখ্যা। গেল একদিনে সারা বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন এক হাজারের বেশি মানুষ। একই সময়ে ভাইরাসটিতে নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যা পৌঁছেছে প্রায় চার লাখে।

বুধবার (৫ অক্টোবর) সকালে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত, মৃত্যু ও সুস্থতার হিসাব রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারস থেকে পাওয়া সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন এক হাজার ৪৩ জন। অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায় মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েছে চার শতাধিক। এতে বিশ্বজুড়ে মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ৬৫ লাখ ৫২ হাজার ৯২৬ জনে।

একই সময়ের মধ্যে ভাইরাসটিতে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৩ লাখ ৮৪ হাজার ২৮৯ জন। অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায় নতুন শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বেড়েছে ২ লাখেরও বেশি। এতে মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত ভাইরাসে আক্রান্ত মোট রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬২ কোটি ৪১ লাখ ৫ হাজার ৩৩২ জনে।

এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বে করোনায় সবচেয়ে বেশি সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে ফ্রান্সে। এই সময়ের মধ্যে দেশটিতে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৮৯ হাজার ১৮৫ জন এবং মারা গেছেন ৭৪ জন।

অন্যদিকে দৈনিক প্রাণহানির তালিকায় শীর্ষে উঠে এসেছে যুক্তরাষ্ট্র। গত ২৪ ঘণ্টায় এই দেশটিতে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ২০ হাজার ৬৫২ জন এবং মারা গেছেন ২৭৮ জন।

রাশিয়ায় গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন ২১ হাজার ৬৮৭ জন এবং মারা গেছেন ১০৭ জন। তাইওয়ানে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৪৯ হাজার ৫৭৪ জন এবং মারা গেছেন ৩১ জন।

জাপানে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৩৯ হাজার ৭২৩ জন এবং মারা গেছেন ৬৫ জন। ফিলিপাইনে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১ হাজার ৩৪৭ জন এবং মারা গেছেন ৩৬ জন।

ব্রাজিলে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১১০ জন এবং সংক্রমিত হয়েছেন ৯ হাজার ৩৬ জন। ইতালিতে আক্রান্ত হয়েছেন ৫৮ হাজার ৮৮৫ জন এবং মারা গেছেন ৬০ জন। দক্ষিণ কোরিয়ায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১৯ জন এবং সংক্রমিত হয়েছেন ১৬ হাজার ৪২৩ জন।

২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। এরপর ২০২০ সালের ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) করোনাকে ‘বৈশ্বিক মহামারি’ হিসেবে ঘোষণা করে। এর আগে একই বছরের ২০ জানুয়ারি বিশ্বজুড়ে জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণা করে সংস্থাটি।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *