‘বিশ্বের কোনো শক্তি রাম মন্দির নির্মাণে বাধা দিতে পারবে না’

‘বিশ্বের কোনো শক্তি রাম মন্দির নির্মাণে বাধা দিতে পারবে না’

পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম : বিশ্বের কোনো শক্তি রাম মন্দির নির্মাণে বাধা দিতে পারবে না দাবী করে ভারতের কেন্দ্রীয় পানিসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী ও বিজেপি’র সিনিয়র নেত্রী উমা ভারতী বলেছেন, রাম মন্দির ওখানেই হবে যেখানে মন্দিরের জমি রয়েছে‌। বিশ্বের কোনও শক্তি রাম মন্দির নির্মাণে বাধা দিতে পারবে না।

১ নভেম্বর বৃহস্পতিবার রাম মন্দির নির্মাণ প্রসঙ্গে আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত ও উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের মন্তব্যের পরেই ভারতের কেন্দ্রীয় পানিসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী ও বিজেপি’র সিনিয়র নেত্রী উমা ভারতী এসব কথা বলেছেন বলে জানা যায়।

আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত বলেছেন, আদালতের রায়ের অপেক্ষা না করে সংসদে আইন এনে অযোধ্যায় রাম মন্দির নির্মাণ করা হোক। অন্যদিকে, মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ বলেছেন, দেওয়ালীর সময় খুশির খবর নিয়ে অযোধ্যা যাচ্ছেন।

উমা ভারতী রাম জন্মভূমি নিয়ে তাঁর পুরোনো দিনের আন্দোলনের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, রাম মন্দির আন্দোলনে আমি অংশ নিয়েছিলাম। আমি আমার কাজ করেছি এবার সেখানে গ্র্যান্ড মন্দির নির্মাণ দেখতে চাই। তিনি ১৯৯০ সালে রাম মন্দির আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশ নিয়েছিলেন। গতবছর রাম মন্দির নির্মাণ প্রসঙ্গে উমা ভারতী বলেছিলেন, এটা আমার বিশ্বাস ও গর্বের বিষয় এবং এজন্য জেলে যেতে হলেও যাব, ফাঁসিতে চড়তে হলেও যাব।

তিনি প্রধান বিরোধীদল কংগ্রেসের সভাপতি রাহুল গান্ধীর উদ্দেশ্যে বলেছেন, উনি তাদের সঙ্গে অযোধ্যায় গিয়ে শিলান্যাস করান। তাহলে রাম মন্দির নির্মাণ নিয়ে তাঁর যে পুরোনো পাপ আছে তা সব ধুয়ে মুছে যাবে। উমা ভারতীর দাবি, ২০১৯ সালে পুনরায় বিজেপি সরকার গঠিত হবে। ২০১৪ সালে তাঁরা যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তা পূরণ করেছেন বলেও তিনি মন্তব্য করেছেন।

এবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী উমা ভারতী রাম মন্দির নির্মাণ ইস্যুতে নয়া আঙ্গিকে মাঠে নেমে বলেছেন, উত্তরপ্রদেশে যোগী আদিত্যনাথ সরকার এবং কেন্দ্রে নরেন্দ্র মোদী সরকার ক্ষমতায় থাকার জন্য রাম মন্দির নির্মাণকে কেন্দ্র করে পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। উত্তর প্রদেশ ও কেন্দ্রে সংখ্যাগরিষ্ঠ (বিজেপি) সরকার রয়েছে। তিনি বলেন, রাম লালার ভক্তদের কারণেই উত্তর প্রদেশের যোগী সরকার ও কেন্দ্রে নরেন্দ্র মোদী সরকার তৈরি হয়েছে। রাম লালার ভক্তবৃন্দের আন্দোলনের ফলেই ওই সরকার গঠিত হয়েছে। এজন্য উভয় সরকারের কাছে অনেক প্রত্যাশা এবং এটিই (মন্দির নির্মাণের) সঠিক সময়।

উল্লেখ্য, কিছুদিন আগে ভারতে হিন্দুত্ববাদী বিজেপি’র রাজ্যসভার সদস্য বিনয় কাটিয়ার উগ্র বক্তব্য দিয়ে বলেছেন, রাম মন্দির নির্মাণে বিশ্বের কোনো শক্তিই বাধা দিতে পারবে না। যদি মসজিদের দাবি অব্যাহত থাকে তাহলে সাড়ে ছয় হাজার বিতর্কিত মসজিদের উপরে আমরা দাবি জানাব। তিনি মজলিশ-ই-ইত্তেহাদুল মুসলেমিনের প্রধান ব্যারিস্টার আসাদউদ্দিন ওয়াইসি এমপি’র উদ্দেশ্যে প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়ে বলেন, উনি বলুক, মসজিদ কোথায় তৈরি করবেন, অযোধ্যায় তো রামলালা বিরাজমান আছে। এবার শুধু তা বিশালাকার করা হবে এবং দিব্যতা দেয়া হবে। খুব শিগগিরই সেখানে গ্র্যান্ড ও ঐশ্বরিক রাম মন্দির নির্মাণ করা হবে। বাবরী মসজিদ নামের কোনো জিনিস সেখানে অবশিষ্ট ছিল না বলে তিনি দাবি করেন।

আরো বিতর্কিত বক্তব্য দিয়েছেন বিজেপি নেতা সুব্রমনিয়াম স্বামী। তিনি বলেছেন, ওখানে রাম মন্দির আগেও ছিল তাই রাম মন্দির ওখানেই তৈরি করতে হবে। মসজিদ যেকোনো স্থানে তৈরি হত পারে। সরযূ নদীর ওপারে মুসলিমরা মসজিদ নির্মাণ করতে পারে। তার দাবি, নামাজ যে কোনো জায়গায় পড়া যায় কিন্তু রামচন্দ্রের জন্মভূমি কখনো পাল্টানো সম্ভব নয়।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *