বিশ্ব ইজতেমা: যেসব নিয়ম মেনে চলতে হবে

বিশ্ব ইজতেমা: যেসব নিয়ম মেনে চলতে হবে

পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম : নির্ধারিত খিত্তায় অবস্থান করা, মূল সড়কের কাছে তাঁবু না খাটানো, গুজবে কান না দেওয়া এবং ট্রেনে নাশকতাসহ আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ঠিক রাখতে বিশ্ব ইজতেমায় অংশগ্রহণকারীদের একগুচ্ছ নির্দেশনা দিয়েছে পুলিশ সদর দপ্তর। বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম এই ধর্মীয় জমায়েতকে নিরাপদ ও সুস্থভাবে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে মুসল্লিদের নির্দেশনাগুলো প্রতিপালনের অনুরোধ জানানো হয়।

মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে পুলিশ সদরদপ্তর থেকে এসব নির্দেশনা দেওয়া হয়।

ইজতেমায় নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করবেন এবং প্রয়োজনে সহযোগিতা নেবেন। নির্ধারিত খিত্তায় অবস্থান করবেন এবং অপরিচিত ও সন্দেহভাজন ব্যক্তি, কোনো পোটলা, ব্যাগ বা সন্দেহজনক বস্তুর উপস্থিতি দেখামাত্র আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদেরকে অবহিত করবেন।

টাকা, মূল্যবান সামগ্রীসহ একাকী বিক্ষিপ্তভাবে ঘোরাফেরা করবেন না এবং সবসময় টাকা ও মূল্যবান সামগ্রী নিজ হেফাজতে রাখবেন। টাকা ও মূল্যবান সামগ্রী চুরি বা হারিয়ে গেলে তাৎক্ষণিকভাবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের অবহিত করবেন।

হকার ও ভ্রাম্যমাণ ফেরিওয়ালাদের কাছ থেকে খাদ্য বা পানীয় গ্রহণে অজ্ঞান পার্টি ও মলম পার্টির কবলে পড়ার ঝুঁকি সৃষ্টি হতে পারে।

মুসল্লিগণের নিরাপদ ও নির্বিঘ্ন চলাচলের সুবিধার্থে ইজতেমা চলাকালে প্রধান সড়কসমূহ ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় তাঁবু খাটাবেন না কিংবা অন্য কোনোভাবে সড়ক ও পার্শ্ববর্তী এলাকা ব্যবহার করবেন না।

অসুস্থ হলে ইজতেমার জন্য নির্ধারিত অস্থায়ী হাসপাতাল ও নিকটবর্তী হাসপাতাল, স্বাস্থ্যসেবা কর্মী বা প্রয়োজনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের সহায়তা গ্রহণ করবেন।

গুজব শুনলে বা কোনো প্রকার দুর্ঘটনা ঘটলে ধৈর্য ধরে সাহসিকতার সঙ্গে পরিস্থিতি মোকাবিলা করবেন এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের সহযোগিতা করবেন।

ট্রেনে নাশকতা সম্পর্কে তথ্য জানতে পারলে তাৎক্ষণিকভাবে নিকটবর্তী থানা/আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের অবহিত করবেন।

রান্না করার সময় আগুন থেকে দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে সর্তক থাকবেন। খিত্তা এলাকায় বা নিজেদের অবস্থানস্থলে ধূমপান করবেন না। খিত্তায় সবসময় পানি মজুদ রাখুন।

ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে চলাচল নির্বিঘ্ন রাখার উদ্দেশ্যে ঢাকা মহানগরীর প্রগতি সরণি থেকে টঙ্গী ফ্লাইওভার পর্যন্ত, গাজীপুর মহানগরীর টঙ্গী ফ্লাইওভার থেকে চৌরাস্তা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার প্রধান সড়কের ৫০ গজের মধ্যে মাইক লাগাবেন না। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে অতিরিক্ত যাত্রী হয়ে ট্রেনে কিংবা অন্য কোনো যানবাহনে চলাচল করবেন না।

জরুরি প্রয়োজনে ইজতেমাস্থলের নিকটস্থ পুলিশ কন্ট্রোল রুমে যোগাযোগ করবেন।

ঢাকা মহানগর পুলিশ

উপ-পুলিশ কমিশনার, উত্তরা- ০১৩২০-০৪১৭৪০, অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (এয়ারপোর্ট)- ০১৩২০-০৪১৭৪১, অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (দক্ষিণখান)- ০১৩২০-০৪১৭৪২, অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (উত্তরা)- ০১৩২০-০৪১৭৪৩, সহকারী পুলিশ কমিশনার (উত্তরা)- ০১৩২০-০৪১৭৫৪, সহকারী পুলিশ কমিশনার (এয়ারপোর্ট)- ০১৩২০-০৪১৭৫৭, সহকারী পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক-উত্তরা পশ্চিম জোন)- ০১৩২০-০৪৩৯৫৫, অফিসার ইনচার্জ, উত্তরা পূর্ব থানা- ০১৩২০-০৪১৭৮৯, অফিসার ইনচার্জ, উত্তরা, পশ্চিম থানা- ০১৩২০-০৪১৮১৭, অফিসার ইনচার্জ, তুরাগ থানা- ০১৩২০-০৪১৮৪৫, ট্রাফিক কন্ট্রোল রুম- ০১৭১১-০০০৯৯০।

বিশ্ব ইজতেমা: পুলিশের সহযোগিতা পেতে কল করবেন যেসব নম্বরেবিশ্ব ইজতেমা: পুলিশের সহযোগিতা পেতে কল করবেন যেসব নম্বরে

গাজীপুর মহানগর পুলিশ

উপ-পুলিশ কমিশনার (অপরাধ দক্ষিণ)- ০১৩২০-০৭০৩৩০, অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (অপরাধ দক্ষিণ)- ০১৩২০-০৭০৬৪১, সহকারী পুলিশ কমিশনার (টঙ্গী জোন)- ০১৩২০-০৭০৬৫৮, অফিসার ইনচার্জ, টঙ্গী পশ্চিম থানা- ০১৩২০-০৭০৭৫১, ডিউটি অফিসার, টঙ্গী পশ্চিম থানা- ০১৩২০-০৭০৭৫৯, অফিসার ইনচার্জ, টঙ্গী পূর্ব থানা- ০১৩২০-০৭০৭২২, ডিউটি অফিসার্র, টঙ্গী পূর্ব থানা- ০১৩২০-০৭০৭৩০, ডিউটি অফিসার্র, টঙ্গী পূর্ব থানা- ০১৩২০-০৭০৭৩০, ইজতেমা কন্ট্রোল রুম (হটলাইন)- ০১৩২০-০৭২৯৯৯, কন্ট্রোল রুম, জিএমপি- ০১৩২০-০৭২৯৯৮, ট্রাফিক কন্ট্রোল রুম- ০১৩২০-০৭১২৯৮।

র‍্যাব

র‍্যাব-১ কন্ট্রোল রুম- ০১৭৭৭৭১০১৯৯, র‍্যাব হেডকোয়ার্টার্স কন্ট্রোল রুম- ০১৭৭৭৭২০০২৯, প্রয়োজনে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ যোগাযোগ করুন।

ইজতেমায় চলবে ১১ জোড়া বিশেষ ট্রেন

টঙ্গীর তুরাগ তীরে তাবলিগ জামাতের এ বার্ষিক সম্মিলন হবে আগেরবারের মতই দুই পর্বে। ২, ৩ ও ৪ ফেব্রুয়ারি ইজতেমার প্রথম পর্ব এবং চার দিন বিরতি দিয়ে ৯, ১০ ও ১১ ফেব্রুয়ারি দ্বিতীয় পর্বের বিশ্ব ইজতেমা হবে।

বিশ্ব ইজতেমা উপলক্ষে ঢাকা-টঙ্গী-ঢাকা এবং টঙ্গী থেকে দেশের বিভিন্ন গন্তব্যে যাতায়াতের জন্য ১১ জোড়া বিশেষ ট্রেন চালাবে বাংলাদেশ রেলওয়ে। ২ ও ৯ ফেব্রুয়ারি ঢাকা-টঙ্গী-ঢাকা রুটে “জুম্মা স্পেশাল-২” নামে এক জোড়া ট্রেন চলাচল করবে। আর ৩ ও ১০ ফেব্রুয়ারি জামালপুর-টঙ্গী রুটে এক জোড়া স্পেশাল ট্রেন চলাচল করবে।

দুই পর্বের আখেরি মোনাজাতের দিন ৪ এবং ১১ ফেব্রুয়ারি ঢাকা-টঙ্গী-ঢাকা রুটে ৫ জোড়া স্পেশাল ট্রেন চালাবে রেলওয়ে। এছাড়া ওই দুই দিন টঙ্গী-ময়মনসিংহ-টঙ্গী রুটে এক জোড়া, টঙ্গী-টাঙ্গাইল-টঙ্গী রুটে একটি বিশেষ ট্রেন এবং ঈশ্বরদী-টঙ্গী-ঈশ্বরদী রুটে দুই জোড়া স্পেশাল ট্রেন চলবে।

গত ২৩ জানুয়ারি রেলপথ মন্ত্রী মো. জিল্লুল হাকিম এ বিষয়ে সাংবাদিকদের বলেছিলেন, “১ ফেব্রুয়ারি থেকে ৪ ফেব্রুয়ারি এবং ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে ১১ ফেব্রুয়ারি ঢাকাগামী সব আন্তঃনগর, মেইল ও কমিউটার ট্রেন টঙ্গী স্টেশনে তিন মিনিট করে থামবে। ৪ ও ১১ ফেব্রুয়ারি দুই পর্বের আখেরি মোনাজাতের দিন সুবর্ণ, সোনারবাংলা, কক্সবাজার ও পর্যটক এক্সপ্রেস ছাড়া সব আন্তঃনগর, মেইল ও কমিউটার ট্রেনগুলো তিন মিনিট করে টঙ্গী স্টেশনে থামবে। সব আন্তঃনগর, মেইল, এক্সপ্রেস ও লোকাল ট্রেনে কোচের প্রাপ্যতা এবং যাত্রী চাহিদা অনুযায়ী অতিরিক্ত কোচ সংযোজন করা হবে।”

সূ্ত্র: ঢাকা ট্রিবিউন

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *