পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম : গাজা যুদ্ধ নিয়ে গত এক বছর ধরেই মধ্যপ্রাচ্যে চলছে চরম অস্থিরতা। এর মধ্যে গত সপ্তাহে ইসরায়েলি ভূখণ্ডে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর থেকে উত্তেজনা তুঙ্গে। ফলে পুরো মধ্যপ্রাচ্য জুড়ে আঞ্চলিক সংঘাতের আশংকা দেখা দিয়েছে।
মধ্যপ্রাচ্যের এই অস্থিরতা আর যুদ্ধের সম্ভাবনার প্রভাব পড়েছে বৈশ্বিক জ্বালানি তেলের বাজারেও। ইরানের হামলার পর থেকে গত এক সপ্তাহে অপরিশোধিত তেলের দাম বেড়েছে ৯ শতাংশের বেশি।
শনিবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
প্রতিবেদনে বলা হয়, গত এক সপ্তাহে অপরিশোধিত জ্বালানি তেল ব্রেন্ট ক্রুড এবং ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েট (ডব্লিউটিআই)- উভয়েরই দাম বেড়েছে। শতকরা হিসেবে ব্রেন্ট ক্রুডের দাম বেড়েছে ৮ শতাংশ এবং ডব্লিউটিআইয়ের দাম বেড়েছে ৯ দশমিক ১ অংশ। এছাড়া ব্যারেল প্রতি ব্রেন্ট ক্রুডের দাম বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭৮.০৫ ডলারে এবং ডব্লিউটিআইয়ের দাম বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭৪.৩৮ ডলারে।
শুধুমাত্র বৃহস্পতিবারই তেলের দাম ৫ শতাংশের বেশি বেড়েছে। মূলত ওইদিন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেন, যুক্তরাষ্ট্র ইরানের শক্তি অবকাঠামোতে ইসরায়েলের হামলাকে সমর্থন করবে কিনা তা নিয়ে আলোচনা করছে বলে জানালে তেলের দাম বাড়তে থাকে।
চলতি বছর এই প্রথম মাত্র এক সপ্তাহে অপরিশোধিত জ্বালানি তেল ব্রেন্ট ক্রুডের দাম এত পরিমাণ বাড়ল। এছাড়া ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েট (ডব্লিউটিআই) এর দাম গত সপ্তাহে ৯ শতাংশের বেশি বেড়েছে, যা গত এক বছরে সর্বোচ্চ বৃদ্ধি।
যুক্তরাজ্যের বাজার বিশ্লেষক সংস্থা স্টোনএক্সের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ইসরায়েল যদি সত্যিই ইরানের তেল অবকাঠামোকে লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করে, সেক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক বাজারে তাৎক্ষণিকভাবে অপরিশোধিত তেলের দাম প্রতি ব্যারেলে ৩ থেকে ৫ ডলার বাড়বে।
এদিকে ইরান জানিয়েছে, ইসরায়েল তাদের জ্বালানি শক্তিতে হামলা করলে, ইরান ইসরায়েলি জ্বালানি ও গ্যাস স্থাপনাগুলোকে লক্ষ্যবস্তু করবে।
ওপেকের সদস্য দেশ ইরান প্রতিদিন প্রায় ৩২ লাখ ব্যারেল তেল আন্তর্জাতিক বাজারে সরবরাহ করে থাকে যা বৈশ্বিক সরবরাহের ৩ শতাংশ।