পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম : লেবাননের রাজধানী বৈরুতের দক্ষিণাঞ্চলীয় শহরতলীতে এক ড্রোন হামলায় ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের রাজনৈতিক ব্যুরোর উপ-প্রধান সালেহ আল-আরৌরি নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার এই হামলা চালানো হয়। লেবাননের হিজবুল্লাহ গোষ্ঠী পরিচালিত আল-মায়াদিন টেলিভিশনের খবরে এ দাবি করা হয়েছে।
হামাসের সামরিক শাখার প্রতিষ্ঠাতা সদস্যদের একজন হলেন আরৌরি। পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিনি গোষ্ঠীর প্রধান ছিলেন তিনি। ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলে হামাসের হামলার আগেই তাকে হত্যার হুমকি দিয়েছিলেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।
মঙ্গলবার বৈরুতে বিস্ফোরণ ও আরৌরি হত্যার বিষয়ে মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন ইসরায়েলি কর্মকর্তারা।
আল জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, হামাসের সংবাদমাধ্যম আনুষ্ঠানিকভাবে আরৌরির নিহতের কথা ঘোষণা করেছে।
লেবাননের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা জানিয়েছে, বিস্ফোরণে চারজন নিহত হয়েছেন এবং ইসরায়েলি ড্রোন হামলায় এই বিস্ফোরণ ঘটেছে।
হিজবুল্লাহ গোষ্ঠীর শক্তিশালী থাকা বৈরুতের শহরতলীতে মঙ্গলবার সন্ধ্যার বিস্ফোরণে বিশৃঙ্খলা ছড়িয়ে পড়ে। তাৎক্ষণিকভাবে বিস্ফোরণের প্রকৃতি জানা যায়নি।
প্রায় দুই মাসের বেশি সময় ধরে লেবাননের দক্ষিণ সীমান্তে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী ও হিজবুল্লাহ যোদ্ধাদের পাল্টাপাল্টি গোলাবর্ষণ অব্যাহত থাকার পর এই বিস্ফোরণ ঘটেছে।
৮ অক্টোবর পাল্টাপাল্টি গোলাবর্ষণ শুরুর পর বেশিরভাগ হামলা সীমান্তের কাছাকাছি ছিল। মাঝে মধ্যে লেবাননের গভীরে হিজবুল্লাহ স্থাপনায় হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল।
মঙ্গলবার এর আগে হিজবুল্লাহ বলেছে, লেবানন-ইসরায়েল সীমান্তে ইসরায়েলি সামরিক ফাঁড়িতে একাধিক হামলা চালিয়েছে তাদের যোদ্ধারা।
কে ছিলেন সালেহ আল-আরৌরি?
হামাসের রাজনৈতিক ব্যুরোর উপপ্রধান এবং সামরিক শাখা কাসেম ব্রিগেডের একজন প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন তিনি। দখলকৃত পশ্চিম তীরের রামাল্লায় ১৯৬৬ সালে তিনি জন্মগ্রহণ করেছিলেন।
ইসরায়েলি কারাগারে ১৫ বছর কাটানোর পর লেবাননে দীর্ঘদিন ধরে নির্বাসনে ছিলেন তিনি। সম্প্রতি তিনি হামাস এবং গাজায় গোষ্ঠীটির যুদ্ধের কৌশল বিষয়ে একজন মুখপাত্র হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।
গত মাসে তিনি আল জাজিরাকে বলেছিলেন, গাজায় ইসরায়েলি অভিযান বন্ধ না হলে হামাস বন্দি বিনিময় চুক্তি নিয়ে আলোচনা করবে না।
তিনি বলেছিলেন, প্রতিরোধ গোষ্ঠীগুলো সব পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত আছে। কোনও ভয় বা উদ্বেগ নেই। প্রতিরোধ জয়ী হবে।
অক্টোবরে রামাল্লার কাছে তার বাড়ি গুঁড়িয়ে দিয়েছিল ইসরায়েলি সেনারা।
২০১৫ সালে যুক্তরাষ্ট্র তাকে একজন বৈশ্বিক সন্ত্রাসী হিসেবে ঘোষণা করে। তার সম্পর্কে তথ্য দেওয়ার জন্য ৫ মিলিয়ন ডলার পুরস্কার ঘোষণা করেছিল মার্কিন সরকার।