স্পোর্টস ডেস্ক ● প্রয়োজন নতুন পথের সন্ধান দেয়। মূলত কথাটাকে ধরেই পরিবর্তন এসেছে ক্রিকেটে। ব্যাট-বল, প্যাড, গ্লাভসের পর এল হেলমেট। বোলারদের বাউন্সার সামলাতে ব্যাটসম্যানদের রক্ষাকবচ। সেই হেলমেট কিছুদিন আগে পরা শুরু করলেন আম্পায়াররাও। এখন বোলাররাও পরছেন!
হেলমেট পরার মূল কারণ যে নিরাপত্তা তা বলাই বাহুল্য। এক ম্যাচে তো শচীন টেন্ডুলকারের স্ট্রেট ড্রাইভ থেকে বেঁচে গিয়ে আলিম দার মিলাদ পড়িয়েছিলেন! এবার নতুন করে হেলমেট পরা শুরু করেছেন বোলাররাও। নিউজিল্যান্ডে সুপার স্ম্যাশ টি-টোয়েন্টি লিগে গত সপ্তাহে ওটাগোর বোলার ওয়ারেন বার্নেস হাত ঘুরিয়েছেন মাথায় হেলমেট পরে।
সেটা অবশ্য ব্যাটসম্যানদের হেলমেট নয়। একটু ভিন্ন ধাঁচের হেলমেট। মুখের সামনে খাঁচার মতো কিছু নেই, তবে কিছুটা বদ্ধ। দক্ষিণ আফ্রিকার ২৬ বছর বয়স্ক এই বোলার ক্যান্টারবুরি কিংসের বিরুদ্ধে মাঠে নেমেছিলেন তাঁর কোচের তৈরি হেলমেট পরে।
বার্নেসের হেলমেট নিয়ে ওটগো রব ওয়াল্টার বলেন, ‘ফিল্ড হকি “পোস্টম্যান মাস্ক” থেকে আমরা ধারণাটা নিয়েছি। আর ওপরে একটা প্রতিরোধক যোগ করা হয়েছে, বোলারের ফলো-থ্রুতে খুলি এবং মুখকে সুরক্ষিত রাখতেই এই ব্যবস্থা।’
বার্নেসের ক্ষেত্রে এ ধরনের হেলমেট যে বিশেষ কাজের, সেটা তাঁর কোচই স্বীকার করলেন, ‘ওয়ারেন ফলো-থ্রুর মুহূর্তে চোখে কিছুই দেখে না। তাই বল সরাসরি তাঁর দিকে আসার সময় সে নিজের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে চেয়েছিল। গত বছর নটিংহামশায়ারের এক খেলোয়াড় ফলো-থ্রুর সময় মাথায় এভাবেই আঘাত পেয়েছে।’
হেলমেট পরে বোলিং করায় যে কারওরই একটু অস্বস্তি লাগার কথা। তবে বার্নেস যে ভালোই মানিয়ে নিয়েছেন, সেটা বোঝা গেল তাঁর পারফরম্যান্সে। প্রতিপক্ষ দল ২১৭ রান করলেও ৪ ওভারে ৩০ রানে তাঁর শিকার ১ উইকেট। অ্যাশেজ থেকে বাদ পড়া বেন স্টোকস এ ম্যাচেই ক্যান্টারবুরির হয়ে করেছেন ৪৭ বলে ৯৩ রান।
ফলো-থ্রুর সময় বোলারদের চোখে কিছু না দেখার সমস্যাটা নতুন নয়। অনেক বোলারই এমন সমস্যায় পরে থাকেন। তখন ব্যাটসম্যানের সপাট স্ট্রেট-ড্রাইভ থেকে ছুটে আসা বল সরাসরি তাঁর গায়ে আঘাত হানতে পারে। এতে মারাত্মক চোট পাওয়ার আশঙ্কা থাকে।
কে জানে, হয়তো এ কারণে কিছুদিন পর থেকে নিয়মিতই বোলারদের হেলমেট পরতে দেখা যাবে। এতে শুরুর দিকে হয়তো বিস্ময় জাগতে পারে, কিন্তু সময়ের সঙ্গে সব স্বাভাবিক হয়ে যায়। একসময় তো ব্যাটসম্যানদের হেলমেট পরাও বিস্ময়-জাগানিয়া ছিল।