ব্রয়লার মুরগি ১২৫ টাকা

ব্রয়লার মুরগি ১২৫ টাকা

ব্রয়লার মুরগি ১২৫ টাকা

পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম : ১৩০ থেকে এখন ১২৫ টাকায় প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগির দাম। সামনে ঈদুল আজহা বা কোরবানির ঈদ। ঈদ কাছাকাছি চলে আসায় দফায় দফায় কমছে ব্রয়লার মুরগির দাম। চলতি সপ্তাহে দুদফা দাম কমে ব্রয়লার মুরগির কেজি ১২৫ টাকায় নেমেছে। সরকারি প্রতিষ্ঠান ট্রেডিং করপোরেশন অব বংলাদেশের (টিসিবি) প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।

রাজধানীর শাহজাহানপুর, মালিবাগ বাজার, কারওয়ান বাজার, বাদামতলী বাজার, সূত্রাপুর বাজার, শ্যাম বাজার, কচুক্ষেত বাজার, মৌলভী বাজার, মহাখালী বাজার, উত্তরা আজমপুর বাজার, রহমতগঞ্জ বাজার, রামপুরা এবং মীরপুর-১ নম্বর বাজারের পণ্যের দামের তথ্য নিয়ে এই প্রতিবেদন তৈরি করেছে টিসিবি।

টিসিবি জানিয়েছে, রাজধানীর বিভিন্ন খুচরা বাজারে ব্রয়লার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ১২৫ থেকে ১৩৫ টাকা। এর মাধ্যমে সপ্তাহের ব্যবধানে ব্রয়লার মুরগির দাম কমেছে ৩ দশমিক ৭০ শতাংশ।

এদিকে ব্রয়লার মুরগির দাম কমার তথ্য দিয়েছেন ব্যবসায়ীরাও। এ বিষয়ে রামপুরার ব্যবসায়ী মিলন বলেন, ‘কোরবানির ঈদ কাছাকাছি চলে আসায় এখন ব্রয়লার মুরগির চাহিদা কমেছে। যে কারণে দামও কমেছে। এর মাধ্যমে করোনার আগে বিক্রি হওয়া দামে চলে এসেছে ব্রয়লার মুরগি।’

বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়া মহামারি করোনা ভাইরাস বাংলাদেশে প্রথম আঘাত হানে গত ৮ মার্চ। করোনার প্রকোপ শুরু হওয়ার আগে রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে ব্রয়লার মুরগির কেজি ১২০ থেকে ১৩০ টাকার মধ্যে বিক্রি হচ্ছিল।

তবে করোনার শুরুতে ব্রয়লার মুরগির চাহিদা কমে যাওয়ায় তা ১১০ টাকায় নেমে আসে। এতে অনেক খামারি মুরগির উৎপাদন বন্ধ করে দেয়। ফলে পরবর্তীতে বাজারে ব্রয়লার মুরগির সংকট দেখা দিলে রোজার ঈদের আগে রেকর্ড ২০০ টাকায় ওঠে ব্রয়লার মুরগির কেজি।

এ বিষয়ে মালিবাগ হাজীপাড়ার ব্যবসায়ী সোহেল বলেন, ‘বাজারে ব্রয়লার মুরগির সরবরাহ কম থাকায় রোজার ঈদের আগে ১৯০ টাকা কেজি বিক্রি করেছি। এখন সেই মুরগি ১২৫-১৩০ টাকা কেজি বিক্রি করছি।’

তিনি বলেন, ‘দাম কমলেও এখন মুরগির বিক্রি কম। কোরবানির ঈদ কাছাকাছি চলে আসায় এখন ব্রয়লার মুরগি তেমন বিক্রি হচ্ছে না। পরিস্থিতি যা তাতে মনে হচ্ছে ঈদের আগে ব্রয়লার মুরগির দাম আরও কমবে।’

এদিকে ব্রয়লার মুরগির দাম কমলেও টিসিবির প্রতিবেদনে উঠে এসেছে কোরবানির ঈদে চাহিদা বেশি থাকা কিছু পণ্যের দাম বেড়েছে। এর মধ্যে রয়েছে পেঁয়াজ, লবঙ্গ, শুকনা মরিচ ও জিরা। এর পাশাপাশি দাম বেড়েছে মাঝারি মানের চালের।

টিসিবি বলেছে, গত এক সপ্তাহে সবথেকে বেশি বেড়েছে লবঙ্গের দাম। সপ্তাহের ব্যবধানে লবঙ্গের দাম ১৩ দশমিক ৫০ শতাংশ বেড়ে কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০০ থেকে ১০০০ টাকা।

দাম বাড়ার এ তালিকায় থাকা দেশি পেঁয়াজের দাম গত এক সপ্তাহে বেড়েছে ৭ দশমিক ১৪ শতাংশ। বর্তমানে এই পেঁয়াজের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩৫ থেকে ৪০ টাকা।

আমদানি করা শুকনা মরিচের দাম ১ দশমিক ৮৫ শতাংশ বেড়ে কেজি ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। জিরার কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩২০ থেকে ৩৮০ টাকা। এতে সপ্তাহের ব্যবধানে দাম বেড়েছে ১ দশমিক ৪৫ শতাংশ।

টিসিবির তথ্য অনুযায়ী, মাঝারি মানের চাল পাইজাম ও লতার দাম সপ্তাহের ব্যবধানে ৪ দশমিক ১৭ শতাংশ বেড়ে কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪৪ থেকে ৫৬ টাকা, যা আগে ছিল ৪৪ থেকে ৫২ টাকা।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *