ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর প্রার্থিতায় এগিয়ে ঋষি, প্রস্তুত বরিসও

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর প্রার্থিতায় এগিয়ে ঋষি, প্রস্তুত বরিসও

পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম : যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ও শাসক দল কনজারভেটিভ পার্টির নেতা হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে আছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ নেতা ঋষি সুনাক। ইতোমধ্যে ১০২ জন এমপির সমর্থন জোগাড় করে ফেলেছেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী হতে প্রস্তুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনও। কিন্তু আগের মতো জনপ্রিয় নেই তিনি। মাত্র ৪৬ জন এমপি তাকে সমর্থন করছেন। তৃতীয় অবস্থানে রয়েছেন কনজারভেটিভ পার্টির নেতা পেনি মর্ডান্ট। তাকে এখন পর্যন্ত ২১ এমপি সমর্থন দিয়েছেন।
বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, ক্যারিবিয়ান দ্বীপে অবকাশ কাটাতে যাওয়া বরিস জনসন শনিবার (২২ অক্টোবর) লন্ডনে ফিরে এসেছেন। তাকে সমর্থন জানিয়েছেন বর্তমান সরকারের বাণিজ্য মন্ত্রী স্যার জেমস ডুডরিজ।

প্রধানমন্ত্রীর প্রার্থিতা নিয়ে ঋষি-বরিসের ব্যাপারে আলোচনা শুরু হলেও তারা আনুষ্ঠানিক কোনো প্রচার শুরু করেননি। তবে ঋষির প্রচার দলের একটি সূত্র জানিয়েছে, ব্যালট পেপারে নিজের নাম ওঠাতে প্রয়োজনীয় সমর্থন জোগাড় করে ফেলেছেন তিনি। সমর্থন দেওয়াদের মধ্যে বেশ কয়েকজন জ্যেষ্ঠ নেতা রয়েছেন। তাদের মধ্যে অন্যতম স্বাস্থ্যমন্ত্রী সাজিদ জাভেদ, নিরাপত্তা মন্ত্রী টম টুগেনডাট ও সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী ম্যাট হ্যানকক।

ঋষির প্রার্থিতা নিয়ে সাজিদ জাভেদ বলেন, এটা একেবারেই পরিষ্কার, আমাদের সামনে থাকা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে যা দরকার সেটি তার (ঋষি) মধ্যে আছে। দলের নেতৃত্ব ও দেশকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য তিনিই সঠিক ব্যক্তি।

টোবিয়াস এলউড বলেছেন, অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে নেতৃত্বের জন্য স্থিতিশীল ও একটি দায়িত্বশীল সরকারের এটাই সময়।

লন্ডনে ফেরার পর বরিস জনসনের বিবৃতির দিকে তাকিয়ে আছেন তার অনেক সমর্থক। বরিস যদিও এখনও কোনো বিবৃতি দেননি। কিন্তু নেতারা তা আশা করছেন। স্যার জেমস ডুডরিজ বিবিসিকে জানিয়েছেন, বরিসই একমাত্র যিনি নির্বাচনে বিজয়ী। ব্রেক্সিটের বিষয়ে তিনি নিজেকে প্রমাণ করেছেন। এখনো আমরা ম্যান্ডেট পাচ্ছি।

পিএ নিউজ মিডিয়াকে বরিসের নেতৃত্বের প্রতিযোগিতায় সামিল হওয়ার খবর নিশ্চিত করে তিনি বলেন, তিনি ফিরে আসছেন। আমরা এটা করতে যাচ্ছি এবং বরিস এর জন্য প্রস্তুত। জেমস এও জানিয়েছেন, তিনি যো বলেছেন, সেটি বরিস জনসনেরও কথা।

জেমসের কথায় বোঝা যাচ্ছে, বরিস অবকাশে থেকেই দলের এমপিদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। নেতাদের কাছে অঙ্গীকারও করেছেন, তিনি সরকার পরিচালনায় আরও অংশগ্রহণমূলক ব্যবস্থা নেবেন। ডাউনিং স্ট্রিট পরিচালনায় শৃঙ্খলা আনবেন তিনি।

ডেইলি টেলিগ্রাফের খবরে বলা হয়েছে, দলকে একতাবদ্ধ করতে বরিসকে সমর্থন দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করছেন আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মন্ত্রী কেমি ব্যাডনচ ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুয়েল্লা ব্রেভারম্যান।

টোরি এমপি ব্রেন্ডান ক্ল্যার্ক স্মিথ বিবিসি নিউজনাইটকে বলেছেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে ক্যাম্পেইনের ঘোষণা দেননি। তিনি পর্যাপ্ত সমর্থন পাবেন কিনা সেটি পর্যবেক্ষণ করছেন সম্ভবত। তবে আমি বলবো তিনি প্রস্তুত।

এদিকে, ঋষি সুনাকের সমর্থক ক্রেইগ উইলিয়ামস বলেছেন কয়েক ঘণ্টা বা কয়েক দিনের মধ্যেই নেতৃত্বের লড়াইয়ে নামার ঘোষণা দেবেন তিনি।

প্রার্থিতায় নাম লেখানো পেনি মর্ডান্ট বলেছেন, সহকর্মীরাই তাকে প্রধানমন্ত্রীত্বের দৌড়ে সামিল হতে উৎসাহিত করেছেন। তার অঙ্গীকার হলো দেশকে ঐক্যবদ্ধ করা, প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন ও পরবর্তী সাধারণ নির্বাচনে জয়ী হওয়া। তিনি দেশের ও পার্টির সব দিকের মেধাবীদের কাজে লাগাতে চান।

তাকে সমর্থন দেওয়া কনজারভেটিভ এমপি বব সিলি জানিয়েছেন, তিনি বিশ্বাস করেন দলকে ঐক্যবদ্ধ করে নেতৃত্ব দেওয়ার ক্ষমতা পেনি মর্ডান্টের আছে।

আগামী সোমবার (২৪ অক্টোবর) দুপুরের মধ্যেই প্রতি প্রার্থীকে শত এমপির সমর্থন নিশ্চিত করে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার ক্ষমতা নিশ্চিত করতে হবে। তাদের মধ্য থেকে এমপিরা একজনকে বাদ দেবেন। শুক্রবারের মধ্যে নতুন নেতা ও প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন করতে হবে কনজারভেটিভ পার্টিকে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *