পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম : কোভিড-১৯ নিয়ে ভারত যে লাল তালিকা তৈরি করেছে সেখান থেকে বাংলাদেশের নাম বাদ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে আজ মঙ্গলবার, ৩০ নভেম্বর, এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র জানায়, বাংলাদেশের অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকায় অবস্থিত ভারতীয় হাইকমিশন জানিয়েছে, নয়াদিল্লি করোনার ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের কারণে নিয়ে বেশ কিছু দেশের যে লাল তালিকা করেছে, সেখান থেকে বাংলাদেশের নাম বাদ দেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট প্রথম ধরা পড়েছে দক্ষিণ আফ্রিকায়। এরপর তা আরও কয়েকটি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। এ অবস্থায় বাংলাদেশসহ ১২টি দেশকে লাল তালিকায় রেখেছিল ভারত সরকার। বলা হয়, এসব দেশ থেকে কেউ ভারতে আসলে নয়াদিল্লির আইজিআই বিমানবন্দরে কোভিড-১৯ আরটি-পিসিআর পরীক্ষা করাতে হচ্ছে।
বাংলাদেশ ছাড়া ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হালনাগাদ করা ঝুঁকিপূর্ণ দেশের তালিকায় থাকা দেশগুলো হলো— ব্রাজিল, বতসোয়ানা, যুক্তরাজ্য, দক্ষিণ আফ্রিকা, নিউজিল্যান্ড, জিম্বাবুয়ে, চীন, মরিশাস, হংকং, ইসরায়েল, সিঙ্গাপুরসহ ইউরোপের দেশগুলো।
ভারত সরকারের নতুন এই নির্দেশনায় বলা হয়েছে, বিমানবন্দরে নামার সঙ্গে সঙ্গে ভারতে যাওয়া যাত্রীদের কোভিড পরীক্ষা বাধ্যতামূলক। কারো করোনা পজিটিভ পাওয়া গেলে তাকে কোয়ারেন্টাইনে যেতে হবে।
নির্দেশনায় আরও বলা হয়েছে, দক্ষিণ আফ্রিকা, জিম্বাবুয়ে ও হংকং থেকে ভারতে আসা যাত্রীদের করোনা পরীক্ষার ফল না পাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। ফলাফল নেগেটিভ না হলে তাকে বিমানবন্দর থেকে ছাড়া হবে না। অবশ্য অন্য ৯টি দেশের যাত্রীরা করোনার নমুনা দিয়েই বিমানবন্দর ত্যাগ করতে পারবেন। পরে ফলাফল অনুযায়ী তাদের বিষয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।