পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম : প্রবল বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত হিমাচল প্রদেশের শিবমন্দিরে ধস নেমেছিল এক সপ্তাহ আগে। এখনও সেখান থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হচ্ছে। এ পর্যন্ত সেখান থেকে ১৭টি মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ধ্বংসস্তূপে আরও মৃতদেহ থাকার আশঙ্কা করা হচ্ছে। খবর হিন্দুস্তানটাইমস।
গত কয়েকদিন ধরে লাগাতার বৃষ্টি হচ্ছে হিমাচল প্রদেশে। এর ফলে সেখানে ভূমিধস, হড়কাবান ইত্যাদি প্রাকৃতিক দুর্যোগও দেখা দিচ্ছে। গত কয়েকদিন রাজ্যের ১১৩টি স্থানে ভূমিধসের ঘটনা ঘটেছে। এই অবস্থায় রাজ্য সরকার পুরো হিমাচলকে ‘প্রাকৃতিক বিপর্যয় আক্রান্ত এলাকা’ হিসেবে ঘোষণা দিয়েছে।
সরকারের দেওয়া তথ্যমতে, গত ২৪ জুন থেকে বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগে হিমাচলের মোট আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে আট হাজার ১৪ কোটি রুপির বেশি।
দুই হাজার ২২টি বাড়ি পুরোপুরি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৯ হাজার ৬১৬টি বাড়ি। বর্ষার প্রকোপে এ পর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছেন মোট ২২৪ জন। বিভিন্ন স্থানে ভূমিধসের জেরে বন্ধ হয়ে গেছে একাধিক হাইওয়েও।
চলমান এই প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের সবচেয়ে শোচনীয় অবস্থা যোশীমঠ এলাকায়। সেখানে শিবমন্দিরে ভূমিধসের শিকার হয়ে বেশ কয়েকজনের মৃত্যু হয়েছে।
গতকাল রোববার পর্যন্ত সেখান থেকে ১৭টি মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। জানা গেছে, সেখানে আরও কয়েকজন চাপা পড়ে আছে।
তাদের উদ্ধারের জন্য উদ্ধারকাজ চালানো হচ্ছে। তবে উদ্ধারকাজ শেষ হতে আরও দুই-তিন লেগে যাবে বলে জানিয়েছে উদ্ধারকারী সংস্থাগুলো।
হিমাচল প্রদেশ সরকারের মুখ্য সচিব প্রবোধ সাক্সেনা জানিয়েছেন, গত রোববার যাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে, তাদের দুইজন একই পরিবারের। ওই পরিবারের আরও তিনজনের দেহ সেখানে চাপা পড়ে আছে।
স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে, ধস নামার পরপরই মন্দিরে উদ্ধারকাজ শুরু হয়। তবে বৃষ্টির কারণে উদ্ধারকাজ ব্যাহত হয়।
এছাড়া বিভিন্ন রাস্তা ধসে পড়ায় উদ্ধারকাজ বিলম্বিত হচ্ছে। আরও দুই-তিনদিন লেগে যাবে উদ্ধারকাজ শেষ করতে।