মমতাকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী মানতে রাজি কংগ্রেস

মমতাকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী মানতে রাজি কংগ্রেস

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ক্ষমতাসীন বিজেপিকে হারাতে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ভারতের প্রধানমন্ত্রী মানতে রাজি কংগ্রেস। রাহুল গান্ধীর পরিবর্তে মমতার পাশাপাশি প্রয়োজনে মায়াবতীকেও প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মেনে নিতে আপত্তি নেই কংগ্রেসের। কংগ্রেসের শীর্ষ সূত্রের বরাতে এ খবর জানিয়েছে পশ্চিমবঙ্গের বাংলা দৈনিক আনন্দবাজার পত্রিকা।

পত্রিকাটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত রোববার কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে দাবি উঠেছিল- বিরোধী জোটে রাহুলকে মধ্যমণি করে তাকেই প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী ঘোষণা করা হোক।
পরে দলের পক্ষ থেকে জানানো হয়, রাহুলই কংগ্রেসের প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী। এরপর সাবেক প্রধানমন্ত্রী দেবগৌড়া প্রকাশ্যেই সমর্থন করেন রাহুলকে।

কিন্তু লালু প্রসাদ যাদবের পুত্র তেজস্বী অন্য পথে হেঁটে বলে দেন, বিরোধী জোটে প্রধানমন্ত্রী পদের দাবিদার অনেকে। প্রধানমন্ত্রী পদে মমতাকে বসানো নিয়ে জল্পনা রয়েছে অনেক দিন ধরেই। মায়াবতীও প্রধানমন্ত্রী হওয়ার জন্য সক্রিয়। গত মঙ্গলবার কংগ্রেসকে কার্যত সতর্কবার্তা দিয়ে দলিত নেত্রী মায়াবতী বলেন, আসন বণ্টন ঠিকমতো না হলে জোট হবে না। এমন পরিস্থিতির মধ্যেই ঘনিষ্ঠজনদের রাহুল গান্ধী বার্তা দেন, বিজেপিকে রুখতে তিনি নমনীয় হতে রাজি। কংগ্রেস শীর্ষ সূত্রের মতে, রাহুল মনে করেন, প্রধানমন্ত্রিত্বের থেকেও এ মুহূর্তে গুরুত্বপূর্ণ হল বিজেপিকে হারানো।

মমতা সম্পর্কে রাহুলের মত, তৃণমূল নেত্রী কংগ্রেস থেকে এসেছেন। ফলে আরএসএসের সঙ্গে তিনি থাকবেন না। পশ্চিমবঙ্গে জোট নিয়ে জটও কেটে যাবে।

কংগ্রেস নেতৃত্ব মনে করছে, ভোটের পর বড় দল হিসেবে কংগ্রেস উঠে এলে অঙ্কের হিসাবেই জোটের প্রধানমন্ত্রী হবেন রাহুল। সেটি ঠিক হবে ভোটের ফল প্রকাশের পর। যে কারণে শরদ পাওয়ারের পক্ষ থেকেও বলা হয়, মানুষ রাহুলকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মেনে নিলে এনসিপি বিরোধিতা করবে কেন?

মোদিকে হারানোর অঙ্ক কষে ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে চিদম্বরম জানিয়েছিলেন, ১২টি রাজ্যে কংগ্রেস নিজেদের শক্তিতেই শ’দেড়েক আসন পেতে পারে। আর বাকি রাজ্যে শরিকদের সঙ্গে মিলে আরও দেড়শ’।
রাহুল মনে করেন, উত্তরপ্রদেশ আর বিহারে বিরোধীদের সার্বিক জোট প্রায় হয়েই গেছে। জোটের কাছে কোণঠাসা বিজেপি ওই দুই রাজ্যে তলানিতে ঠেকবে। সব মিলিয়ে গোটা দেশে কোনো অবস্থাতেই দুশর কোটা পেরোতে পারবে না তারা। তবে সেই সঙ্গে রাহুলের হিসাব, কোনোভাবে ২২০-২৪০টি আসন জোগাড় করতে পারলে অবশ্য বিজেপি ফের সরকার গড়ার পথে যাবে।

রাহুল মনে করেন, বিজেপির আসন ২২০-এ নেমে গেলেই মোদির পক্ষে আর প্রধানমন্ত্রী হওয়া কঠিন। কারণ তখন সঙ্ঘ এবং বিজেপির একাংশই তাকে চেপে ধরবেন। সে কারণেই মোদি-অমিত শাহরা এখন এত আক্রমণাত্মক। সে কারণে তাদের হারাতে দরকার একটি মসৃণ বিজেপিবিরোধী জোট। সেটিই এখন সব চেয়ে বড় চিন্তা রাহুলের।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *