মসজিদুল হারামে কান্না বিজড়িত কণ্ঠে ফিলিস্তিনি মুসলিমদের জন্য দোয়া

মসজিদুল হারামে কান্না বিজড়িত কণ্ঠে ফিলিস্তিনি মুসলিমদের জন্য দোয়া

পবিত্র মসজিদুল হারামে জুমার খুতবায় ফিলিস্তিনের মুসলিমদের জন্য দোয়া করা হয়েছে। এতে পবিত্র মসজিদুল আকসার সুরক্ষা এবং নিহত ফিলিস্তিনিদের জন্য শহীদের মর্যাদা ও যুদ্ধাহতদের উন্নত চিকিৎসার জন্য প্রার্থনা করা হয়।

গত শুক্রবার (১৩ অক্টোবর) অনুষ্ঠিত জুমার খুতবায় পবিত্র মসজিদুল হারামের খতিব শায়খ ড. উসামা বিন আবদুল্লাহ খাইয়াত কান্নাজড়িত কণ্ঠে এ প্রার্থনা করেন। এরপর জেনারেল প্রেসিডেন্সি ফর দি অ্যাফেয়ার্স অব দ্য টু হলি মস্ক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্স-এ দোয়াটির ভিডিও প্রকাশ করে।

খুতবার শেষ দিকে শায়খ ড. উসামা খাইয়াত বলেন, ‘হে আল্লাহ, আপনি পবিত্র আল-আকসা মসজিদকে স্বাধীন করুন। আপনি ফিলিস্তিনে আমাদের ভাইদের সাহায্য করুন। হে আল্লাহ, আপনি ফিলিস্তিনের মুসলিমদের সহযোগিতা করুন। হে আল্লাহ, আপনি তাদের সামনে ও পেছনে সাহায্যকারী হিসেবে থাকুন।

হে আল্লাহ, আপনি তাদের দুর্বল ও অসহায় ব্যক্তিদের ওপর অনুগ্রহ করুন। হে আল্লাহ তাদের মধ্যে যারা নিহত হয়েছেন তাদের শাহাদাতের মর্যাদা দান করুন।’ দোয়ার সময় তাঁকে বেশ খানিক্ষণ বাকরুদ্ধ অবস্থায় দেখা যায়।

জুমার খুতবায় শায়খ ড. উসামা খাইয়াত প্রাত্যহিক জীবনে শিষ্টাচার অনুসরণ ও আল্লাহর ক্ষমা প্রার্থনার গুরুত্ব নিয়ে আলোচনা করেন।

তিনি বলেন, ‘শিষ্টাচারপূর্ণ আচরণের মাধ্যমে মানুষের জীবন সুন্দর হয়। মহাশক্তিমান আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের লক্ষ্যে বাহ্যিক ও অভ্যন্তরীণ আচার-ব্যবহার সুন্দর করা সবার কর্তব্য। এর মাধ্যমে মানুষ আল্লাহর বিশেষ অনুগ্রহ অর্জন করে। অতএব, আল্লাহকে ভয় করা, তাঁর আনুগত্য নিশ্চিত করা ও অবাধ্যতা থেকে বেঁচে থাকার মাধ্যমে তাঁর সন্তুষ্টি অর্জিত হয়।’

এদিকে গত ১০ অক্টোবর এক বিবৃতিতে প্রেসিডেন্সি অব রিলিজিয়াস অ্যাফেয়ার্স বিভাগের প্রধান শায়খ ড. আবদুর রহমান আল-সুদাইস ফিলিস্তিনের পবিত্র জেরুজালেম ও মসজিদুল আকসায় শান্তি ও নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠা এবং ফিলিস্তিনবাসীর ওপর ইসরায়েলের বর্বর হামলার নিন্দা জানিয়েছেন।

তিনি তাতে ফিলিস্তিন জাতির ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠায় সৌদি আরবের দৃঢ় অবস্থানের কথা জানান।

উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনির স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ শুরু হয়। এতে ইসরায়েলে অন্তত এক হাজার তিন শ এবং গাজায় দুই হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। টানা আট দিনের রক্তক্ষয়ী এ যুদ্ধে মৃত্যু উপত্যকায় পরিণত হয়ে পড়ে গাজা অঞ্চল।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *