মানবিক কারণে সাময়িক বিরতির পক্ষে জি৭

মানবিক কারণে সাময়িক বিরতির পক্ষে জি৭

পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম: ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যকার চলমান যুদ্ধে মানবিক কারণে সাময়িক বিরতি দেখতে চায় শিল্পোন্নত দেশগুলোর জোট জি৭। তবে গাজায় নির্বিচার প্রাণহানি সত্ত্বেও যুদ্ধবিরতির আহ্বান করা থেকে বিরত থেকেছেন এই জোটভুক্ত দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা।

জাপানের কয়োদোতে জি৭-এর দুই দিনব্যাপী সম্মেলনের শেষ দিন ছিল গতকাল বুধবার। সম্মেলন শেষে যৌথ বিবৃতিতে গাজায় মানবিক সংকট ক্রমেই বাড়ার বিষয়টি উল্লেখ করে শিগগির এই বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়ার ওপর জোর দেওয়া হয়। বিবৃতিতে বলা হয়, তাৎক্ষণিকভাবে জরুরি সহায়তা পৌঁছে দিতে, বেসামরিক নাগরিকদের গমনাগমন এবং জিম্মিদের মুক্তি দেওয়ার জন্য সাময়িক বিরতি এবং করিডরের বিষয়টি সমর্থন করে জি৭।

জি৭-এর বিবৃতিতে হামাসকে সমর্থন করা থেকে বিরত থাকতে এবং মধ্যপ্রাচ্যের পরিস্থিতিতে আরও অস্থিতিশীল করে না তুলতে ইরানের প্রতি আহ্বান জানানো হয়। জাপানে অনুষ্ঠিত জি৭-এর বৈঠকে আরও বলা হয়, রাশিয়ার সঙ্গে চলমান যুদ্ধে ইউক্রেনকে সমর্থন অব্যাহত থাকবে এবং তা কখনো কমে আসবে না। এই যুদ্ধে মস্কোকে সমর্থন না করতে চীনের প্রতিও আহ্বান জানানো হয় বিবৃতিতে।

ফিলিস্তিনের মুক্তিকামী সংগঠন হামাস ৭ অক্টোবরে ইসরায়েলে নজিরবিহীন হামলা চালায়। এতে ১ হাজার ৪০৫ জন নিহত হয়। জিম্মি করা হয় ২৪০ জনকে। এর জবাবে ওই দিনই গাজায় হামলা শুরু করে ইসরায়েল। পরদিন ঘোষণা দিয়ে হামলা শুরু করে দেশটি। এতে ফিলিস্তিনি নিহত সাড়ে ১০ হাজার ছাড়িয়েছে।

গাজায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, ইসরায়েলি হামলায় গাজায় মোট ১০ হাজার ৫৯৯ জন নিহত হয়েছে। তাদের মধ্যে শিশু ৪ হাজার ৩২৪ জন।

গত সোমবার ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, ২৪০ জিম্মিকে মুক্তি না দেওয়া পর্যন্ত গাজায় কোনো যুদ্ধবিরতি নয় এবং উপত্যকায় কোনো জ্বালানি সরবরাহ করতে দেবে না তারা। এমনকি যুদ্ধ শেষে গাজার নিয়ন্ত্রণ ইসরায়েল নেবে বলেও তিনি বলেন।

এ প্রসঙ্গে গত মঙ্গলবার ওয়াশিংটন বলেছে, গাজাকে দীর্ঘ সময় ধরে ইসরায়েলের দখল করে রাখার বিষয়টি তারা সমর্থন করছে না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *