মার্কিন নিষেধাজ্ঞায় পড়া মিয়ানমারের দুই ব্যাংকের সঙ্গে লেনদেন না করার পরামর্শ

মার্কিন নিষেধাজ্ঞায় পড়া মিয়ানমারের দুই ব্যাংকের সঙ্গে লেনদেন না করার পরামর্শ

পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম : মার্কিন অর্থ মন্ত্রণালয়ের বৈদেশিক সম্পদ নিয়ন্ত্রণবিষয়ক দপ্তরের (ওফাক) নিষেধাজ্ঞায় পড়া মিয়ানমারের দুই ব্যাংকের সঙ্গে আর্থিক লেনদেন না করার পরামর্শ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ব্যাংকগুলোর কাছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে পাঠানো এক চিঠিতে এই নির্দেশনা দেওয়া হয়। এতে এই দুটি ব্যাংকের বিষয়ে সতর্কতা অবলম্বনের জন্যও পরামর্শ দেওয়া হয়।

ব্যাংক দুটি হলো মিয়ানমা ফরেন ট্রেড ব্যাংক ও মিয়ানমা ইনভেস্টমেন্ট অ্যান্ড কমার্শিয়াল ব্যাংক।

গত ২১ জুন যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ মন্ত্রণালয় এক বিজ্ঞপ্তিতে মিয়ানমারের এই দুই ব্যাংকের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের বিষয়টি জানায়। মিয়ানমারের ক্ষমতাসীন জান্তা বিদেশ থেকে অস্ত্রশস্ত্র ও অন্যান্য পণ্য কিনতে এ ব্যাংকগুলোকে ব্যবহার করে থাকে। ওই সময় দেওয়া যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ বিভাগের এক বিবৃতিতে বলা হয়, নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকা রুশ প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন বিদেশি উৎস থেকে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী অস্ত্রশস্ত্র, সরঞ্জাম ও অস্ত্র তৈরির কাঁচামাল কেনা ও আমদানি করে থাকে। এসব অস্ত্র ব্যবহার করে তারা ‘নৃশংস নিপীড়ন’ চালায়।

মার্কিন নিষেধাজ্ঞায় পড়া মিয়ানমারের এই দুটি ব্যাংকের সঙ্গে ব্যবসায়িক হিসাব রয়েছে বাংলাদেশের রাষ্ট্রমালিকানাধীন সোনালী ব্যাংকের। গত ৩ আগস্ট সোনালী ব্যাংকে থাকা মিয়ানমারের ব্যাংক দুটির ব্যবসায়িক হিসাবের ব্যাপারে অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগকে একটি চিঠি পাঠায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। ওই চিঠিতে ঢাকার মার্কিন দূতাবাসের বরাত দিয়ে স্মরণ করিয়ে দেওয়া হয় যে মিয়ানমারের ওই দুটি ব্যাংক বর্তমানে মার্কিন সরকারের নিষেধাজ্ঞার আওতায় রয়েছে। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানানো হয় চিঠিতে। এরপর সোনালী ব্যাংক হিসবাগুলো স্থগিত করে।

এরপর গত ২০ আগস্ট সব ব্যাংকের কাছে পাঠানো চিঠিতে বাংলাদেশ ব্যাংক বলে, মিয়ানমা ফরেন ট্রেড ব্যাংক ও মিয়ানমা ইনভেস্টমেন্ট অ্যান্ড কমার্শিয়াল ব্যাংকের ওপর ওফাকের নিষেধাজ্ঞা আরোপ হওয়ার নিজ ঝুঁকি বিবেচনায় এসব ব্যাংকের সঙ্গে আর্থিক লেনদেনে বিরত থাকা এবং সার্বিকভাবে নিষেধাজ্ঞা বিষয়ে হালনাগাদ তথ্য সংগ্রহ করে সতর্কতা অবলম্বনের জন্য পরামর্শ দেওয়া হলো।

বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা বলছেন, কোন ব্যাংকের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ হলে অন্য ব্যাংকগুলোকে সতর্ক করা একটি নিয়মিত প্রক্রিয়া। যাতে কোনো ব্যাংক এসব ব্যাংকের সঙ্গে লেনদেন করে নিষেধাজ্ঞার মধ্যে না পড়ে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *