পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম : স্বাধীনতা উত্তর বাংলাদেশে কওমী অঙ্গনের বিপ্লবী জাগরণের প্রতীক মাসিক পাথেয় ও এর অনলাইন সংস্করণ পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম থেকে বিদায় নিলেন শীলন বাংলাদেশের সভাপতি, জাতীয় দৈনিক আমার বার্তার সাব এডিটর, কথাসাহিত্যিক ও ছড়াকার জনাব মাওলানা মাসউদুল কাদির।
বুধবার (১০ মার্চ) এক ঘরোয়া আয়োজনের মাধ্যমে পাথেয় পরিবারের কাছ থেকে বিদায় নেন তিনি। এসময় বিদায়ী সংবর্ধনা দিয়ে তার হাতে ক্রেস্ট তুলে দেন পাথেয়-এর প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক আল্লামা ফরীদ উদ্দীন মাসঊদ।
মাসউদুল কাদির বলেন, পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম থেকে বিদায় নিতে হচ্ছে, তবে পাথেয়তে না থাকলেও আল্লামা ফরীদ উদ্দীন মাসঊদের সাথে আমার সম্পর্ক অটুট থাকবে। এটি প্রায় ২০ বছরের সম্পর্ক, যোগ করেন তিনি।
ছাত্রজীবনে মাসিক পাথেয়তে লেখালেখির মাধ্যমে যে যাত্রা তাঁর শুরু হয়েছিলো, সেই মাসিক পাথেয়র বিভাগীয় সম্পাদক হিসাবে যোগদান করে আজ পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকমের সহযোগী সম্পাদক পদ থেকে বিদায় নিলেন তিনি।
মাসউদুল কাদিরের ভূয়সী প্রশংসা করে পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম এর প্রকাশক সদরুদ্দীন মাকনুন বলেন, মাসউদুল কাদিরের সাথে পাথেয় এর যাত্রা ছিল মসৃণ। অর্থসংকটে মাসিক পাথেয় বন্ধ হওয়ার পর পুরোটা সময় তিনি অনলাইন সংস্করণের কাজ সুচারুরূপে আঞ্জাম দিয়েছেন। আমরা তার কৃতজ্ঞতা আদায় করছি।
সহকারী সম্পাদক যারওয়াত উদ্দীন সামনূন তার স্মৃতিচারণায় বলেন, ছেলেবেলায় মাসিক পাথেয় হাতে নিয়ে আমার প্রথম কাজ ছিলো, পৃষ্ঠা উল্টে শিশুকিশোর বিভাগ ‘মোদের গরব মোদের আশায়’ চলে যাওয়া। সেখানে শ্রদ্ধেয় মাসউদুল কাদিরের কোন না কোন রচনা থাকতোই। মাসিক পাথেয়তে তার লেখা ধারাবাহিক ‘ইফাত-সিফাতের গল্প’, যেটি পরবর্তীতে নাম পাল্টে ‘সিফাত এলো নীড়ে’ নামে ছাপা হয়েছে, সেই গল্পের বাঁকগুলো আমি আজও ভুলিনি। বর্তমানে এটি ‘সোনালি তাবিজ’ নামে গ্রন্থাকারে বাজারে রয়েছে। তার একজন মুগ্ধ পাঠক হিসাবে তার সাথে কাজ করতে পারা আমার জন্য সম্মানের ছিলো।
প্রকাশক সদরুদ্দিন মাকনুন জানান, পাথেয় পরিবার ব্যয়সংকোচন নীতি গ্রহণ করায় আপাতত আমাদের সহযোগী সম্পাদক পদটি শূণ্যই থাকছে।
ঘরোয়া আয়োজনে আরও স্মৃতিচারণা করেন আদিল মাহমুদ, আব্দুল্লাহ আমান, অতিথি লেখক মাওলানা আব্দুস সালাম সহ পাথেয় পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা।