জমিয়তে উলামা হিন্দের জেনারেল সেক্রেটারি মাওলানা মাহমুদ মাদানীর চিঠির জবাবে ভারতের প্রসিদ্ধ বিদ্যাপীঠ জাওহার লাল নেহরু ইউনিভার্সিটিতে পড়ানোর জন্য নির্ধারিত ‘ইসলামি আতঙ্কবাদ’ শিরোনামের কোর্সটি বাতিল করেছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ একটি নোটিশের মাধ্যমে কোর্স চালু না হওয়ার কথা জানিয়েছেন।
ভারতের এই প্রসিদ্ধ বিদ্যাপীঠ জাওহার লাল নেহরু ইউনিভার্সিটির নিবন্ধক ডক্টর প্রমোদ কুমার জমিয়তে উলামা হিন্দের জেনারেল সেক্রেটারি মাওলানা মাহমুদ মাদানীর নামে তাদের চিঠির জবাব পাঠিয়েছেন। তারা সেখানে বিস্তারিত উল্লেখ করে বলেছেন, ‘ইসলামী আতঙ্কবাদ’ শিরোনামে কোনও কোর্স বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ চালু করছে না। তারা সিলেবাস থেকেই এ বিষয়টি বাদ দিয়েছে।
মাহমুদ মাদানী নিজের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বলেন, এখন অতিরিক্ত আর কোনও পদক্ষেপের প্রয়োজন নেই। আমাদের বিশ্বাস জাওহার লাল নেহরু ইউনিভার্সিটি কর্তৃপক্ষ ধর্মনিরপেক্ষতার ভিত্তিতে উচ্চশিক্ষার মূল্যবোধের জন্য তাদের কার্যক্রম অব্যাহত রাখবে।
উল্লেখ্য, গত মে মাসে নির্ভরযোগ্য সূত্র এবং ইউনিভার্সিটির বিশেষ ব্যক্তিদের বরাতে মাওলানা মাহমুদ মাদানীর কাছে এ বিষয়ে সংবাদ এলে তিনি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রনালয়ের ভিত্তিতে ইউনিভার্সিটির ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর এম.জি কুমার এবং চ্যান্সেলর শ্রী.ও.জি কুমারকে চিঠি লিখে এর কঠিন বিরোধিতা করে নিন্দা জানান।
আরও পড়ুন
‘ইসলামি আতঙ্কবাদ’ কোর্স একটি ঘৃণ্য চক্রান্ত : মাহমুদ মাদানি
মাওলানা মাদানী নিজের চিঠিতে ‘আতঙ্কবাদ’কে ইসলামের ভেতর জবরদস্তি করে ঢুকিয়ে দেয়াকে একটি ঘৃণ্য চক্রান্ত ও ইসলাম ধর্মকে অপমানিত করার প্রয়াস বলে উল্লেখ করেন। মাদানী তার চিঠিতে জে.এন.ইউ’র ব্যবস্থাপনা পর্ষদ কমিটিকে সতর্ক করে বলেন, যদি তারা তাদের এমন সিদ্ধান্ত ফিরিয়ে না নেয় তবে জমিয়তে উলামা হিন্দ আদালতের শরণাপন্ন হতে দ্বিধা করবে না।
এর ভিত্তিতেই জমিয়তে উলামা হিন্দ ‘জে.এন.ইউ’ কমিটির কাছে অতিসত্বর এর জবাব চেয়েছেন। ফলশ্রুতিতেই ‘জে.এন.ইউ’ নিবন্ধক মাওলানা মাদানীকে তাদের পক্ষ থেকে চিঠি লিখে এ বিষয়টি নিষ্পত্তির কথা জানিয়েছেন।
জে.এন.ইউ ব্যবস্থা পর্ষদের এ বিষয়ে সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণের পর মাহমুদ মাদানী নিজের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বলেন, এখন অতিরিক্ত আর কোনও পদক্ষেপের প্রয়োজন নেই। আমাদের বিশ্বাস জাওহার লাল নেহরু ইউনিভার্সিটি কর্তৃপক্ষ ধর্মনিরপেক্ষতার ভিত্তিতে উচ্চশিক্ষার মূল্যবোধের জন্য তাদের কার্যক্রম অব্যাহত রাখবে।
এ বিষয়ে পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকমের পূর্বের সংবাদটি পড়তে এখানে ক্লিক করুন
গ্রন্থনা ● কাউসার মাহমুদ
তথ্যসূত্র ● জমিয়তে উলামা হিন্দ
সম্পাদনা ● মাসউদুল কাদির