পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম: মিয়ানমার পরিস্থিতির উন্নতি হলে দ্রুত রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরু হবে বলে আশা করছে বাংলাদেশ। গতকাল রবিবার ঢাকায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাপ্তাহিক সংবাদ ব্রিফিংয়ে মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক মোহাম্মদ রফিকুল আলম এ কথা জানান।
রফিকুল আলম বলেন, ‘বর্তমানে বাংলাদেশ-মিয়ানমার-চীনের একটি ত্রিপক্ষীয় উদ্যোগে রোহিঙ্গাদের স্বেচ্ছায়, নিরাপদ ও টেকসই প্রত্যাবাসনের কাজ চলমান। মিয়ানমারে চলমান পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে বাংলাদেশ।
পরিস্থিতির উন্নতি হলে দ্রুত সময়ে রাখাইনে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন শুরু হবে বলে আশা করা যায়।’
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক বলেন, জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের নাগরিকদের নিরাপদ, মর্যাদাপূর্ণ, টেকসই এবং স্বেচ্ছায় প্রত্যাবাসন শুরু করার জন্য রাখাইনে প্রত্যাবাসনের পর রোহিঙ্গারা কী কী সুযোগ-সুবিধা পাবে, সে সম্পর্কে রোহিঙ্গাদের ধারণা দেওয়া হয়েছে।’
ঘানায় যাচ্ছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী
এদিকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেনের নেতৃত্বে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদল ৫ ও ৬ ডিসেম্বর ঘানার রাজধানী আক্রায় অনুষ্ঠেয় জাতিসংঘের শান্তি রক্ষা মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে যোগ দেবে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক মোহাম্মদ রফিকুল আলম জানান, শান্তি রক্ষা বিষয়ক মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে অংশ নিয়ে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদল শান্তিরক্ষীদের সুরক্ষা ও নিরাপত্তা, তাঁদের নিরাপত্তা ঝুঁকি মোকাবেলায় কৌশলগত যোগাযোগের ওপর গুরুত্বারোপ করবে।
এ ছাড়া তারা শান্তিরক্ষীদের মানসিক সুস্বাস্থ্য, শান্তি রক্ষা কার্যক্রমে নারীর অংশগ্রহণ বৃদ্ধি এবং বেসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষা বিষয়ে বাংলাদেশের অবস্থান তুলে ধরবে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী কয়েকটি দ্বিপক্ষীয় বৈঠক ও বিভিন্ন অনুষ্ঠানেও অংশ নেবেন।
নির্বাচন তথ্য দেওয়া নিয়ে প্রশ্ন
পররাষ্ট্রমন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীর নির্বাচনসংক্রান্ত তথ্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে নির্বাচনী আচরণবিধির লঙ্ঘন কি না এবং মন্ত্রণালয় স্বপ্রণোদিত হয়ে তা করছে কি না এমন প্রশ্নও ওঠে ব্রিফিংয়ে। জবাবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক মোহাম্মদ রফিকুল আলম বলেন, তথ্য জানানো পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত।
মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীর নির্বাচনী প্রচারণার জন্য মন্ত্রণালয় নির্বাচন কমিশন থেকে অনুমতি নিয়েছে কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে রফিকুল আলম বলেন, ‘আমি যে জিনিসটা বুঝতে পারি, যেটা পাবলিক নলেজ সে জিনিস বলার মধ্যে নির্বাচন কমিশনের অনুমতি এখানে নেওয়ার কোনো প্রয়োজনীয়তা আছে কি না, এটা আমি নিশ্চিত না। এটা আমরা সবাই দেখছি, আপনারা লিখছেন। এখানে আচরণবিধির কোনো জায়গায় লঙ্ঘন হয়েছে?’
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পেজে নির্বাচনসংক্রান্ত একটি পোস্ট দেওয়া হয়। এটি নির্বাচন কমিশনের জনসংযোগকারী হিসেবে কাজ করা হলো কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ফেসবুকে বা অন্য কোনো সোশ্যাল মিডিয়ায় তথ্য দেওয়ার পেছনে অন্যতম বড় কারণ হচ্ছে, আমাদের একটা বড় পাঠকগোষ্ঠীর কাছে পৌঁছানো।’