মিসর কেন ইসরাইলের বিপক্ষে গেল?

মিসর কেন ইসরাইলের বিপক্ষে গেল?

পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম : গাজায় গণহত্যা চালানোর অভিযোগে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে (আইসিজে) ইসরাইলের বিরুদ্ধে মামলায় দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষ নিয়েছে মিসর। বিষয়টি বেশ আলোচিত হয়েছে। অনেক কারণে মিসর এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

গাজার রাফায় হামলা না চালানোর জন্য ইসরাইলকে বেশ কয়েকবার সতর্ক করে দিয়েছিল মিসর। রাফার সাথে মিসরের সীমান্ত রয়েছে। এখানে ১০ লাখের বেশি ফিলিস্তিনি আশ্রয় নিয়েছে। এখানে ইসরাইল হামলা চালালে লাখ লাখ ফিলিস্তিনি মিসরে প্রবেশ করতে পারে।

মিসর থেকে গাজায় সাহায্য প্রবেশ বন্ধ করে দিয়েছে ইসরাইল
ইসরাইলি বাহিনী মঙ্গলবার রাফার ফিলিস্তিনি ক্রসিং দখল করেছে। এর ফলে সীমান্তের মিসরীয় এলাকায় অবস্থানরত শত শত খাদ্য ও ওষুধবাহী ট্রাক আটকা পড়ে গেছে। আইসিজেতে দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে যোগদানের বিবৃতিতে মিসর জানায়, বিশ্ব আদালত গাজায় মানবিক সহায়তা বাড়ানোর আদেশ দিয়েছে।

মিসরের মধ্যস্ততা চুক্তি প্রত্যাখ্যান ইসরাইলের
গত সপ্তাহে মিসরের মধ্যস্ততায় যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবটি ইসরাইল প্রত্যাখ্যান করে। গাজাভিত্তিক ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস এটি গ্রহণ করার কথা জানায়।

রোববার প্রকাশিত মিসরীয় বিবৃতিতে অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির জন্য জাতিসঙ্ঘ নিরাপত্তা পরিষদ এবং প্রভাবশালী আন্তর্জাতিক পক্ষগুলোর প্রতি আহ্বান জানানো হয়।

মধ্যস্ততাকারীর ভূমিকায় যুক্তরাষ্ট্রও আছে। তবে যুক্তরাষ্ট্র নিরাপত্তা পরিষদে নয়, বরঙ আলোচনার মাধ্যমে যুদ্ধবিরতি কার্যকর করার পক্ষে।

মাদ্রিদে হাজার হাজার ফিলিস্তিনপন্থী বিক্ষোভকারীর সমাবেশ
যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজায় যুদ্ধবিরতি এবং স্পেন ও ইসরাইলের মধ্যে সম্পর্ক ছিন্ন করার দাবিতে শনিবার হাজার হাজার ফিলিস্তিনপন্থী বিক্ষোভকারী মাদ্রিদে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে।

কর্তৃপক্ষের মতে প্রায় ৪,০০০ বিক্ষোভকারী ব্যানার ও প্রতীক বহন করে গাজায় ‘গণহত্যার’ নিন্দা এবং ফিলিস্তিনি জনগণের ‘প্রতিরোধের’ প্রশংসা করেছে।

রাফাহ শহর থেকে সরে যাওয়ার ইসরাইলি ঘোষণার কথা উল্লেখ করে ৫৭ বছর বয়সী জলদিয়া আবুবাকরা বলেন, দক্ষিণ গাজায় জড়ো হওয়া বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিরা পুনরায় এক জায়গা থেকে অন্যত্র স্থানান্তরের চাপের মধ্যে পড়েছে কিন্তু তাদের যাওয়ার মতো নিরাপদ জায়গা কোথাও নেই।

ফিলিস্তিনিদের বিতাড়িত করে ইসরাইল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার ৭৬তম বার্ষিকীর আগে প্রায় ৩০টি সংগঠন এই সমাবেশের ডাক দেয়।

১৯৪৮ সালের এই যুদ্ধে ফিলিস্তিনিদের নিজভূমি থেকে বিতারিত করার ভয়াবহ ঘটনাকে তারা ‘নাকবা’ (বিপর্যয়) বলে অভিহিত করেছে, এ সময় ৭৬০,০০০ ফিলিস্তিনি নিজ ভূমি থেকে পালিয়ে যেতে বাধ্য করা হয়।

সাম্প্রতিক দিনগুলোতে মাদ্রিদ,বার্সেলোনা এবং ভ্যালেন্সিয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে স্প্যানিশ শিক্ষার্থীরা যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপ জুড়ে ক্যাম্পাসে ফিলিস্তিনপন্থী শিক্ষার্থীদের অনুরূপ শান্তিপূর্ণ অবস্থান ও ক্যাম্প স্থাপন করেছে।