মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বাংলাদেশকে গড়তে হবে : শেখ হাসিনা

মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বাংলাদেশকে গড়তে হবে : শেখ হাসিনা

পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম : আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, এ দেশে মানুষের জন্য আমার বাবা তার জীবনকে উৎসর্গ করেছেন, রক্ত দিয়েছেন আমার মা-ভাই-বোন। এই স্বাধীনতা কখনো ব্যর্থ হতে পারে না। এই চেতনা কখনো হারিয়ে যেতে পারে না। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বাংলাদেশকে গড়তে হবে। আমি ঠিক সেভাবে রাষ্ট্র পরিচালনা করেছি, যাতে প্রতিটি মানুষের জীবনে পরিবর্তন আনতে পারি, তাদের জীবনকে উন্নত করতে পারি।

বুধবার (১০ জানুয়ারি) বিকেলে ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বঙ্গবন্ধু স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষ্যে আওয়ামী লীগের আয়োজিত জনসভায় তিনি এসব কথা বলেন।

বাংলাদেশের জনগণের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে তিনি বলেন, নির্বাচন যাতে না হয় তার একটা চক্রান্ত ছিল। আজকে হরতাল, অবরোধ, জ্বালা-পোড়াও, মানুষ পুড়িয়ে মারা, অ্যাম্বুলেন্সে রোগী যাচ্ছে সেখানে হামলা করা, পুলিশকে ফেলে পিটিয়ে হত্যা করার দৃশ্য মানুষ দেখেছে। ট্রেনে আগুন দিয়েছে, মা-শিশুসন্তানকে বুকে জড়িয়ে দাঁড়িয়ে ছিল সেখানে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। ট্রেনের লাইন কেটে দেওয়া, ট্রেন অ্যাকসিডেন্ট ঘটিয়ে মানুষ মারা, বাসে আগুন দিয়ে মানুষ পোড়ানো, সেই ২০১৩-১৪ এর মতো এবারও দেখলাম ধ্বংসাত্মক কাজ শুরু করল তারা।

তিনি আরও বলেন, মানুষ যাতে নির্বাচনে ভোট না দেয় লিফলেট বিলি করে সেই চেষ্টাও তারা করেছে। আমরা কিন্তু বাধা দেইনি। বাংলাদেশে মানুষ সব বাধা উপেক্ষা করে এ নির্বাচনে তারা অংশগ্রহণ করেছে, ভোট দিয়েছে। সেজন্য আমি জনগণের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই। শত বাধা, ভয়-ভীতি, অগ্নি সন্ত্রাস উপেক্ষা করে আজকে তারা নির্বাচন করেছে, ভোট দিয়েছে। মহিলা ভোটাররাও ছুটে এসেছে ভোট দিতে। এমনকি ১৩০ বছরের একজন বুড়িমা, সে বলেছে হাসিনারে ভোট দেবো এবং ভোট দিয়েছে। এ দেশের মানুষের প্রতি আমার কৃতজ্ঞতা।

শেখ হাসিনা বলেন, যেদিন আমি দেশে ফিরে এসেছিলাম আমার বাবা-মা ভাই-বোন কাউকে পাইনি। মাত্র ১৫ দিন আগে যখন আমি বিদেশে যাই সেটা ছিল ’৭৫ এর জুলাইয়ের ৩০ তারিখ। জামাল, কামাল এবং কামালের নববধূরাও এয়ারপোর্টে ছিল, ৬ বছর পর ৮১ সালের ১৭ মে যেদিন আমি ফিরে আসি, সেদিন আমি কাউকে পাইনি। হাজার হাজার মানুষ ছিল, আমার দুই চোখ খুঁজে বেড়িয়েছিল কিন্তু না, আর নেই। আমি দেখেছিলাম বনানীতে সারি সারি কবর।

তিনি বলেন, ২০০৮ এর নির্বাচনে বাংলাদেশের জনগণ আমাকে ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করেছে। ওই নির্বাচনে এ দেশের জনগণ বিএনপিকে যে প্রত্যাখ্যান করেছিল সেটাই প্রমাণিত। তারা গণতন্ত্রের পথে আসেনি তারা সন্ত্রাসের পথ বেছে নিয়েছিল। ২০০১ সালে নির্বাচনে কারচুপি করে আমাদের হারানো হয়েছিল। ২০০৯ এর পরে প্রতিটি নির্বাচনে এ দেশের মানুষ আওয়ামী লীগকে ভোট দিয়েছে। আমরা ধারাবাহিকভাবে গণতন্ত্রের মাধ্যমে রাষ্ট্র পরিচালনা করে দেশে উন্নতি করতে পেরেছি।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *