পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম : মুন্সীগঞ্জ-৩ আসনে নৌকা প্রার্থী মৃণাল কান্তি দাসের ১ সমর্থককে সদরের মুন্সীকান্দি গ্রামে গুলি করে হত্যা এবং আরেকজনকে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ উঠেছে। নৌকা সমর্থকরা দাবি করছেন, ‘কাঁচি’ প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ ফয়সালের সমর্থকরা এ ঘটনা ঘটিয়েছেন।
বুধবার (৪ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ১২টায় সদর উপজেলার মোল্লাকান্দি ইউনিয়নের মুন্সীকান্দি গ্রামের নৌকার ক্যাম্পে এ হামলার ঘটনা ঘটে। এতে নৌকা সমর্থক ডালিম সরকার (৩৫) বুকে গুলিবিদ্ধ হন। এ অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে উপস্থিত কর্তব্যরত চিকিৎসক ডালিমকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় সোহেল মিয়া নামে আরেক সমর্থককে পিটিয়ে আহত করারও অভিযোগ এসেছে। স্বতন্ত্র প্রার্থী ‘কাঁচি’ প্রতীকের হাজী মো. ফয়সাল বিপ্লবের সমর্থকরা এ হামলার সঙ্গে জড়িত বলে দাবি করছেন নৌকা সমর্থকরা।
নিহত ডালিম সরকার নৌকার প্রার্থী মৃণাল কান্তি দাসের সমর্থক ও একই এলাকার বাসিন্দা।
ঘটনার বর্ণনা দিয়ে হামলায় আহত সোহেল মিয়া বলেন, ‘আমরা নৌকার ক্যাম্পে অবস্থান করছিলাম আকস্মিকভাবে রাত সাড়ে ১২টার দিকে মোল্লাকান্দি ইউপি চেয়ারম্যান রিপন পাটোয়ারীর ভাই শিপন পাটোয়ারীর নেতৃত্ব একটি সন্ত্রাসী দল ক্যাম্পে হামলা চালিয়ে এলোপাতাড়ি গুলি করে। এ সময় আমরা গুলিবিদ্ধ ডালিম সরকারকে বাঁচাতে গেলে আমাকে পিটিয়ে আহত করে। তাই তাকে হাসপাতালে নিতেও বিলম্ব হয়।’
স্থানীয়রা জানায়, ১০-১২ জনের একটি দল নৌকার ক্যাম্পে বেশ কয়েক রাউন্ড গুলিবর্ষণ করে।
এ ঘটনায় পুরো ইউনিয়ন জুড়ে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। তবে এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ঘটনাস্থলে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী টহল চলছে।
‘আমরা নৌকার ক্যাম্পে অবস্থান করছিলাম আকস্মিকভাবে রাত সাড়ে ১২টার দিকে মোল্লাকান্দি ইউপি চেয়ারম্যান রিপন পাটোয়ারীর ভাই শিপন পাটোয়ারীর নেতৃত্ব একটি সন্ত্রাসী দল ক্যাম্পে হামলা চালিয়ে এলোপাতাড়ি গুলি করে। এ সময় আমরা গুলিবিদ্ধ ডালিম সরকারকে বাঁচাতে গেলে আমাকে পিটিয়ে আহত করে। তাই তাকে হাসপাতালে নিতেও বিলম্ব হয়’
– হামলায় আহত সোহেল মিয়া
সকালে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আসলাম খান বলেন, ‘জড়িতদের গ্রেপ্তারে পুলিশ অভিযান পরিচালনা করছে। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।’
প্রসঙ্গত, আগের দিন মঙ্গলবার রাতে আসনটির বজ্রযোগিনীর বটতলা এলাকায় নৌকার ক্যাম্পে স্বতন্ত্র প্রার্থী (কাঁচি) ফয়সাল বিপ্লবের সমর্থকরা মোটরসাইকেলযোগে এসে হামলা ও গুলিবর্ষণ করে। তবে এ ঘটনায় হতাহতের খবর আসেনি।