পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম : সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মার্ক জাকারবার্গ ফেসবুক ইনকরপোরেশনের নাম “মেটা প্ল্যাটফর্মস ইনকরপোরেশন” বা সংক্ষেপে “মেটা” দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। তবে ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম এবং হোয়াটসঅ্যাপের মতো স্বতন্ত্র প্ল্যাটফর্মগুলোর নাম পরিবর্তন হচ্ছে না।
বুধবার (২৭ অক্টোবর) জাকারবার্গের ঘোষণার পর থেকেই মেটা প্ল্যাটফর্ম নিয়ে আলোচনার ঝড় বইছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।
মেটাভার্স আসলে কী?
জাকারবার্গ বলেন, মেটাভার্স একটি ভার্চুয়াল রিয়েলিটি (ভিআর) জগত, যেখানে প্ল্যাটফর্মটি ব্যবহারকারীরা প্রবেশ করতে পারবেন। বাস্তবের মতোই এখানে সমাজ, মানুষ থাকবে। তবে সবই ভার্চুয়াল। তারা বাস্তবের মতোই একসঙ্গে থাকবে, ঘুরবে, খেলবে।
তবে এই ভার্চুয়াল রিয়েলিটিতে প্রবেশের জন্য হেডসেট, অগমেন্টেড রিয়েলিটি চশমা, স্মার্টফোন অ্যাপসহ কিছু ডিভাইস প্রয়োজন হবে। এর মাধ্যমে পছন্দের ওয়েবসাইট ঘুরে আসতে কম্পিউটার ব্যবহার না করে শুধুমাত্র ভিআর ডিভাইসগুলো ব্যবহার করলেই হবে।
মেটাভার্সে যা কিছু করা যাবে
- সোশ্যাল মিডিয়া বা অনলাইনের যাবতীয় সুযোগ-সুবিধাই মেটাভার্সে পাওয়া যাবে। সেই সঙ্গে যুক্ত হবে নতুন আরেকটি দুনিয়ায় অবাধে ঘোরাফেরা সুযোগ। বেড়াতে যাওয়া, কনসার্ট দেখা, কেনাকাটা সবই করা যাবে মেটাভার্সে।
- শুধুমাত্র ভিডিও কলিং নয়, সরাসরি ভার্চুয়াল রিয়েলিটিতেই আড্ডা দেওয়া, ক্লাস করা এবং অফিস মিটিং করা যাবে মেটাভার্সে।
মেটাভার্স কতটা ব্যয়বহুল?
মেটাভার্স ব্যবহারের জন্য “হরাইজন ওয়ার্করুমস” নামে একটি সফটওয়্যার আনছে ফেসবুক। একই সঙ্গে ব্যবহারকারীদের মেটাভার্সের ভার্চুয়াল রিয়েলিটি উপভোগের জন্য বিশেষ ভিআর ডিভাইস লাগবে, যার প্রাথমিক মূল্য ৩০০ ডলার থেকে ধরা হয়েছে। অর্থাৎ অনেকের জন্যই মেটাভার্স যথেষ্ট ব্যয়বহুল হতে যাচ্ছে।