মাসউদুল কাদির : নফল নামাজের শ্রেষ্ঠ সময় পবিত্র রমজানুল মোবারক। রমজান আসে মুমিনকে আরও উচ্চতর অবস্থায় উন্নীত করতে। রমজান পেয়েও মুমিনের ব্যস্ততা বেড়ে যায়। সাধারণত ইশরাক, চাশত, আওয়াবিন ও তাহাজ্জুদ সবাই আদায় করে থাকেন। তবে কিয়ামুল লাইলের পৃথক একটা গুরুত্ব আছে রমজানে। বিশেষত শেষ দশকে তাহাজ্জুদে কুরআন খতম একটা আমলের রেওয়াজ বিশ্বজুড়েই চালু আছে। আসর ও ঈশার আগে চার রাকাত সুন্নত এবং জোহর ও ঈশার পরের সুন্নত শেষে দুই রাকাত নফল পড়া। প্রতিদিন অন্তত একবার তাহিয়্যাতুল অযু ও দুখলুল মসজিদ পড়া। সাহরির জন্য উঠে দু’চার রাকাত তাহাজ্জুদ নামাজ অনায়াসে পড়া যায়। এই ছোট ছোট আমলগুলোই কিন্তু আমাদের বড় বড় পুণ্য পাওয়ার সুযোগ তৈরীতে সহযোগিতা করবে।
নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঘোষণা করেছেন, ‘যে ব্যক্তি অজু করে দুই রাকাত নামাজ ইখলাসের সঙ্গে পড়বে, তার বেহেশত লাভ হওয়া অবধারিত।’ (মুসলিম ও আবু দাউদ)।
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘আমার প্রভু প্রত্যেক রাতের শেষাংশে নিকটতম আসমানে অবতরণ করেন এবং বলতে থাকেন, যে কেউ আমার কাছে প্রার্থনা করবে, আমি তা কবুল করব, যে কেউ কিছু প্রার্থনা করবে, আমি তা প্রদান করব, যে কেউ আমার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করবে, আমি তাকে ক্ষমা করব।’ (বুখারি ও মুসলিম)
রমজান তো অতীব গুরুত্বপূর্ণ মাস। এ মাসে আরও বেশি নফল নামাজ আমরা পড়তে পারি। অন্য সময়ের তুলনায় বাড়িয়ে দিতে পারি নফল ইবাদত। কারণ সাধারণ সময়ে একটা নফল নামাজ রমজানে পড়লে তা ফরজে পরিণত হয়। আমরা তাই বেশি বেশি নফল নামাজ পড়ার চেষ্টা করবো ইনশাআল্লাহ। আমীন।
– pathe0/106/sb