রাজধানীর চারপাশে স্যাটেলাইট শহর তৈরি করতে হবে’

রাজধানীর চারপাশে স্যাটেলাইট শহর তৈরি করতে হবে’

পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম: ‘রাজধানী ঢাকার ওপর চাপ কমাতে ঢাকা শহরের চারপাশে স্যাটেলাইট শহর তৈরি করতে হবে। সেই স্যাটেলাইট শহরগুলোর সাথে যোগাযোগ স্থাপন করতে হবে। তাহলে মূল শহরের ওপর চাপ কমে যাবে এবং অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড আরো বাড়বে। আর একটি বিষয় হলো বিশেষায়িত নগরায়ণ করতে হবে।

আজ সোমবার সকালে বিশ্ব বসতি দিবস উপলক্ষে ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় আয়োজিত আলোচনাসভায় বক্তারা এসব কথা বলেন। এবারের দিবসের প্রতিপাদ্য ‘স্থিতিশীল নগর অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি ও পুনরুদ্ধারে টেকসই নগরসমূহই চালিকাশক্তি’।

গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব কাজী ওয়াছি উদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলি শামীম আখতার, জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষ খন্দকার মোস্তাফিজুর রহমান, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) চেয়ারম্যান মো. আনিছুর রহমান মিয়া।

গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘দেশের সাধারণ মানুষের জন্য সামর্থ্যের মধ্যে আবাসনের ব্যবস্থা করতে হলে গ্রামে বা উপজেলা পর্যায়ে কিছু আবাসিক এলাকা তৈরি করতে হবে।

এতে করে প্রধানমন্ত্রীর যে প্রতিপাদ্য গ্রাম হবে শহর সেটা বাস্তবায়ন হবে। এসব আবাসিক এলাকায় হাইরেঞ্জ বিল্ডিং করে সাধারণ মানুষ সেখানে উঠবে। আমরা সবাইকে তো প্লট দিতে পারব না। এজন্য এপার্টমেন্ট করে দিতে হবে।
সেসব স্থানে বসবাসের জন্য মানুষকে উৎসাহী করতে হবে।’

বক্তারা বলেন, পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করে পরিকল্পিত নগরায়নের মাধ্যমে নগর অর্থনীতিকে আরো শক্তিশালী করতে হবে। সাধারণ মানুষের বসবাসের জন্য শহর কেন্দ্রিক চাপ কমাতে উপজেলা বা গ্রাম পর্যায়ে বিশেষায়িত নগরায়ণ করতে হবে।

বক্তারা আরো বলেন, আমাদের আজকের প্রতিপাদ্য বিষয় হলো স্থিতিশীল নগর অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি ও পুনরুদ্ধারে টেকসই নগরসমূহই চালিকাশক্তি। বর্তমানে দেখা যাচ্ছে ঢাকা ও চট্টগ্রাম কেন্দ্রিক হচ্ছে।

ফলে অর্থনীতিও এই দুই শহর কেন্দ্রিক। আর ঢাকা ও চট্টগ্রাম দিন দিন এগিয়ে যাচ্ছে। কারণ শহর হচ্ছে সবার মূল আকর্ষণের জায়গা। এখানে কর্মসংস্থানসহ নানান সুযোগ-সুবিধা পাওয়া যায়।

আলোচকরা বলেন, স্যাটেলাইট শহর তৈরি করা গেলে কোনো একটি কাজের জন্য কোনো একটি নগরের বিশেষত থাকবে। আমাদের সে ধরনের নগর ব্যবস্থায় যেতে হবে। এক্ষেত্রে শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও আয় উপার্জন এই তিনটি বিষয়ের জন্য আলাদা জেলা নির্বাচন করে কাজ করতে হবে। একই সঙ্গে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করে পরিকল্পিত নগরায়নের মাধ্যমে নগর অর্থনীতিকে আরো শক্তিশালী করতে হবে। তাহলে আমাদের নগর অর্থনীতি উন্নতি করবে একই সঙ্গে ঢাকার ওপর চাপ কমবে।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *