পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম : সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে মিসাইল হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এতে চারজন নিহত হয়েছেন। নিহত চারজনই সিরিয়ার সেনাসদস্য। এছাড়া হামলায় আহত হয়েছেন আরও চারজন।
গভীর রাতে চালানো এই হামলায় দামেস্কে অবকাঠামোগত ক্ষয়ক্ষতিও হয়েছে। সোমবার (৭ আগস্ট) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কের আশপাশে চালানো ইসরায়েলি ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় চার সেনা নিহত, আরও চারজন আহত হয়েছেন বলে সোমবার সকালে সামরিক সূত্রের বরাত দিয়ে জানিয়েছে সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম। হামলায় ‘কিছু বস্তুগত ক্ষতি’ হয়েছে বলেও এতে জানানো হয়েছে।
সিরিয়ার সামরিক ওই সূত্র জানিয়েছে, ‘সোমবার গভীর রাত ২টা ২০ মিনিটের দিকে সিরিয়ার দখলকৃত গোলান মালভূমির দিক থেকে আকাশপথে আগ্রাসন চালায় ইসরায়েল। ওই হামলায় দামেস্ক শহরের আশপাশের কিছু পয়েন্টকে লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে।’
সিরিয়ার আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ইসরায়েলি কয়েকটি ক্ষেপণাস্ত্র আটকে দেয় এবং কয়েকটি গুলি করে ভূপাতিত করে বলেও সামরিক ওই সূত্রটি দাবি করেছে।
অবশ্য কোনও নির্দিষ্ট ব্যক্তি বা অবকাঠামোকে লক্ষ্য করে এই হামলা চালানো হয়েছে কিনা তা তাৎক্ষণিকভাবে পরিষ্কার হয়নি।
উল্লেখ্য, ২০১১ সালে সিরিয়ায় গৃহযুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে ইসরায়েল এই দেশটির অভ্যন্তরে শত শত বিমান হামলা চালিয়েছে। সরকারি নানা স্থাপনার পাশাপাশি মিত্র ইরান-সমর্থিত বাহিনী এবং হিজবুল্লাহ যোদ্ধাদের লক্ষ্য করে এসব হামলা চালানো হয়েছে।
ইসরায়েল অবশ্য খুব কমই সিরিয়ায় এই ধরনের অভিযানের বিষয়ে প্রকাশ্যে কোনও মন্তব্য করে থাকে।
এছাড়া ইরান সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সিরিয়ায় তার সামরিক উপস্থিতি আরও বাড়িয়েছে এবং যুদ্ধবিধ্বস্ত এই দেশটির রাষ্ট্র-নিয়ন্ত্রিত বেশিরভাগ অঞ্চলেই তেহরানের উপস্থিতি রয়েছে। এমনকি ইরানের নেতৃত্বে হাজার হাজার মিলিশিয়া এবং স্থানীয় আধাসামরিক গোষ্ঠীর সদস্যরা সিরিয়ায় অবস্থান করছে বলে পশ্চিমা গোয়েন্দা সূত্রগুলো দাবি করছে।
সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের সরকার কখনোই প্রকাশ্যে স্বীকার করেনি যে, সিরিয়ার গৃহযুদ্ধে ইরানি বাহিনী তার পক্ষে কাজ করছে। বরং আসাদ সরকার বলেছে, সিরিয়ার মাটিতে শুধুমাত্র তেহরানের সামরিক উপদেষ্টা রয়েছে।
তবে এক যুগেরও বেশি সময় আগে গৃহযুদ্ধ ছড়িয়ে পড়ার পর প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদকে সমর্থন করা শুরু করে ইরান এবং এরপর থেকেই দামেস্কে ইরানের প্রভাব বেড়েছে।