রাবির হলে ছাত্রের রহস্যজনক মৃত্যু

রাবির হলে ছাত্রের রহস্যজনক মৃত্যু

পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শহীদ শামসুজ্জোহা হল থেকে মো. ফুয়াদ আল খতিব নামে এক শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তবে কখন ও কীভাবে মারা গেছে তা এখনও জানা যায়নি।

রবিবার (১০ ডিসেম্বর) বেলা ৩টার দিকে হলের ১৮৪ নম্বর নিজ কক্ষ থেকে নিথরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরে অ্যাম্বুলেন্স করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের শামসুজ্জোহা হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক একরামুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

নিহত ফুয়াদ বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকর্ম বিভাগের ২০১৭-১৮ সেশনের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনি গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার পশ্চিম রাজিবপুর গ্রামের আমিনুল ইসলাম সাজুর ছেলে। তিনি ওই হলের ১৮৪ নম্বর সিঙ্গেল রুমে থাকতেন।

হলের আবাসিক শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের শামসুজ্জোহা হলের ১৮৪ নম্বর কক্ষে নিজের সিটে অচেতন অবস্থায় পড়ে ছিলেন ফুয়াদ। পরে সহপাঠীরা বুঝতে পেরে তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে যায়। সেখানে নেওয়ার পর চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

হলের শিক্ষার্থীরা আরও জানায়, ফুয়াদের বাড়ি গাইবান্ধা জেলার সুন্দরগঞ্জ উপজেলায়। ৯ ডিসেম্বর রাতে প্রাইমারি নিবন্ধন পরীক্ষা শেষ করে বাড়ি থেকে ফিরেছেন তিনি। তারপর থেকে কক্ষেই ঘুমাচ্ছিলেন। বেলা ৩টার দিকে দরজা খুলে কক্ষে প্রবেশ করে মৃত্যু অবস্থায় তাকে পাওয়া যায়। তার মুখ দিয়ে রক্ত পড়ছিল ও শরীরে লাল দাগ ছিল।

সমাজকর্ম বিভাগের অধ্যাপক ড. গোলাম কিবরিয়া ফেরদৌস বলেন, ‘ফুয়াদ আত্মহত্যা করার মতো ছেলে না। সে আমার প্রিয় ছাত্রের মধ্যে একজন। সে খুব মেধাবী ছিল। পড়াশোনা শেষ করেই বিসিএস ক্যাডার হবে প্রত্যাশা ছিল তার। তার মৃত্যুর আসল কারণ জানতে চাই।’

চিকিৎসকের বরাতে মতিহার জোনের এডিসি একরামুল বলেন, ‘তার মৃত্যু কয়েক ঘণ্টা আগে হয়েছে। আমরা এখন ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছি। রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে।’

অধ্যাপক একরামুল ইসলাম বলেন, ‘ শনিবার রাতে বাড়ি থেকে ফিরে হল কক্ষে অবস্থান করছিলেন ফুয়াদ। কিন্তু দুপুর পর্যন্ত কক্ষ থেকে বের না হওয়ায় শিক্ষার্থীরা দরজা খুলে ভেতরে প্রবেশ করেন এবং তাকে ডাকেন। কিন্তু কোনো সাড়াশব্দ পাওয়া না গেলে এবং শরীর ঠান্ডা দেখে আমাকে বিষয়টি জানায় তারা। তখন আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘ফুয়াদ হলের ১৮৪ নম্বর কক্ষে সিঙ্গেল থাকতেন। তার কক্ষের দরজা খোলা ছিল এবং মুখ দিয়ে রক্ত পড়ছিল। আশপাশের কক্ষের কোনো শিক্ষার্থীও তার মৃত্যুর বিষয়ে কিছু জানে না। ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর রহস্য জানা যাবে।’

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *