রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু আবার গ্রেপ্তার
পাথেয় রিপোর্ট (পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম) : আবারও গ্রেফতার হয়েছেন রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু। বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলুকে ঢাকার গুলশানের বাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, যিনি প্রার্থিতা ফেরাতে আপিল বিভাগে আইনি লড়াইয়ে লড়ছিলেন।
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার মো.মাহবুব আলম গণমাধ্যমকে বলেন, শেরেবাংলা নগর থানার একটি মামলায় উনার বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট আছে।
বুধবার বেলা ১১টায় গোয়েন্দা পুলিশ যখন দুলুকে তার বাসা থেকে গ্রেপ্তার করে, এই বিএনপি নেতার আইনজীবীরা তখন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে মনোনয়নপত্রের বৈধতা প্রশ্নে শুনানি করছিলেন।
ডিবির লোকজন এসে বাসা থেকে উনাকে নিয়ে গেছে, বিস্তারিত কিছু তারা বলেনি। যোগ করলেন দুলুর সহকারী শামসুল আলম রনি।
সাবেক প্রতিমন্ত্রী দুলু আগামী ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠেয় একাদশ সংসদ নির্বাচনে নাটোর-২ আসনে দলের মনোনয়ন পেয়েছিলেন।
কিন্তু ফৌজদারি মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হওয়ায় তার মনোনয়নপত্র বাতিল করে দেন রিটার্নিং কর্মকর্তা। নির্বাচন কমিশনে আপিলেও সেই সিদ্ধান্ত বহাল থাকে।
নির্বাচন কমিশনে আপিল খারিজ হয়ে যাওয়ার পর দুলুর আসনে তার স্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিনকে চূড়ান্ত মনোনয়ন দিয়ে নির্বাচন কমিশনে তালিকা পাঠায় বিএনপি। কিন্তু দুলু হাই কোর্টে রিট আরেবদন করে প্রার্থিতা ফেরত পান।
হাই কোর্টের একটি বেঞ্চ নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত স্থগিত করে দুলুর মনোনয়নপত্র বৈধ হিসেবে গ্রহণ করতে নির্বাচন কমিশনকে নির্দেশ দেয়। পাশাপাশি তার আসনে দলের কোনো বিকল্প প্রার্থী থাকলে এবং তিনি মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করতে চাইলে সেই সুযোগ দিতে বলা হয়।
এর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের এক আবেদনে মঙ্গলবার চেম্বার আদালত হাই কোর্টের ওই আদেশ স্থগিত করে বিষয়টি শুনানির জন্য আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে পাঠিয়ে দেয়।
এর ১০ ডিসেম্বর নাটোর-২ আসনের বিএনপির প্রার্থী রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলুর মনোনয়নপত্র গ্রহণ করতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি রাজিক-আল-জলিলের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ তাঁদের করা পৃথক রিটের শুনানি নিয়ে সোমবার রুলসহ এ আদেশ দেন।
আইনজীবী সূত্র জানিয়েছিল, দুর্নীতির মামলায় ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু ও ফৌজদারি মামলায় রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলুর দণ্ড ও সাজা থাকায় তাঁদের মনোনয়নপত্র বাতিল করেন সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তা। এর বিরুদ্ধে তাঁরা নির্বাচন কমিশনে আপিল করলে নির্বাচন কমিশন তা নামঞ্জুর করেন। রিটার্নিং কর্মকর্তা ও নির্বাচন কমিশনে বিফল হয়ে প্রার্থিতা ফিরে পেতে ওই দুই প্রার্থী গতকাল পৃথক দুটি রিট করেন। তাঁদের যুক্তি, দণ্ড ও সাজার বিরুদ্ধে তাঁদের আপিল হাইকোর্টে বিচারাধীন। তাঁদের দণ্ড ও সাজা এর আগে হাইকোর্ট স্থগিত করেছেন। এ অবস্থায় তাঁদের নির্বাচনে লড়তে বাধা নেই।