পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম: নানা উদ্যোগ নেওয়ার পরও ব্যাংকের মাধ্যমে প্রবাসী আয় বা রেমিট্যান্সে গতি খুব বাড়েনি। আগের ধারাবাহিকতায় চলতি মাসেও নিম্নগতি লক্ষ করা যাচ্ছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বলছে, চলতি অক্টোবরের প্রথম ২০ দিনে প্রবাসীরা বৈধপথে দেশে রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন ১২৫ কোটি ৭০ হাজার ডলার। এতে দৈনিক রেমিট্যান্স আসছে ৬ কোটি ২৫ লাখ মার্কিন ডলার।
রবিবার (২২ অক্টোবর) কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
খাত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ব্যাংকগুলোর চেয়ে খোলা মুদ্রাবাজারে ডলারের দর বেশি থাকায় হুন্ডির মাধ্যমে রেমিট্যান্স পাঠাতে বেশি আগ্রহী হচ্ছেন প্রবাসীরা। ফলে আনুষ্ঠানিক চ্যানেলে রেমিট্যান্স কমে যাচ্ছে। বর্তমান বিশ্ব প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের অর্থনীতির গুরুত্বপূর্ণ সূচক রেমিট্যান্স। এই সূচকের বাড়া-কমার ওপর অনেকটাই নির্ভর করছে রিজার্ভের উত্থান-পতন।
তথ্য পর্যালোচনায় দেখা গেছে, চলতি মাসের ২০ দিনে যে পরিমাণ রেমিট্যান্স দেশে এসেছে—এরমধ্যে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ১০ কোটি ১৫ লাখ ২০ হাজার ডলার, বিশেষায়িত একটি ব্যাংকের মাধ্যমে ৪ কোটি ১৫ লাখ ৩০ হাজার মার্কিন ডলার, বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ১১০ কোটি ৩১ লাখ ১০ হাজার ডলার এবং বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৩৯ লাখ ১০ হাজার মার্কিন ডলার।
২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে রেমিট্যান্স এসেছে ১৯৭ কোটি ৩১ লাখ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার এবং আগস্টে এসেছে ১৫৯ কোটি ৯৪ লাখ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার। আর সেপ্টেম্বরে এসেছে ১৩৪ কোটি ডলার—যা গত ৪১ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন। এর আগে ২০২০ সালের এপ্রিল মাসে ১০৯ কোটি ডলার রেমিট্যান্স এসেছিল।
অবশ্য রেমিট্যান্স আনতে সরকারের আড়াই শতাংশ প্রণোদনার সঙ্গে ব্যাংকগুলো আরও ২ দশমিক ৫ শতাংশ প্রণোদনা দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। মনে করা হচ্ছে, একে রেমিট্যান্স প্রবাহ ধীরে ধীরে বাড়বে।