পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম : কক্সবাজারের উখিয়ার বালুখালী রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ব্যাপক গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় চারজন গুলিবিদ্ধ হন। এর মধ্যে তিনজন শিশু। অপর একজন সাধারণ রোহিঙ্গা। তাদের উখিয়ার বালুখালী রোহিঙ্গা ক্যাম্পের অভ্যন্তরে থাকা তুর্কি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ঘটনার পর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের অভ্যন্তরে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। পুরো ক্যাম্প এলাকাজুড়ে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়।
সোমবার দুপুরে উখিয়ার বালুখালী রোহিঙ্গা ক্যাম্পে (ক্যাম্প-৮ ডব্লিউ) এ ঘটনা ঘটে। আহতরা হলেন উখিয়ার বালুখালী রোহিঙ্গা ক্যাম্প-৮ বাসিন্দা মোহাম্মদ করিমের ছেলে ওমর ফারুক (০৭), একই রোহিঙ্গা ক্যাম্পের জামাল উদ্দিনের ছেলে মো. জসিম (০৬), মোস্তাক আহমদের ছেলে মোহাম্মদ ফারুক (০৭) ও আমানুল্লাহ ছেলে করিম উল্লাহ (৫৫)।
জানা যায়, ক্যাম্পের নিয়ন্ত্রণ ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে মিয়ানমারের সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান স্যালভেশন আর্মি (আরসা) ও আরাকান রোহিঙ্গা সলিডারিটি অর্গানাইজেশনের (আরএসও) সদস্যদের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় পথচারী তিন শিশুসহ ছররা গুলিতে চারজন রোহিঙ্গা আহত হন।
উখিয়া থানার ওসি শেখ মোহাম্মদ আলী ফোনে বলেন, এ ধরনের কোনো গোলাগুলির ঘটনা তার জানা নেই।
১৪ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) অধিনায়ক ও অতিরিক্ত উপমহাপরিদর্শক (অ্যাডিশনাল ডিআইজি) ছৈয়দ হারুনুর রশিদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ক্যাম্পে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীদের সশস্ত্র দুটি গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এতে শিশুসহ চারজন আহত হয়। সন্ত্রাসীদের ধরতে ক্যাম্পে সাঁড়াশি অভিযান চলছে। ক্যাম্পের সার্বিক পরিস্থিতি বর্তমানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে।