পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম : কক্সবাজারের উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্প এলাকায় পৃথক পাহাড় ধসের ঘটনায় ১১জন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে ১০ জন রোহিঙ্গা ও একজন স্থানীয় শিশু। গত মঙ্গলবার মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত উখিয়ার ৮, ৯, ১০, ও ১৪ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পাহাড় ধসের এই ঘটনা ঘটে। শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মো: মিজানুর রহমান জানিয়েছেন, নিহতদের মধ্যে নারী ও শিশু রয়েছে। পাহাড় ধসে স্থানীয় থাইংখালী উচ্চ বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্র আব্দুল করিম নিহত হয়।
সে স্থানীয় থাইংখালী এলাকার বৈদ্য শাহ আলমের ছেলে। বিষয়টি নিশ্চিত করে উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শামীম হোসেন বলেন, ৯ এবং ১০ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটেছে। ঘটনাস্থল থেকে এক এনজিও কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ৯ নম্বর ক্যাম্পে ৩ জন এবং ১০ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ৭ জনসহ মোট ১০ জন রোহিঙ্গা পাহাড় ধসে মৃত্যুবরণ করেন।
থাইংখালী উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষক কমরুদ্দিন মুকুল জানান, থাইংখালী উচ্চ বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্র আব্দুল করিম ভারী বর্ষণের ফলে পাহাড় ধসে নিহত হয়েছেন। রোহিঙ্গা ও স্থানীয় স্কুলছাত্রসহ মোট ১১ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। নিহতরা হলেন. রোহিঙ্গা মোহাম্মদ হারেছ (২) আবু মেহের (২৫) শাহানা (২২), আবুল কালাম, (৫০) সেলিমা খাতুন (৪৫), মোছা: ফুতুনি (৩৪), মোহাম্মদ কালাম, মোছা: জয়নব বিবি, মো: হোসেন আহমদ (৫০), তার স্ত্রী আনোয়ারা বেগম (১৮) ও স্থানীয় শিশু আব্দুল করিম (১২)।
পালংখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এম গফুর উদ্দিন চৌধুরী জানান, অতি ভারী বৃষ্টির কারণে থাইংখালী ১৪ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের পাহাড়ধসে কাঁটাতারের বাইরে শাহ আলমের বাড়িতে এসে পড়ে। এ সময় আব্দুল করিম নামে এক শিশুর মৃত্যু হয়। পাহাড়ি এলাকায় রোহিঙ্গারা পাহাড় ধসের ঝুঁকিতে বসবাস করছেন। মঙ্গলবার থেকে কক্সবাজারের উখিয়ায় একটানা ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে এ পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটছে।
