রৌমারী-চিলমারী নৌ-রুটে ফেরি চলাচল বন্ধ

রৌমারী-চিলমারী নৌ-রুটে ফেরি চলাচল বন্ধ

পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম : রৌমারী ফেরিঘাটে ব্রহ্মপুত্র নদে বন্যার পানি বৃদ্ধি ও চিলমারী ফেরিঘাটে রাস্তা সংস্কারজনিত কারণে ১০ দিন ধরে এই রুটে ফেরি চলাচল বন্ধ রয়েছে। ফেরি চলাচল বন্ধ থাকায় দুর্ভোগে পড়েছে পণ্যবাহী পরিবহনগুলো।

সরেজমিনে রৌমারী ফেরিঘাটে গিয়ে দেখা গেছে, ফেরিঘাটের সংযোগ সড়ক বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে। পারাপারের অপেক্ষায় কাঁচা ও পাকা রাস্তার ওপর সারি সারি বন্ধভাবে দাঁড়িয়ে আছে মালবাহী ট্রাক ও ছোটবড় যানবাহন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে বিআইডব্লিউটিএর উপ-সহকারী প্রকৌশলী আবুল কালাম আজাদ বলেন, চিলমারী ফেরিঘাটের রাস্তা সংস্কার কাজের পরিবেশ না হওয়ায় এবং নদে পানির তীব্র স্রোতের কারণে ফেরিঘাটটি ১০ দিন ধরে বন্ধ রয়েছে।

বিআইডব্লিউটিএ অফিস সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের ২০ সেপ্টেম্বর জমকালো অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে তৎকালীন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন এমপি, বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যান, বিআইডব্লিউটিসির চেয়ারম্যান, নৌপরিবহন সচিব সমন্বয়ে চিলমারী-রৌমারী রুটে ফেরি চলাচলের জন্য ফেরি কুঞ্জলতা ও ফেরি বেগম সুফিয়া কামালের শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করেন। তবে, নদের নাব্যর কারণে বিআইডব্লিউটিএ ফেরি কুঞ্জলতাকে সরিয়ে যুক্ত করে ফেরি কদমকে। নদীভাঙন, ব্রিজ ভেঙে ও রাস্তা সংস্কার কাজের কারণে ইতিপূর্বে এ রুটে কয়েক দফা ফেরি চলাচল বন্ধ ছিল।

চিলমারী ও রৌমারী নৌপথের দৈর্ঘ্য ২১ কিলোমিটার। তবে, ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে এই পথের দৈর্ঘ্য ১৩-১৪ কিলোমিটার কমিয়ে আনার চেষ্টা চলছে। এতে ফেরি পারাপারের সময় লাগবে দুই-তিন ঘণ্টা। এ ফেরি সার্ভিস চালু হলে শুধু রৌমারী, রাজীবপুর ও চিলমারী নয়, কুড়িগ্রাম জেলাসহ আটটি জেলার সঙ্গে ঢাকার যোগাযোগ অনেকটা সহজ হবে। কমবে যাতায়াত খরচও।

Related Articles