শাপলা চত্বর ঘিরে পুলিশ, সন্দেহ হলেই আটক-জিজ্ঞাসাবাদ

শাপলা চত্বর ঘিরে পুলিশ, সন্দেহ হলেই আটক-জিজ্ঞাসাবাদ

পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম: মতিঝিলের শাপলা চত্বর ও আশপাশের এলাকা পুরোপুরি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে। রাজধানীর আরামবাগ, করিম চেম্বার ভবন, কালভার্ট রোডের মতো শাপলা চত্বরে ঢোকার যত প্রবেশমুখ রয়েছে সবগুলোই ব্যারিকেড দিয়ে বন্ধ করে রাখা হয়েছে। ব্যারিকেড পার হয়ে কাউকেই শাপলা চত্বরের দিকে যেতে দিচ্ছে না পুলিশ। দু-একজন ঢুকলেও পড়তে হচ্ছে ব্যাপক পুলিশি জেরায়। সন্দেহ হলেই করা হচ্ছে আটক ও জিজ্ঞাসাবাদ।

সকাল সাড়ে সাতটায় আরামবাগ মোড়ে গিয়ে দেখা যায়, ব্যারিকেড দিয়ে শাপলা চত্বরের প্রবেশ মুখ বন্ধ করে রাখা হয়েছে। ব্যারিকেডের একপাশে পুলিশের ব্যাপক উপস্থিতি, অপর পাশে নয়াপল্টনমুখী বিএনপির নেতা-কর্মীরা। তারা এসব ব্যারিকেডের সামনে কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে সরকার ও পুলিশবিরোধী নানা স্লোগান দিচ্ছে। এমন সময় ব্যারিকেডের ভেতরে সন্দেহজনক চলাফেরায় কারণে একজন পথচারীকে আটক করতে দেখা যায়।

আটকের বিষয়টি স্বীকার করে একজন সহকারী পুলিশ কমিশনার পদমর্যাদার কর্মকর্তা স্বীকার বলেন, ‘সন্দেহভাজন আটক। জিজ্ঞাসাবাদ করে কিছু না কিছু না পেলে ছেড়ে দেওয়া হবে।’

সকাল সাতটায় করিম চেম্বার ভবন এলাকার ব্যারিকেডের কাছে কথা হয় এক পথচারীর সঙ্গে। আব্দুল হালিম নামে ওই ব্যক্তি বলেন, ‘আমি শাপলা চত্বর হয়ে এদিকে আসার সময় ব্যাপক পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি পড়ি। আমার টুপি ও দাঁড়ি দেখে তারা আমাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে।’

সাতটা ৫১ মিনিটের দিকে হুট করেই আরামবাগ সৌদিয়া বাস কাউন্টারের সামনে শ খানেক জামায়াত নেতা-কর্মীকে স্লোগান দিতে দেখা যায়। তারা ‘নারায়ে তকবির-আল্লাহু আকবার, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামি-জিন্দাবাদ, টেক ব্যাক বাংলাদেশ, শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ডাইরেক্ট অ্যাকশন।’ এ সময় ব্যারিকেডের এপাশে পুলিশ সদস্যদের সতর্ক অবস্থানে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে।

তার আগে সকাল সাতটা দশ মিনিটের দিকে শাপলা চত্বরে গিয়ে দেখা যায়, প্রায় তিন শতাধিক পুলিশ ও আনসার সদস্য সতর্ক অবস্থানে। একটি রায়ট কার ও জলকামান প্রস্তুত রাখা হয়েছে। নটরডেম কলেজের সামনের ব্যারিকেডে একজন পুলিশ সদস্যের সঙ্গে এক পথচারীকে বাগ্‌বিতণ্ডায় জড়াতে দেখা যায়। পথচারী শাপলা চত্বর হয়ে তার কর্মস্থলে যাওয়ার কথা জানালেও পুলিশ তাঁকে সামনে যেতে বাধা দেয়।

সকাল আটটার দিকে আরামবাগ মোড়ে পল্টনের সমাবেশমুখী কয়েক শ বিএনপি নেতা-কর্মীর সঙ্গে পুলিশের বাগ্‌বিতণ্ডা হয়। পুলিশের পক্ষ থেকে তাদের বারবার বলা হচ্ছিল, ‘আপনারা যারা বিএনপি করেন তারা এখানে জটলা করবেন না। আপনারা সমাবেশস্থলে চলে যান। আমরা কিছু বলব না। আপনাদের আড়ালে জামায়াত-শিবিরের লোকজন ঢুকে গেছে। এখানে জামায়াতের কোনো স্থান নেই।’

এ সময় সমবেত নেতা-কর্মীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে স্লোগান দিতে থাকে। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয়। একপর্যায়ে নেতা-কর্মীরা রাস্তায় বসে পড়েন কয়েকবার। পরে পুলিশের পক্ষ থেকে তাদের বুঝিয়ে তুলে দেওয়া হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *