শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ কর্মসূচিতে মারমুখী ছাত্রলীগ

শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ কর্মসূচিতে মারমুখী ছাত্রলীগ

পাথেয় ডেস্ক : কোটা সংস্কার আন্দোলনে হামলার প্রতিবাদ ও গ্রেপ্তার ছাত্রদের মুক্তির দাবিতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার এলাকায় শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ কর্মসূচিতে দফায় দফায় বাধা দেওয়া হয়েছে। হামলা চালানো হয়েছে। হামলাকারীরা ছাত্রলীগের কর্মী বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

আজ রোববার দুপুরের দিকে কর্মসূচির একপর্যায়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা মিছিল বের করলে তাঁদের ওপর হামলা হয়। এ সময় শিক্ষকদের সঙ্গে ছাত্রলীগ মারমুখী আচরণ করে। তারা ছাত্রীদের মারধর করে। ধাওয়া ও ধাক্কা দিয়ে মিছিল ছত্রভঙ্গ করে দেয়।

গ্রেপ্তার শিক্ষার্থীদের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে নিঃশর্ত মুক্তি, ক্যাম্পাসে হামলাকারীদের গ্রেপ্তার ও নিরাপদ ক্যাম্পাসের দাবিতে আজ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার এলাকায় কর্মসূচি দিয়েছিলেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। তবে তাঁরা ঘটনাস্থলে আসার আগেই সেখানে অবস্থান নেয় ছাত্রলীগ। তারা শহীদ মিনারের বেদির সামনে শিক্ষক-ছাত্রদের মুখোমুখি অবস্থান নেয়।

ছাত্রলীগের এই নেতা-কর্মীদের মধ্যে ইডেন ও বদরুন্নেসা কলেজের শিক্ষার্থীরাও ছিলেন বলে প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্য।

বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজের শিক্ষার্থী পপি জানান, তাঁরা ১২০ জন ছাত্রলীগের সঙ্গে এসেছেন।

কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে থেকে মিছিল বের করেন শিক্ষক ও ছাত্ররা। ছবি: সাজিদ হোসেনকেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে থেকে মিছিল বের করেন শিক্ষক ও ছাত্ররা।একপর্যায়ে ‘পাকিস্তানি রাজাকার শিক্ষকদের বহিষ্কার করতে হবে’, ‘শিক্ষকেরা জামায়াত-শিবিরের দোসর’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকেন ছাত্রলীগের কর্মীরা। শিক্ষকদের গালাগালি ও মাইক বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগও পাওয়া যায়। হেনস্তার শিকার হয়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা শহীদ মিনারের সামনে থেকে সরে যেতে বাধ্য হন। সেখান থেকে সরে তাঁরা মিছিল বের করেন।

মিছিলটি আইন অনুষদের দিকে গিয়ে দাঁড়ালে ছাত্রলীগের কর্মীরা মিছিলে ঢুকে যান। তাঁরা ছাত্রীদের মারধর করেন। শিক্ষকদের গালিগালাজ করতে থাকেন। এ সময় সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে ছাত্রলীগ কর্মীদের হামলায় নাজেহাল হন এটিএন বাংলার সাংবাদিক ইমরান সুমন। ছাত্রলীগের বাধা ও হামলার মুখে মিছিলটি ছত্রভঙ্গ হয়। শিক্ষক ও ছাত্রদের একাংশ আবার শহীদ মিনারে অবস্থান নেন।

কর্মসূচিতে শিক্ষকদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষক তানজীম উদ্দীন খান, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ফাহমিদুল হক, আবদুর রাজ্জাক প্রমুখ।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *