শিশুদের জন্য বিশেষ স্মার্টফোন চালু হল যুক্তরাজ্যে

শিশুদের জন্য বিশেষ স্মার্টফোন চালু হল যুক্তরাজ্যে

পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম : পিনহুইলের এই স্মার্টফোনের মাধ্যমে সন্তানের সব ধরনের টেক্সট মেসেজ ও কলের ইতিহাস দূর থেকে পর্যবেক্ষণ করতে পারবেন অভিভাবকরা।

এই প্রথম শিশুদের জন্য বিশেষভাবে ডিজাইন করা স্মার্টফোন চালু হল যুক্তরাজ্যে।

শিশুদের জন্য নিরাপদ এই স্মার্টফোনটিতে রয়েছে বয়স উপযোগী সুরক্ষা ব্যবস্থা। অভিভাবকরা চাইলে দূর থেকেও তাদের সন্তানদের এ ফোনের মাধ্যমে পর্যবেক্ষণ করতে পারবেন বলে প্রতিবেদনে লিখেছে ব্রিটিশ দৈনিক ইন্ডিপেনডেন্ট৷

মার্কিন কোম্পানি ‘পিনহুইল’-এর নির্মিত এই ফোনটিতে রয়েছে বিশেষভাবে ডিজাইন করা অপারেটিং সিস্টেম, যা ব্যবহার করা যেতে পারে সব ধরনের বড় নেটওয়ার্ক ব্যবস্থাতেও।

পিনহুইলের এই স্মার্টফোনের মাধ্যমে সন্তানের সব ধরনের টেক্সট মেসেজ ও কলের ইতিহাস দূর থেকে পর্যবেক্ষণ করতে পারবেন অভিভাবকরা। এমনকি এই ফেনের মাধ্যমে পরিচিত কারো নম্বর অনুমোদনের পাশাপাশি বিভিন্ন অ্যাপ ও চ্যাটিংয়ের জন্য সময় সীমাও নির্ধারণ করার ক্ষমতা পাবেন তারা।

ফোনটিতে আরও রয়েছে একটি সহযোগী ‘অ্যাপ লাইব্রেরি’, যেখানে বিভিন্ন প্রশ্নকে ডিজাইন করা হয়েছে শিশুদের বয়সকে মাথায় রেখে। তবে এ ফোনে সব ধরনের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম অ্যাপ ও বিভিন্ন ওয়েব ব্রাউজার নেই।

শিশুদের শারীরিক সুস্থতা ও মানসিক স্বাস্থ্যের উপর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও ফোনের পর্দায় কাটানো সময়ের প্রভাব সম্পর্কে উদ্বেগ প্রতিনিয়ত বাড়ছে। ফলে সন্তানদের স্মার্টফোনের কার্যকলাপ অভিভাবকরা যাতে নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন এমন বিভিন্ন ফিচার চালু করছে বড় ফোন নির্মাতা ও বিভিন্ন অনলাইন প্ল্যাটফর্মগুলো।

পিনহুইল বলেছে, এ ফোনে থাকা কেন্দ্রীয় অনলাইন পোর্টাল থেকে সন্তানদের ডিভাইস পর্যবেক্ষণ করতে পারবেন অভিভাবকরা। আর এই অনলাইন পোর্টালে ডেস্কটপ বা ফোন থেকেও ঢুকতে পারবেন তারা।

এ ছাড়া, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে শিশুরা বেড়ে ওঠার ক্ষেত্রেও ফোনের সেটিংস চাহিদামতো কাস্টমাইজ করতে পারবেন অভিভাবকরা। স্বাধীনভাবে সন্তানদের বেড়ে ওঠার জন্য ফোনের বিভিন্ন ফিচারও চাইলে খুলে দিতে পারেন তারা। ফলে আরও ভালভাবে প্রযুক্তি ব্যবহারের সুযোগ মিলবে শিশুদের।

কোম্পানিটির প্রধান নির্বাহী ও প্রতিষ্ঠাতা ডেন উইটবেক বলেছেন, “কয়েক বছর আগে যুক্তরাষ্ট্রে পিনহুইল উন্মোচনের পর থেকেই যুক্তরাজ্যদসহ সব জায়গার মা-বাবাদের কাছে এ ফোনের কথা দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। অবশেষে যুক্তরাজ্যে ফোনের চাহিদা মেটাতে পেরে আমরা উচ্ছ্বসিত।”

“আমাদের বিশ্বাস, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও ইন্টারনেটে ইচ্ছেমতো প্রবেশের খারাপ প্রভাব ও বিভ্রান্তি ছাড়াই ডিজিটাল ডিভাইসের ব্যবহার এবং স্ক্রিনটাইম সম্পর্কে শিশুদের স্বাস্থ্যকর অভ্যাস গড়ে তুলতে সহায়তা করবে আমাদের এই স্মার্টফোন।

Related Articles