পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম: শীতের হিমেল হাওয়ার আনাগোনা হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই তুলে রাখা জ্যাকেট, সুয়েটার, শাল, লেপ ও কাঁথা প্রায় সকলেই নামিয়ে ফেলেছেন। আর শীতের পোশাক গায়ে জড়ানোতে যত আনন্দ, ঠিক ততই ঝক্কি পোহাতে হয় শীতের পোশাকের যত্ন নিতে গিয়ে।
আমাদের দেশে শীতের সময়কাল কম, তাই গরম পোশাকগুলো বেশ অল্প সময়ের জন্যই পরা হয়। বেশীরভাগ সময়ই প্যাকেটবন্দি থাকে এগুলো।
তবে শীতের সময় যদি পোশাকগুলোর একটু বাড়তি যত্ন নেওয়া যায়, তবে তা দীর্ঘদিন টেকসই হয়।
১. শীতের পোশাক আলাদা ধোয়া
গরমজামার সঙ্গে অন্য কোনও কাপড় ধুবেন না। অনেকেই একসঙ্গে সমস্ত পোশাক ওয়াশিং মেশিনে ঢুকিয়ে দেন। এটা না করলেই ভাল। এতে সময় বাঁচলেও গরম পোশাকের দীর্ঘায়ু কমে যাবে। তাই শীতের পোশাক আলাদা ধোয়া উচিত।
২. অল্প অল্প করে ধোয়া
এক সপ্তাহে আলমারি থেকে যত শীতের জামা বার করেছেন সব একসঙ্গে ওয়াশিং মেশিনে ঢুকিয়ে দেবেন না। অল্প অল্প করে ধোয়া উচিত। একসঙ্গে সব ধুলে পোশাক থেকে রং উঠতে পারে। তা ছাড়া ঠিক করে পরিষ্কারও হবে না।
৩. রোদে দেয়া
শীতের পোশাক রোদে দেওয়ার আগে ভাল করে পানি ঝরিয়ে নিন। পানিসহ রোদে মেলে দিলে শুকোতে অনেক দেরি হবে। তা ছাড়া দীর্ঘক্ষণ রোদে রাখলে গরম পোশাকের আয়ুও অনেক কমে যায়। রং ও নষ্ট হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
৪. সোয়েটার
একরঙা সোয়েটার শীতের আগে ধুয়ে নেওয়াই ভালো। তবে সোয়েটার ধুতে হবে ঠান্ডা পানিতে শ্যাম্পু ব্যবহার করে। সাদা রং বাদে অন্যান্য রঙের ক্ষেত্রে একটু ভিনেগার পানিতে মিশিয়ে নিতে পারেন। এতে কাপড়ে উজ্জ্বলতা বাড়ে। অন্যদিকে উলের কাপড় ব্রাশ করে কিংবা রগরিয়ে ধোবেন না। হালকাভাবে পানিতে ডুবিয়ে রেখে ময়লা পরিষ্কার হয়ে এলে রোদে দিয়ে দিন।
৫. লেদারের কাপড়
হালকা শীতে লেদারের কোটের চাহিদা ভালো। কোট বাড়িতে না পরিষ্কার করে ড্রাই ক্লিন করে নিন। আর পরিষ্কার করে তোলা থাকলে নামিয়ে হালকা হাতে নরম ব্রাশে পরিষ্কার করে বারান্দার রোদে একটু রাখতে পারেন। এ ছাড়া চাদরের ক্ষেত্রেও একইভাবে পরিষ্কার করে নিন।