শেরপুরে রাসেলস ভাইপার ভেবে পিটিয়ে মারা হল অজগর

শেরপুরে রাসেলস ভাইপার ভেবে পিটিয়ে মারা হল অজগর

পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম : জেলার পরিবেশবাদী একটি সংগঠনের সভাপতি বলেন, আতঙ্কিত হয়ে এভাবে সাপ মারলে প্রকৃতি থেকে প্রাণীটি বিলুপ্ত হয়ে যাবে।

শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলায় বিষধর রাসেলস ভাইপার ভেবে অজগরের বাচ্চাকে পিটিয়ে মেরেছে এলাকাবাসী।

শনিবার মধ্যরাতে উপজেলার রামচন্দ্রকুড়া ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী কালাকুমা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে বলে জানান শেরপুরের পরিবেশবাদী যুব সংগঠন গ্রিন ভয়েসের সভাপতি রফিক মজিদ।

প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন যুবক জানান, শনিবার রাতে কয়েকজন যুবক কালাকুমা গ্রামের একটি দোকানে আড্ডা দিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। এ সময় তারা দেখতে পান, একটি সাপ ঝোপ থেকে বেরিয়ে রাস্তা পার হচ্ছে। পরে তাদের ডাক-চিৎকারে এলাকাবাসী ওই সাপকে বিষাক্ত রাসেলস ভাইপার ভেবে বাঁশের লাঠি দিয়ে পিটিয়ে মেরে ফেলেন।

ঘটনা জানাজানি হলে মুহূর্তেই স্থানীয়দের মধ্যে রাসেলস ভাইপার আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পরে মৃত সাপটি অজগর বলে শনাক্ত হলে স্থানীয়দের আতঙ্ক কেটে যায়।

গ্রিন ভয়েসের রফিক মজিদ বলেন, “পিটিয়ে হত্যা করা সাপটি ছিল অজগরের বাচ্চা, এই জাতের সাপের বিষ নেই, নির্বিষ। আতঙ্কিত হয়ে এভাবে সাপ মারলে প্রকৃতি থেকে প্রাণীটি বিলুপ্ত হয়ে যাবে। এতে ইকো সিস্টেম ভেঙে যাবে। তখন জটিল সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে।”

শেরপুর বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ কর্মকর্তা সুমন সরকার বলেন, এসব এলাকায় মাঝে মাঝেই অজগর সাপের দেখা মেলে। কোথাও কোনো সাপ ধরা পড়লে আমরা তা উদ্ধার করে উপযুক্ত পরিবেশে অবমুক্ত করি। তাছাড়া বন্যপ্রাণী নিয়ে কাজ করা স্থানীয় বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনও বন্যপ্রাণী উদ্ধার কাজে আমাদের সহযোগিতা করে।

বর্তমানে দেশব্যাপী রাসেলস ভাইপার নিয়ে যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে এতে শঙ্কিত না হয়ে সবাইকে সচেতন থাকার আহ্বান জানান তিনি।

সুমন সরকার বলেন, “কাউকে সাপে কাটলে যতদ্রুত সম্ভব স্থানীয় সরকারি হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে। আমরা জানি, সাপ খাদ্যশৃঙ্খলে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাই এদের রক্ষায় সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে এবং কোথাও কোনো বন্যপ্রাণী ধরা পড়লে স্থানীয় বন বিভাগে খবর দিলে আমরা তার তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণ করি।”

Related Articles