শেরপুরে শিলাবৃষ্টিতে কৃষকের সর্বনাশ

শেরপুরে শিলাবৃষ্টিতে কৃষকের সর্বনাশ

পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম : মাত্র ৩০ মিনিটের কাল বৈশাখী ঝড় আর শিলাবৃষ্টিতে সহাস্রাধিক কৃষকের সর্বনাশ হয়েছে। মঙ্গলবার ভোরে শেরপুরের শ্রীবরদী ও ঝিনাইগাতীর প্রায় ৪০ টি গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটে। কালবৈশাখী ঝড় আর শিলাবৃষ্টিতে শাকসবজিসহ বোরো আবাদের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতি পুষিয়ে নিতে সরকারি সহায়তা চেয়েছেন ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা।

জানা যায়, মঙ্গলবার ভোরে শুরু হয় দমকা হাওয়াসহ কালবৈশাখী ঝড় ও শিলাবৃষ্টি। এতে শ্রীবরদী ও ঝিনাইগাতী উপজেলার প্রায় ৪০ টি গ্রামের ৫ সহাস্রাধিক হেক্টর জমির শাক সবজিসহ বোরো ধান ক্ষেতের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। শিলা বৃষ্টিতে প্রায় সব ক্ষেতের ধান গাছ নুয়ে পড়েছে মাটিতে।

কৃষকরা জানান, গত দুই বছর ধরে তারা নানা কারণে ধান আবাদে লোকসান গুনছেন। এর মধ্যে শিলাবৃষ্টিতে যে ক্ষতি হয়েছে তা পোষানো সম্ভব না। একাধিক সূত্র ও উপজেলা কৃষি বিভাগের তথ্য মতে, শিলা বৃষ্টিতে ঝিনাইগাতীর চেয়ে শ্রীবরদীতে বেশি ক্ষতি হয়েছে।

শ্রীবরদীর পোড়াগড় গ্রামের কৃষক দেলোয়ার হোসেন জানান, তিনি প্রায় দুই একর জমিতে উচ্চ ফলনশীল বোরো আবাদ করেছিলেন। দু,চারদিন পর ধান কেটে ঘরে তুলবেন। কিন্তু আজ ভোরে ঝড়ো হাওয়া আর শিলা বৃষ্টিতে বোরো ক্ষেতের সব ধান মাটিতে ঝড়ে পড়েছে। বহূ গাছপালা উপড়ে পড়েছে।

তিনি বলেন, ‘মেলা কষ্ট কইরা বোরো আবাদ করছিলাম। শিলাবৃষ্টিতে আমার সব শেষ অইয়া গেছে। অহন আমি একেবারে নিঃস্ব অইছি।’ তার মতো লংগড়পাড়ার শহিদ মিয়া, রফিক মিয়া, মাটিয়াা কড়া গ্রামের শওকত আলী ও ছরেরা গ্রামের ছামিউল হকসহ শত শত কৃষকের সবজি ক্ষেত সহ বোরো আবাদ শিলা বৃষ্টিতে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।

শ্রীবরদী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হুমায়ুন দিলদার বলেন, শিলা বৃষ্টিতে শাকসবজিসহ বোরো আবাদের ক্ষতির পরিমান ৪ সহাস্রাধিক হেক্টর জমি। তবে এখনো মাঠে ক্ষয়ক্ষতি নিরুপণের কাজ চলছে। একই সাথে কৃষকের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

শ্রীবরদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিলুফা আক্তার বলেন, ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করা হচ্ছে। ঝড় ও শিলা বৃষ্টিতে অনেক ঘরের চালা ফুটো হয়েছে। শাকসবজিসহ বোরো আবাদের ক্ষতির পরিমাণ বেশি। আমরা ক্ষয়ক্ষতির তালিকা করে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করবো। নির্দেশনা পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *