সকাল ১১টায় ড. কামালের বিরুদ্ধে সাংবাদিক ফোরামের মানববন্ধন

সকাল ১১টায় ড. কামালের বিরুদ্ধে সাংবাদিক ফোরামের মানববন্ধন

পাথেয় রিপোর্ট : গণফোরাম সভাপতি ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা ড. কামাল হোসেনের সাংবাদিকদের অবমাননাকারী বক্তব্য ও হুমকির প্রতিবাদে শনিবার মানববন্ধন করবে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সাংবাদিক ফোরাম।

শনিবার (১৫ ডিসেম্বর) সকাল ১১টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হবে বলে সংগঠনটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

এর আগে (১৪ ডিসেম্বর) শুক্রবার সকালে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করলে ড. কামাল হোসেন সাংবাদিকদের ভর্ৎসনা করেন এবং অসম্মানের সঙ্গে কথা বলেন।

এদিন সকালে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন করতে যান ড. কামাল হোসেন। এ সময় সাংবাদিকরা ‘আগামী নির্বাচনে জামায়াত প্রশ্নে ঐক্যফন্টের অবস্থান’ জানতে চাইলে ড. কামাল হোসেন সাংবাদিকদের র্ভৎসনা করেন এবং অসম্মানের সঙ্গে উল্টো জিজ্ঞাসা করেন ‘কতো টাকা পেয়েছো? কাদের টাকায় এসব বেহুদা প্রশ্ন করছো, তোমার নাম কী? দেখে নেবো, কোন টিভি/পত্রিকায় কাজ করো, চিনে রাখব’। এই মর্মে হুমকি ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করেন। যা বাংলাদেশের কোটি কোটি দর্শক দেখেছেন।

এসময় তিনি প্রশ্নকারী সাংবাদিকের নাম পরিচয় জানতে চাওয়ার পাশাপাশি তাকে ‘খামোশ’ বলে ধমক দেন। প্রশ্নকারী সাংবাদিকদের ‘চিনে রাখার’ কথাও বলেছেন প্রবীণ এই রাজনীতিবিদ।

এ নিয়ে কুষ্টিয়ার ইবি থানায় ড. কামাল হোসেনের বিরুদ্ধে সাধারণ ডায়েরি করেছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষক। সাংবাদিকদের হুমকি-ধামকি ও ভয়তীতি প্রদর্শনের অভিযোগে এ জিডি করা হয়।

ফৌজদারি অপরাধে অভিযোগ দায়ের করা হলেও অভিযোগটি সাধারণ ডায়েরি হিসেবে নিয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) দারুস সালাম থানায় পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে।

শুক্রবার বিকালে অভিযোগটি দাখিল করেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ফোকলোর স্টাডিজ বিভাগের প্রভাষক ড. মোস্তাফিজুর রহমান। রাতেই ইবি থানার ৬২১ নম্বর সাধারণ ডায়েরিটি ঘটনা সংশ্লিষ্ট ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) দারুস সালাম থানায় পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন কুষ্টিয়া পুলিশ সুপার তানভীর আরাফাত।

অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, ‘ড. কামাল হোসেনের এধরনের হুমকি ও ভয়ভীতি প্রদর্শনমূলক বক্তব্য বাংলাদেশের স্বাধীন সাংবাদিকতা ও মত প্রকাশে সাংবিধানিক অধিকারের পরিপন্থি এবং ভয়াবহ হুমকিও বটে। যা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০১৮ এবং বাংলাদেশ পেনাল কোড আইনের আলোকে ফৌজদারি অপরাধ।’

কুষ্টিয়া পুলিশ সুপার তানভীর আরাফাত বলেন, ড. কামাল হোসেনের বিরুদ্ধে ইবি থানায় একজন অভিযোগ দাখিল করেছেন। যেহেতু ঘটনাটি কুষ্টিয়া জেলার মধ্যে নয়, তাই আমরা মামলা নিতে পারি না। অভিযোগটি জিডি হিসেবে গ্রহণ করা হয়েছে। জিডিটি সংশ্লিষ্ট থানা ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) দারুসসালাম থানায় পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *