সন্ত্রাসী মামলায় হাফিজ সাঈদের ১০ বছরের কারাদণ্ড

সন্ত্রাসী মামলায় হাফিজ সাঈদের ১০ বছরের কারাদণ্ড

পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম : ভারতের মুম্বাইয়ের একটি পাঁচ তারকা হোটেলে ২০০৮ সালের সন্ত্রাসী হামলার মূলহোতা হিসাবে অভিযুক্ত হাফিজ সাঈদকে সন্ত্রাসের দুটি মামলায় ১০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন পাকিস্তানের সন্ত্রাস-বিরোধী আদালত। ইতোমধ্যে একাধিক মামলায় দোষী সাব্যস্ত লস্কর-ই-তৈয়বার এই নেতা আরও দুই মামলায় দণ্ডিত হলেন।

হাফিজ সাঈদকে কারাদণ্ড দেয়ার ঘটনা এই প্রথম নয়। এর আগে গত ফেব্রুয়ারিতে সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপে আর্থিক মদদ দেয়ার অভিযোগে জামাত উদ দাওয়া প্রধান হাফিজ এবং তার সহযোগীদের ১১ বছরের কারাদণ্ডের রায় দিয়েছিলেন পাকিস্তানের এক আদালত। বর্তমানে লাহোরের কোট লাখপত কারাগারে রয়েছেন তিনি।

বৃহস্পতিবার লাহোরের সন্ত্রাসবিরোধী আদালত হাফিজসহ জামাত উদ দাওয়ার ৪ নেতাকে কারাদণ্ড দেন। হাফিজ ছাড়াও জাফর ইকবাল এবং ইয়াহিয়া মুজাহিদ নামে তার ২ সহযোগীকে মোট সাড়ে ১০ বছর করে কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। এ ছাড়া ৬ মাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে হাফিজের শ্যালক আব্দুল রহমান মক্কিকে।

সন্ত্রাসী হামলায় অর্থের জোগান দেয়ার দায়ে ২০১৯ সালের জুলাইয়ে হাফিজ সাঈদকে গ্রেফতার করে লাহোরের একটি কারাগারে পাঠানো হয়। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের ওয়াশিংটন সফরের কয়েক দিন আগে তাকে গ্রেফতার করে পাকিস্তান। হাফিজ সাঈদ ‘আন্তর্জাতিক জঙ্গি’ তকমা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও জাতিসংঘ।

জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ঈ-তৈয়বার প্রতিষ্ঠাতা ও যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃক চিহ্নিত সন্ত্রাসী হাফিজ সাঈদকে মুম্বাই হামলার প্রধান অভিযুক্ত হিসেবে মনে করা হয়। ২০০৮ সালের ২৬ নভেম্বর চালানো ওই সন্ত্রাসী হামলায় ১৬৬ জন নিহত হয়েছিলেন। সে সময় ১০ জন পাকিস্তানি সন্ত্রাসী মুম্বাই শহরকে চার দিনের জন্য অকেজো বানিয়ে রেখেছিলেন।

তবে হাফিজ সাঈদ ওই সন্ত্রাসী হামলায় জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেছেন এবং জঙ্গি গোষ্ঠীটির সঙ্গেও তার নেটওয়ার্কের কোনো সম্পর্ক নেই বলে দাবি করে এসেছেন। ভারতের দাবি, মুম্বাই হামলায় হাফিজ সাঈদের জড়িত থাকার প্রমাণ থাকা সত্ত্বেও এত বছর ধরে পাকিস্তানে নিরাপদে চলাফেরা করতে দেয়া হয়েছিল তাকে।

সন্ত্রাসবাদে অর্থায়নসহ ক্রমবর্ধমান নানা চাপের মুখে পড়ে গত বছরের জুলাইয়ের শুরুর দিকে হাফিজ সাঈদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দাখিল করে পাকিস্তান। এর আগে ২০১৭ সালে চার সঙ্গীসহ তাকে আটক করেছিল পাকিস্তান। কিন্তু বিচারিক পর্যালোচনার কারণে আটকের প্রায় ১১ মাস পর তাদের ছেড়ে দেয়া হয়।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *