সার্ক দেশগুলোর জন্য ভারতের সংশোধিত মুদ্রা বিনিময় কাঠামো

সার্ক দেশগুলোর জন্য ভারতের সংশোধিত মুদ্রা বিনিময় কাঠামো

পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম : দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর সংগঠন ‘সার্ক’ভুক্ত দেশগুলোর জন্য সংশোধিত মুদ্রা বিনিময় কাঠামো (সোয়াপ) তৈরি করেছে ভারত। ২০২৪ সাল থেকে ২০২৭ সালের মধ্যে এটি কার্যকর হবে।

বৃহস্পতিবার ভারতের কেন্দ্রীয় ব্যাংক (আরবিআই) জানিয়েছে, ২০২৪-২৭ সময়সীমার মধ্যে ভারতের রুপির মাধ্যমে লেনদেনের জন্য পৃথক একটি আইএনআর সোয়াপ উইন্ডো চালু করা হয়েছে। এজন্য রুপির তহবিলের আকার ২৫ হাজার কোটি ধরা হচ্ছে।

আরবিআই আরো জানিয়েছে, মার্কিন ডলার ও ইউরোর মাধ্যমেও লেনদেনের আলাদা সোয়াপ উইন্ডোও থাকবে। তার আকার হবে ২ বিলিয়ন ডলার।

এ মুদ্রা ব্যবস্থাপনা কাঠামোর মাধ্যমে আরবিআই সার্কভুক্ত দেশগুলোর কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোর সাথে দ্বিপক্ষীয় চুক্তি করবে।

সার্ক মুদ্রা ব্যবস্থাপনা বা সার্ক কারেন্সি সোয়াপ প্রথমবার ২০১২ সালের নভেম্বরে চালু করা হয়।

দীর্ঘমেয়াদি ব্যবস্থা চালু না হওয়া পর্যন্ত সার্কভুক্ত দেশের জন্য বৈদেশিক মুদ্রা-সংকট ও লেনদেন ভারসাম্যের ঘাটতি মেটাতে তহবিল থেকে সহায়তা প্রদানের উদ্দেশ্যে এটা করা হয়।

সার্কভুক্ত দেশগুলো যারা দ্বিপক্ষীয় সোয়াপ চুক্তিতে স্বাক্ষর করবে, তারাই এ মুদ্রা ব্যবস্থাপনার সুযোগ পাবে বলে জানিয়েছে আরবিআই।

উল্লেখ্য, সার্কভুক্ত দেশগুলো হলো- বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, মালদ্বীপ, নেপাল, ভুটান ও আফগানিস্তান।

কারেন্সি সোয়াপ যেভাবে কাজ করে
কারেন্সি সোয়াপ বা মুদ্রা বিনিময় ব্যবস্থার মাধ্যমে সরাসরি ঋণ না নিয়ে বৈদেশিক মুদ্রা সংগ্রহ করা যায়।

যেমন, ধরা যাক, বাংলাদেশ এক হাজার কোটি টাকা দিলো ভারতকে, তার বিনিময়ে পেল ৭৫০ কোটি রুপি। এই রুপি কবে ফেরত দেয়া হবে, তার একটি মেয়াদ থাকবে। পাশাপাশি রুপি, টাকার জন্য বাংলাদেশ ও ভারত পক্ষ কে কত সুদ দেবে, সেটিও নির্ধারিত থাকবে।

সূত্র : ইকোনোমিক টাইমস, দ্য হিন্দু ও অন্যান্য

Related Articles