পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম : পঞ্চগড়ে যথাসময়ে পদক্ষেপ না নেওয়ায় আহমদিয়া সম্প্রদায়ের সালানা জলসা বন্ধের দাবিতে বিক্ষোভরত মানুষের ওপর পুলিশের গুলি চালানো ও এতে হতাহতের ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ করেছে হেফাজতে ইসলাম। অবশ্য জলসা বন্ধের ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়েছেন এ সংগঠনের নেতারা।
হেফাজত নেতারা বলেছেন, জলসা বন্ধের পদক্ষেপ যদি দুই দিন আগে করা হতো, তাহলে জানমালের ক্ষতি হতো না। সঠিক সময়ে প্রশাসন সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি। ফলে সাধারণ মানুষকে প্রাণ দিতে হয়েছে।
শনিবার এক বিবৃতিতে হেফাজতের আমির শাহ মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী ও মহাসচিব সাজিদুর রহমান বলেন, ‘কাদিয়ানিদের সালানা জলসা বন্ধ করার কথা আমরা আগেই বলেছিলাম। কিন্তু সেটি করা হয়নি। এর ফলে স্থানীয় তৌহিদী জনতা আন্দোলনে নামতে বাধ্য হয়েছে; দুজনকে প্রাণ দিতে হলো।’
হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের বিচারের আওতায় আনার দাবি জানিয়ে হেফাজত নেতারা বলেন, ইসলাম কারও জানমালের ক্ষতিসাধনকে সমর্থন করে না। নবীপ্রেমী তৌহিদী জনতা এসবের সঙ্গে যুক্ত নয়। জনতার প্রতিবাদকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার জন্য বিশেষ কোনো গোষ্ঠী এ কাজ চালাতে পারে। প্রশাসনের উচিত তাদের খুঁজে বের করা।
পঞ্চগড়ে হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের বিচারের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন হেফাজত নেতারা। বিবৃতিতে তাঁরা বলেন, ইসলাম কারও জানমালের ক্ষতিসাধনকে সমর্থন করে না। নবীপ্রেমী তৌহিদী জনতা এসবের সঙ্গে যুক্ত নয়। জনতার প্রতিবাদকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার জন্য বিশেষ কোনো গোষ্ঠী এ কাজ চালাতে পারে। প্রশাসনের উচিত তাদের খুঁজে বের করা।
আহমদিয়া সম্প্রদায় নিয়ে সমস্যার স্থায়ী সমাধান জরুরি মন্তব্য করে হেফাজত নেতারা বলেন, ‘এই সমস্যার স্থায়ী সমাধান হলো, এ সম্প্রদায়কে রাষ্ট্রীয়ভাবে অমুসলিম ঘোষণা করা। অমুসলিম সংখ্যালঘু হিসেবে তারা নিজ ধর্ম পালন করলে আমাদের কোনো সমস্যা নেই।’ আহমদিয়া সম্প্রদায়ের অনুসারীদের রাষ্ট্রীয়ভাবে অমুসলিম ঘোষণা করার দাবি জানান নেতারা।
জলসা বন্ধের দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ মিছিল করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে পঞ্চগড় শহরের চৌরঙ্গী মোড়ে
এদিকে আজ রাজধানীতে এক সংবাদ সম্মেলনে আন্তর্জাতিক মজলিশে তাহাফফুজে খতমে নবুওয়াত বাংলাদেশ আহমদিয়া সম্প্রদায়কে অমুসলিম ঘোষণা করার দাবি জানিয়েছে। সংগঠনটির নেতারা বলছেন, আহমদিয়া জামাতের বইপুস্তক, পত্রপত্রিকা ও সভা-সমাবেশ বন্ধ করতে হবে।
পঞ্চগড়ে হত্যাকাণ্ডে জড়িত ব্যক্তিদের বিচারের আওতায় আনার দাবি জানিয়ে সংগঠনটির নেতারা বলেন, ইমানি আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী কাউকে মামলা, গ্রেপ্তার কিংবা হয়রানি করা যাবে না।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন আন্তর্জাতিক মজলিশে তাহাফফুজে খতমে নবুওয়াতের সহসভাপতি মাওলানা মাহফুজুল হক, মহাসচিব মাওলানা মুহিউদ্দিন রাব্বানী, সহসভাপতি মাওলানা জহুরুল ইসলাম, যুগ্ম মহাসচিব মুফতি কিফায়াতুল্লাহ আজহারী, যুগ্ম মহাসচিব মুফতি মাসউদুল করীম প্রমুখ।