আরবি ভাষা ও সাহিত্যের প্রতি বাংলাভাষী পাঠক ও শিক্ষার্থীদের মাঝে ইদানিং বিপুল আগ্রহ লক্ষ্য করা যাচ্ছে। যা প্রভূত আনন্দের, আশাজাগানিয়া ও গৌরবের। প্রবীণদের মুখে শুনেছি, ইতোপূর্বে আরবি চর্চার এই স্রোত সময়ে সময়ে উদ্বেলিত হলেও—এমন সুতীব্র কখনও দেখা যায়নি। তাই বলে কখনও যে স্তিমিত হয়েছিল, তেমনও না। ফলে যে চর্চাটি এত কাল কোথাও কোথাও সীমাবদ্ধ ছিল—এই সময়ে এসে তা প্লাবনের আকার ধারণ করেছে। আর নিশ্চয় তা প্রবীণদের সাথেসাথে কিছু আধুনিক, পাঠমনষ্ক, বিদ্বান ছাত্রহিতৈষী শিক্ষকের কল্যাণেই।
আজ আমরা তেমনই এক তরুণ শিক্ষক ও সাহিত্যিক, আবদুস সালাম ইবন হাশিমের মুখোমুখি হয়েছি। যিনি একাধারে আরবি সাহিত্যিক, লেখক ও সমালোচক। আরবি ভাষার প্রতি তাঁর যে নিবেদন ও নিগূঢ় প্রেম—এর প্রারম্ভ তাঁর ছাত্রাবস্থাতেই। তাঁর জানাশোনার ব্যপ্তি ও সৃষ্টিশীলতা এমনই রূপময়, যার ফলে একাডেমিক পড়াশোনা সম্পন্নর আগেই তিনি রচনা করতে পেরেছিলেন আল কাওয়াকিবুল আশারা -এর মত অভূতপূর্ব পুস্তক। তারপর শিক্ষকজীবনে এসে প্রতিষ্ঠা করেছেন ‘আততুরাস একাডেমী’র মত আরবি ভাষা শিক্ষার চমৎকার এক পাঠশালা, যা আজ বাংলাদেশে আরবি চর্চার নবদিগন্ত উন্মোচন করেছে।
ভাষা, সাহিত্য ও আরবি ভাষা দিবসসহ সংশ্লিষ্ট নানা বিষয় নিয়ে তাঁর মুখোমুখি হয়েছিল পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম। আজ ১৮ ডিসেম্বর আরবি ভাষা দিবস উপলক্ষে তাঁর সাথে আমাদের এই আলাপন পাঠকদের সমীপে উপস্থাপন করা হলো—
পাথেয়: আজ বিশ্ব আরবি ভাষা দিবস, বৈশ্বিকভাবে এই দিবসটির তাৎপর্য কেমন?
ইবন হাশিম: নিজ ভাষার প্রতি আজন্মকাল ধরে সেই ভাষাভাষীদের আবেগ, ভালোবাসা আর সীমাহীন গর্ববোধ কাজ করে। কাজেই ভাষা কেন্দ্রিক সবকিছুরই একট তাৎপর্য থাকে। আর আরবি হলো বিপুল জনগোষ্ঠীর ভাষা। পৃথিবীর প্রাচীনতম একটি ভাষা। সাড়ে চারশো মিলিয়নের মতো মানুষ এই ভাষায় কথা বলে। তাই আরবী ভাষা দিবসে বৈশ্বিক সমারোহ সৃষ্টি হবে এটাই স্বাভাবিক।
তবে ২১ ফেব্রুয়ারিতে বাঙালির যেই ভালোবাসা আর বেদনা নিংড়ানো ভাবাবেগ থাকে তা অবশ্য ১৮ ডিসেম্বরে আরবদের মধ্যে কাজ করবে না। কারণ এই দিনটি আমাদের বাংলা ভাষার জন্য রক্ত ঝরানোর দিন, প্রাণ বিসর্জন দেওয়ার দিন। আর ওদিকে ১৮ ডিসেম্বরে আরবদের তেমন কোনো বেদনায়ক ইতিহাস নেই।
পাথেয়: আরবি সাহিত্যের শিক্ষক ও লেখক হিসেবে এই দিনটিকে কীভাবে উপভোগ করেন?
ইবন হাশিম: আলাদা করে এই দিনে আমার বিশেষ কোনো অনুভূতি নেই। আর দশটা দিনের মতোই মনে হয়। এর কারণটা বোধয় এজন্য যে, এই দিনের সাথে আমাদের ধর্মীয় কিংবা জাতিগত কোন ঘটনা বিজড়িত নেই। তাছাড়া মাত্র কিছুকাল পূর্বে ২০১০ সালে এই দিনটাকে আরবী ভাষা দিবস হিসেবে ঘোষোণা করেছে ইউনেস্কো। তবে এই ভাষাটির প্রতি আমার টান সীমাহীন।
এই দিনে আমি ছোট একটা কাজ করি, পরবর্তী বছর জুড়ে পড়ার জন্য আরবী সাহিত্যের কিছু বই নির্বাচন করি আর হয়তো ফেসবুকে আরবি ভাষা ও সাহিত্যের কোনো একটি প্রসঙ্গ নিয়ে আলোচনা করি।
পাথেয়: মাদরাসা শিক্ষার্থীরাই না কেবল সামগ্রিকভাবে আজকাল বাংলাদেশে আরবি ভাষা ও সাহিত্যের প্রচুর চর্চা দেখা যাচ্ছে। মাত্র দশ বছর আগেও যেটি তেমনভাবে সর্বজনীন হতে দেখা যায়নি। এর পেছনে উদ্দীপক হিসাবে কী কাজ করেছে বলে আপনি মনে করেন?
ইবন হাশিম: মোটাদাগে দুটি বিষয় আমার চোখে ধরা পড়ে। প্রথমত, আরব বিশ্বের সাথে শিক্ষাগত ও বুদ্ধিবৃত্তিক যোগাযোগ বৃদ্ধি পাওয়া । দ্বিতীয়ত, উপকরণের সহজলভ্যতা। একটু ভেঙ্গে যদি বলি, মিডল ইস্টের সাথে আগে আমাদের সম্পর্কটা আটকে ছিলো কেবল অর্থনৈতিক লেনদেন ও শ্রম বিনিয়োগের মধ্যে। এখন তা গড়িয়েছে শিক্ষা, ট্যুরিজম, বিজনেস ও নানান বুদ্ধিবৃত্তিক কার্যকলাপের দিকে। তাই এসব কারণে এদেশের মানুষের মধ্যে আরবি ভাষা ও সাহিত্যের চর্চাটা বৃদ্ধি পেয়েছে।
এছাড়াও আরবী ভাষা ও সাহিত্যের জগতে বিচরণ করাটা আমাদের কাছে তখন উন্মুক্ত ছিলো না। কিন্তু বিগত দশ বছরে ইন্টারনেট ও প্রযুক্তির উৎকর্ষের ফলে আরবী ভাষা সাহিত্যের বিপুল দুনিয়াটা আমাদের সামনে খুলে গিয়েছে। মুহুর্তেই আমরা হাজার হাজার বই পেয়ে যাই হাতের নাগালে। একসময় আমি অনেক খোঁজ করেও নাজীব মাহফুজ বা তাওফিক আল হাকিমের দু’টি বই জোগাড় করতে পারিনি, অথচ এখন তাদের সবগুলো বইয়ের পিডিএফ আমার মোবাইলের এক ফোল্ডারে শোভা পাচ্ছে ।
পাথেয়: সাহিত্যচর্চা কি একাডেমিক পড়াশোনায় ব্যঘাত ঘটায় বলে মনে করেন, নাকি এর অপরিহার্যতা রয়েছে?
ইবন হাশিম: সাহিত্যচর্চা বরং প্রাতিষ্ঠানিক পড়াশোনাকে আরও পাকাপোক্ত করে। যেই ছেলেটি আজীবন পাঠ্যবইয়ে বুঁদ হয়েছিলো আর যেই ছেলেটি পাঠ্যবইয়ের পাশাপাশি সাহিত্য চর্চা করেছে এদের দুজনের মধ্যকার ফারাক স্পষ্ট৷ একজনের কর্মজীবন হয় রুক্ষ কাটখোট্টা, আরেকজনেরটা হয় আনন্দঘন রঙ্গিন।
আমি একটা জিনিস লক্ষ্য করেছি, যে সকল মুহাদ্দিস সাহিত্য চর্চা করেছেন ছাত্ররা তাদের তাকরীরের প্রতি বেশী আকৃষ্ট থাকে। ব্যাক্তিগত ভাবেও তাদের সাথে ছাত্রদের সম্পর্ক বেশী থাকে। কারণ, একটু আগেই বললাম যে, সাহিত্য চর্চাকারীর কর্মজীবনটা বেশ রঙ্গীন ও মধুর হয়।
পাথেয়: বহুদিন আগে কোথাও একদা আপনি বলেছিলেন, ‘মিশরীয়রা আরবি সাহিত্যের ছড়ি ঘুরায়।’ বিষয়টি বিস্তারিত জানতে চাই।
ইবন হাশিম: একথা মানতেই হবে। অটোমান সম্রাজ্যের সময় আরবী সাহিত্যের অবস্থা খুবই শোচনীয় ছিলো। এরপরই শুরু হয় আরবী সাহিত্যের রেঁনেসার যুগ বা আসরুন নাহদাহ। পরবর্তীতে আরবী ভাষা ও সাহিত্যের যেই বৈশ্বিক উত্থান আমরা দেখি তা সম্পূর্ণ মিশরীয় কবি সাহিত্যকদের হাত ধরে গড়ে উঠেছে। গত দেড়শ বছরে কেবল মিশরে যেই পরিমাণ আরবী সাহিত্যিক জন্ম নিয়েছেন পুরো পৃথিবী মিলিয়ে সে সংখ্যার সমান হবে না।
আহমাদ শাওকী, হাফিজ ইবরাহীম কিংবা ইবরাহীম মাঝনী এরা কাছাকাছি সময়ের মানুষ। এদের মতো তুখোড় কবি সাহিত্যিক তখন আরবের অন্য কোনো দেশ কল্পনাও করেনি। হুসাইন হায়কাল, আব্বাস মাহমুদ আক্কাদ, ত্বহা হুসাইনদের মতো ক্রিটিক বা সমালোচক তখন কেবল মিশরেই ছিলো। আব্দুর রহমান শুকরী, তাওফিক আল হাকিম, এদের মতো ঔপন্যাসিক আর নাট্যকার পৃথিবীর অন্য কোনো দেশে আজ পর্যন্ত জন্ম নেয়নি। এরা সবাই কিন্তু কাছাকাছি সময়ের। আঠার‘শ থেকে ঊনিশ‘শ সালের মনীষা এরা।
এদের পরেও যারা মিশরে এসেছেন তারাও কোনো অংশে কম নন। বিংশ শতাব্দীর শুরুতে ছিলেন নাজীব মাহফুজ, মাহমুদ ত্বহা, সালেহ জাওদাত যারা সবাই একেকজন আরবী সাহিত্যের সংস্কারক পর্যায়ের ব্যক্তিত্ব।
ইসলামী সাহিত্যিক মুস্তফা সাদেক রাফেঈর কথা তো বলিইনি, আলী তানতাবী তাঁর ব্যাপারে বলেছেন, ‘আমাদের ইসলামী সাহিত্যের দুটি দিক রয়েছে, একদিকে চৌদ্দশ বছরের সাহিত্য অন্যদিকে রাফেঈর সাহিত্য।’ আর মুস্তফা লুতফী মানফালুতীকে তো তার যুগের ‘ভিক্টোর হুগো’ বলা হয়। এভাবে নাম ধরে বলতে গেলে শেষ হবে না। মোটকথা, সাহিত্যের এমন কোনো শাখা নেই যার শ্রেষ্ঠ পুরুষটি মিশরের জন্মাননি। যারা সত্যিকার অর্থেই আরবি সাহিত্যকে নিয়ন্ত্রণ করেছে।
পাথেয়: অধুনা আরব বিশ্বের ধনী দেশগুলো তুলনামূলকভাবে গরীব ও বিপর্যস্ত দেশগুলো থেকে নতুন সাহিত্য সৃষ্টিতে পিছিয়ে আছে। এর কারণ কী বলে মনে করেন? তাহলে কি বেদনা, পার্থিব যাতনা, সঙ্কট—ইত্যকার বিষয়গুলোই সৃষ্টিশীল কাজে সবচেয়ে বেশি প্রণোদনা জোগায়?
ইবন হাশিম : বিষয়টা পুরোপুরি এমন নয়। শিল্প-সাহিত্য অনেকটা মাটির সাথে সম্পর্কিত। পেটে ক্ষুধা থাকলে বরং সৃষ্টিশীলতা জাগে না। আর জানের ভয় থাকলে তো শিল্প সাহিত্য সংস্কৃতি সব জানালা দিয়ে পালায়।
এইযে সিরিয়া, ইরাক কতো সহস্র বিদ্বান, শিল্পী আর সাহিত্যক জন্ম দিয়েছে তারা কোন সময়ের ব্যাক্তি? সিরিয়ায় হান্না মিনা ইরাকের আব্দুল ওয়হহাব আল বায়াতী এরা সবাই যুদ্ধ বিগ্রহের আগের কবি সাহিতিক। ফিলিস্তিনের ইবরাহীম তুকান কিংবা শহীদ আব্দুল করীম অথবা মাহমুদ ত্বহা এরা সবাই কিন্ত উপনিবেশ কালের কবি। মাহমুদ দারউইশ এ যুগের হলেও তিনি জীবনের বড় একটা অংশ কাটিয়েছে ফিলিস্তিনের বাইরে।
মোটকথা শিল্প, সাহিত্য, সাংস্কৃতিক উত্থান কিংবা সৃষ্টিশীল কাজের জন্য মানুষের জান মাল আহারের নিশ্চয়তা জরুরী। মাথার উপরে যুদ্ধ বিমান আর আমি গাছ তলায় বসে কবিতা লিখবো এটা কখনো সম্ভব নয়।
পাথেয়: আরবি সাহিত্যের এমন ক্লাসিক পাঁচটি বইয়ের নাম বলুন, যা বিশ্ব সাহিত্যের অমূল্য সম্পদ।
ইবন হাশিম : এক্ষেত্রে সবার আগে আসবে কালীলাহ ওয়া দীমনার নাম। চারিদিকে যখন কাব্যের সয়লাব তখন একমাত্র গদ্যের বই হিসেবে এটি নিজের জায়গা করে নিয়েছিলো। এর শব্দশৈলী আর ভাষার প্রয়োগ এতটাই নান্দনিক যে বহুকাল পরে এসেও আজও তা আধুনিক। অনুবাদ গ্রন্থ হয়েও বইটি তার মৌলিকত্বের মহিমায় ভাস্বর।
এরপরই আসবে জাহেজের আল বুখালা বইটি। ইবনে খালদুন যদিও এই লেখকের আল বয়ান ওয়াত তাবইইন-কে আরবি সাহিত্যের স্তম্ভ বলেছেন কিন্তু সেটি হচ্ছে নন ফিকশনের বিবেচনায়। ফিকশনে আল বুখালা-ই শ্রেষ্ঠ।
ইবনে আবদে রাব্বিহি’র আল ইকদুল ফারিদ গ্রন্থটিকেও আমি এই তালিকায় রাখবো। যদিও তা অনেকটা কুর’আন হাদীসের নুসুসভিত্তিক। ইবনুল জাওযীর ছইদুল খাতির গ্রন্থটাকেও আমি গণ্য করবো। আমার কাছে এটাকে আন্ডাররেটেড মনে হয়। এতো চমৎকার গ্রন্থিটিকে নিয়ে কেউ কেনো কথা বলেনা তা আমার বোধগম্য নয়।
সর্বশেষ থাকবে হারিরির মাকামা। এটি রাইমড প্রস বা সাহিত্যের ছন্দিত গদ্য শ্রেণীর হলেও নিখাদ ফিকশনাল গ্রন্থ। আমার কাছে ফিকশনে এই কালজয়ী পাঁচটি আরবি গ্রন্থকে বিশ্ব সাহিত্যের অমূল্য সম্পদ মনে হয়।
পাথেয়: এই অপূর্ব ভাষাটিকে আয়ত্তের কিছু মৌলিক প্রক্রিয়া জানিয়ে কিশোর-তরুণ পাঠকদের দিকনির্দেশনা দিন।
ইবন হাশিম: আরবী ভাষায় দক্ষ এবং সাহিত্যের রুচিবোধ সম্পন্ন কারো তত্বাবধানে থেকে পাগলের মতো পড়ে যাওয়া। এটাই সবচে’ কার্যকরী উপায়।
বাংলাদেশে এমন বড় বড় মুহাদ্দিস তৈরী হয়েছেন আরব বিশ্ব যাদের দেখে হয়রান হয়
পাথেয়: বাংলাদেশের মাদরাসাগুলো যদি ১৮ তারিখে আরবি ভাষা দিবস উদযাপন করে, এক্ষেত্রে তাদের কর্মসূচিগুলো কী হতে পারে?
ইবন হাশিম: কর্মসূচী যে যাই গ্রহণ করুক, মূল লক্ষ্যটা যেনো হয় আরবি চর্চার আহবান, আরবি সাহিত্যের জাগরণ।
পাথেয়: মাদরাসাগুলোয় যেহেতু আরবি ভাষাটিই শেখানো হয় প্রধানত, কিন্তু এর ফলাফলটি দেখা যাচ্ছে না কেন? অর্থাৎ, বিগত পঞ্চাশ বছরে দেশের বিপুল এক জনগোষ্ঠীকে শিক্ষার আলো পৌঁছে দেওয়া এই সেক্টরটি আরবি ভাষা-সাহিত্য সংক্রান্ত এমন কিছু কাজ করেছে কি, যা উল্লেখযোগ্য? যদি না করে থাকে তাহলে তা কি উদ্বেগের নয়?
ইবন হাশিম: কোন চেষ্টার ফলাফল আবর্তিত হয় লক্ষ্যের উপরে। বাংলাদেশে দেওবন্দী মাদরাসাগুলোয় আরবি পড়ানো হয় কুর’আন হাদীস, ফিকহ তাফসির বা তারিখ চর্চার জন্য। এই লক্ষ্যে তারা সর্বাংশে সফল। এই দেশে এমন বড়বড় মুহাদ্দিস বা মুফাসসির তৈরী হয়েছেন আরব বিশ্ব তা দেখে হয়রান হয়।
তবে আরবী ভাষা ও সাহিত্যে তাঁদের অবদান শূন্য । কারণ একটু আগেই বললাম, এটা কোনোকালেই তাঁদের লক্ষ্য ছিলো না। তবে একজন সাহিত্যানুরাগী হিসাবে ভাবলে দেখি, আমাদের পাশের দেশ ভারতে যে বিশ্বমানের আরবী সাহিত্যিক তৈরী হয়েছে সেই তুলনায় আমাদের সৃষ্টি শূন্যের কোঠায়। এটা শুধু উদ্ববেগের নয়, লজ্জারও বটে।
পাথেয়: আমাদেরকে সময় দেওয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ
ইবন হাশিম: জাযাকুমুল্লাহ
সাক্ষাৎকার গ্রহণ : কাউসার মাহমুদ
কথাসাহিত্যিক ও অনুবাদক
সম্পাদনা : যারওয়াত উদ্দীন সামনূন
সহকারী সম্পাদক, পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম