সিঙ্গাপুরের একমাসেই করোনা রোগী ১০০০

সিঙ্গাপুরের একমাসেই করোনা রোগী ১০০০

সিঙ্গাপুরের একমাসেই করোনা রোগী ১০০০

পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম :: হঠাৎই লাফিয়ে বাড়ছে সিঙ্গাপুরে করোনা ভাইরাসের আক্রান্ত। এর কী কারণ? বিশ্বজুড়ে আলোচান হচ্ছিল সিঙ্গাপুর অনেক বেশি সামাল দিতে সক্ষম হয়েছে। এখন উল্টোস্রোতে চলছে সিঙ্গাপুরের করোনা গল্প। শুরু থেকেই করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণে দারুণ সফলতা দেখাচ্ছে নগররাষ্ট্র সিঙ্গাপুর। সারাবিশ্ব যেখানে মহামারি ঠেকাতে হিমশিম খাচ্ছে, সেখানে পরিস্থিতি এখনও অনেকটাই স্বাভাবিক এশিয়ার দক্ষিণাঞ্চলীয় দেশটিতে। মার্চ মাসের শুরুর দিকেও সিঙ্গাপুরে শনাক্ত হওয়া করোনা আক্রান্ত রোগী ছিলেন একশ’র মতো। কিন্তু মাস শেষ হতে না হতেই সেই সংখ্যা হাজার ছাড়িয়ে গেছে। একারণেই আশঙ্কা দেখা দিয়েছে, তবে কি নিয়ন্ত্রণ হারাতে চলেছে সিঙ্গাপুর? হঠাৎ কী হলো তাদের?

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, করোনার প্রথম ঢেউ মোকাবিলায় সফল সিঙ্গাপুর। সেখানে এখন দ্বিতীয়বার আঘাত হানতে শুরু করেছে প্রাণঘাতী ভাইরাসটি। প্রথম ঢেউ শুরু হয়েছিল মহামারির একদম শুরুর দিকে। সেসময় চীনা পর্যটকদের মাধ্যমে সিঙ্গাপুরে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ে। তবে পরিস্থিতির লাগাম ধরে রাখতে সঙ্গে সঙ্গেই ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল তারা।

সময়ের সঙ্গে রোগীর সংখ্যা যত বেড়েছে, দেশটিতে কড়াকড়ির পরিমাণও ততটাই বেড়েছে। তারাই প্রথম দেশ হিসেবে চীনফেরত নাগরিকদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করে। একে একে এ তালিকায় যোগ হয় দক্ষিণ কোরিয়া, ইতালি, ইরানসহ অসংখ্য দেশের নাম।

সেখানে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হয়েছে মূলত যুক্তরাষ্ট্র-যুক্তরাজ্যের মতো দেশগুলো থেকে ফেরা নাগরিকদের মাধ্যেমে। এরচেয়েও ভয়াবহ বিষয় হচ্ছে, এবারের ধাপে স্থানীয় সংক্রমণের সংখ্যাও দ্রুত বাড়ছে।

করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ধাক্কা সামলাতে ইতোমধ্যেই সাজাকিক দূরত্বের বিধিনিষেধ জোরদার, ২৩ মার্চ থেকে সবধরনের ভ্রমণার্থী প্রবেশ নিষিদ্ধ, ২৭ মার্চ থেকে সব বার, অনুষ্ঠানের ভেন্যু বন্ধ, ১০ জনের বেশি জমায়েতে নিষেধাজ্ঞা, ক্রেতাদের অন্তত এক মিটার দূরত্বে রাখতে না পারলে রেস্টুরেন্টগুলোকে জরিমানার মতো কঠোর ব্যবস্থা নিয়েছে সিঙ্গাপুর কর্তৃপক্ষ।
সারাবিশ্বের তুলনায় সিঙ্গাপুরে এখনও করোনার প্রকোপ তুলনামূলক কম। তবে সেখানে স্থানীয় সংক্রমণ ঠেকানো না গেলে পরিস্থিতি দ্রুতই ভয়াবহ হয়ে উঠবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

জন হপকিন্স ইউনিভার্সিটির হিসাবে, সিঙ্গাপুরে এ পর্যন্ত ১ হাজার ৪৯ জনের শরীরে নভেল করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। গত ১ এপ্রিল দেশটিতে নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছেন অন্তত ৭৪ জন। ২ এপ্রিল রোগী বেড়েছে আরও ৪৯ জন। এদিনই দেশটিতে করোনায় চতুর্থ মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে।

সূত্র: সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *